দক্ষিণ আমেরিকা ফুটবল কনফেডারেশনের (কনমেবল) নিয়মিত আসর কোপা আমেরিকা এই প্রথম যৌথ আয়োজকের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। আর্জেন্টিনার সঙ্গে যৌথ আয়োজক হিসেবে ছিল কলম্বিয়া। ২০ মে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণ দেখিয়ে কলম্বিয়া আয়োজক থেকে সরে যাওয়ার পর এবার করোনা মহামারির জন্য আর্জেন্টিনাও পিছিয়ে গেল আয়োজন থেকে। ফলে এই মুহূর্তে কোনো দেশই কোপা আমেরিকার আয়োজক নয়, অথচ হাতে আছে দুই সপ্তাহের কম সময়।
১০৫ বছরের ইতিহাসে যৌথ আয়োজনে এই প্রথম কোপা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আয়োজক নিয়ে এমন বিড়ম্বনাও প্রথম সারিতেই থাকবে। প্রেসিডেন্ট অ্যালবার্টো ফার্নান্দেস একক আয়োজক হিসেবে দায়িত্ব নিতে নিতে চাইলেও পরেও আর্জেন্টিনা আয়োজক হিসেবে পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল, কারণ সম্প্রতি করোনা আক্রান্তের হার সেখানে ব্যাপকভাবে বাড়ছিল। সেই আশঙ্কা সত্য হলো শেষ পর্যন্ত, বাড়ল টুর্নামেন্ট নিয়ে অনিশ্চয়তা। আজ সোমবার কনমেবলের কর্তারা বৈঠকে বসবেন আয়োজক নির্ধারণের জন্য।
সম্ভাব্য আয়োজক হিসেবে শোনা গেছে চিলির নাম। তবে আর্থিক বিষয়টিও চিন্তায় রাখতে হচ্ছে আয়োজক খুঁজতে গিয়ে। ২০১৯ সালে ব্রাজিলে আয়োজিত কোপা আমেরিকা থেকে ১১.৮ কোটি মার্কিন ডলার আয় করে কনমেবল। এদিকে যারাই কোপায় অংশ নেবে, তারাই ৪০ লাখ ডলারের পুরস্কার পাবে, সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন হলে ১ কোটি মার্কিন ডলারের প্রাইজমানি।
আগামী ১৩ জুন থেকে আয়োজিত হওয়ার কথা ছিল কোপা আমেরিকা। ১৩টি ম্যাচ আর্জেন্টিনায়, এবং ফাইনালসহ ১৫টি ম্যাচ কলম্বিয়ায় আয়োজনের কথা থাকলেও এখন সবকিছুই অনিশ্চিত।

দৈনিক দেশ নিউজ বিডি ডটকম ডেস্ক 

























