বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে মেসে নিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ

রংপুর সদরে গোসলের ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে এক স্কুলছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় সীমান্ত ইসলাম সোহেল (১৯) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৮ মে) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে একই দিন ভুক্তভোগীর বাবা রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের তাজহাট থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রায় দুই বছর আগে ভুক্তভোগীর মামাতো ভাই সোহেল গোপনে মোবাইল ফোনে তার গোসলের ভিডিও ধারণ করেন। পরে তা ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এদিকে সর্বশেষ গত ১৯ মে এলাকার একটি মেসে নিয়ে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীকে আবারও ধর্ষণ করেন সোহেল। এর পরেরদিন বাড়িতে কাউকে না জানিয়ে ঢাকা চলে যায় ভুক্তভোগী ছাত্রী। পরে গত ২৭ মে ভুক্তভোগী বাড়িতে ফিরে আসে। এ সময় জিজ্ঞেস করলে সে ধর্ষণের বিষয়টি পরিবারকে জানায়। তারপর শুক্রয়ার (২৮ মে) তার পরিবার তাজহাট থানায় ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন। মামলার পরপরই অভিযুক্ত সোহেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাজহাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুলতানা খাতুন বলেন, ভুক্তভোগী ছাত্রীর জবানবন্দি নেয়ার জন্য তাকে আদালতে নেয়া হয়েছে। তার মেডিকেল পরীক্ষা করানো হবে। অভিযুক্ত সোহেলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে মেসে নিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ

প্রকাশিত সময় : ০৫:৫১:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মে ২০২১

রংপুর সদরে গোসলের ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে এক স্কুলছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় সীমান্ত ইসলাম সোহেল (১৯) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৮ মে) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে একই দিন ভুক্তভোগীর বাবা রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের তাজহাট থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রায় দুই বছর আগে ভুক্তভোগীর মামাতো ভাই সোহেল গোপনে মোবাইল ফোনে তার গোসলের ভিডিও ধারণ করেন। পরে তা ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এদিকে সর্বশেষ গত ১৯ মে এলাকার একটি মেসে নিয়ে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীকে আবারও ধর্ষণ করেন সোহেল। এর পরেরদিন বাড়িতে কাউকে না জানিয়ে ঢাকা চলে যায় ভুক্তভোগী ছাত্রী। পরে গত ২৭ মে ভুক্তভোগী বাড়িতে ফিরে আসে। এ সময় জিজ্ঞেস করলে সে ধর্ষণের বিষয়টি পরিবারকে জানায়। তারপর শুক্রয়ার (২৮ মে) তার পরিবার তাজহাট থানায় ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন। মামলার পরপরই অভিযুক্ত সোহেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাজহাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুলতানা খাতুন বলেন, ভুক্তভোগী ছাত্রীর জবানবন্দি নেয়ার জন্য তাকে আদালতে নেয়া হয়েছে। তার মেডিকেল পরীক্ষা করানো হবে। অভিযুক্ত সোহেলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।