সিলেটে গত শনিবার ও রোববার কয়েক দফায় বেশ কয়েকবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। যদিও রিক্টার স্কেলে মাত্রা খুব কম তারপরও পুরো এলাকাজুড়ে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক এলাকায় ২২-২৩ ঘণ্টার ব্যবধানে এতবার ভূমিকম্প হওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম। এ ঘটনা ভাবিয়ে তুলেছে ভূতত্ববিদদের। তাদের মতে, দফায় দফায় মৃদু ভূকম্পন বড় কম্পনেরই আগাম বার্তা দিচ্ছে। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ভূকম্পন উৎসের একেবারে কাছাকাছি। তাই বড় ভূমিকম্প হলে যে ক্ষয়ক্ষতি হবে তার আগাম প্রস্তুতিও নিতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু সিলেট নয় সারা দেশে ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পূর্ব থেকে ভূমিকম্প হওয়ার কোনো আগাম বার্তা না পাওয়ার কারণে এটি কখন হবে বলা সম্ভব নয়। এ কারণে আগাম ব্যবস্থা নেওয়াও যায় না। তবে ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচতে বছরে এলাকাভেদে ভূমিকম্প মহড়া পরিচালনার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
এদিকে ভূকম্পন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আর্থ অবজারভেটরি সেন্টার বলছে, ইন্ডিয়ান, ইউরেশিয়ান এবং বার্মা তিনটি গতিশীল প্লেটের সংযোগস্থলের কাছাকাছি বাংলাদেশের অবস্থান। এ কারণে দেশের দুই দিকেই ভূগর্ভে জোরালো ভূমিকম্পের শক্তি জমা হয়েছে। আর বহু বছর ধরে জমে থাকা এ শক্তিতে ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের শঙ্কাও রয়েছে।
সংস্থাটির দাবি, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল সিলেটের জৈন্তা এলাকার ডাউকি ফল্ট পূর্ব-পশ্চিমে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার বিস্তৃত। যেটি দেশের অভ্যন্তরেই পলিমাটি দিয়ে ঢাকা। এমন অবস্থায় সরকারকে জরুরি প্রস্তুতি নেওয়ার তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।
এর আগে গত শনিবার সকাল থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত কয়েক দফায় সিলেটে ৫ বার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। হঠাৎ করে দফায় দফায় এ ভূমিকম্পে এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে শনিবার সারাদিনই আতঙ্কের মধ্যেই বাস করেন তারা।
ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘সিলেটে ছোট ছোট ভূমিকম্প নির্দেশ করছে যে, এখানে তীব্র মাত্রার ভূমিকম্পের ঝুঁকি রয়েছে। ভূমিকম্প কখন হবে, সেটা ধারণা করা সম্ভব নয়।’
সিলেটের ঝুঁকিটা কী এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ঝুঁকিটা হলো-কম মাত্রার বা ছোট ছোট ভূমিকম্পের পরে একটা বড় ভূমিকম্প হয়ে যেতে পারে। এই ঝুঁকি সেখানে রয়েছে। এর মানে এই নয় যে, সেটা ছয় মাস বা এক বছর পর হবে। এটা ২০ বছর পরেও হতে পারে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এটা ইন্ডিকেট করছে, ওই জায়গাটা (সিলেট) স্ট্রেচফুল (চাপে আছে)। ওই অঞ্চলটা ভূমিকম্পের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। যেহেতু কম মাত্রার কম্পন প্রায়ই অনুভূত হচ্ছে, এখন থেকে সতর্কতামূলক অবস্থানে যেতে হবে। আশপাশে যেসব ভবন তৈরি করা হচ্ছে, বিষয়গুলো করার সময় এ ঝুঁকি বিবেচনায় নিতে হবে।’
ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের তথ্যমতে, গত শনিবার সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে রিখটার স্কেলে ৩ মাত্রার, সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ৫৩ সেকেন্ডে রিখটার স্কেলে ৪ দশমিক ১ মাত্রার, ১১টা ২৯ মিনিট ৫১ সেকেন্ডে রিখটার স্কেলে ২ দশমিক ৮ মাত্রার এবং ১টা ৫৮ মিনিটে ৪ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আর গতকাল রোববার সিলেটে খুবই কম মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে, রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ২ দশমিক ৮।’
মমিনুল ইসলাম আরো বলেন, ‘মাত্র ২ দশমিক ৮ মাত্রার মতো খুবই স্বল্পমাত্রার ভূমিকম্প অনুভব করার কারণ হলো অল্প গভীরে ভূমিকম্প হওয়া। যেখানকার মানুষ ভূমিকম্প বুঝতে পারছে, তাদের খুব কাছে উৎপত্তিস্থল। উৎপত্তিস্থল মানে হলো যেখানে ভূমিকম্প হয় তার মাটির নিচের যে জায়গাটা সেটাকে বলা হয় ফোকাস। সেই ফোকাস থেকে লম্ব বরাবর বা সোজা উপরের ভূমিকে বলা হয় ইপি সেন্টার।’
তিনি বলেন, ‘ভূমিকম্পের কোনো পূর্বাভাস দেওয়া যায় না। তবে দুটি বিষয় আছে। একটি হলো বিফোর শক। মানে হলো ছোট ছোট ভূমিকম্প হবে, তারপর একদম মেইন শক (বড় ভূমিকম্প) হবে। দ্বিতীয়টি হলো মেইন শকের (বড় ভূমিকম্প) তারপর আস্তে আস্তে আফটার শক হচ্ছে। অর্থাৎ মূল ভূমিকম্পের চেয়ে ছোট ছোট ভূমিকম্প হচ্ছে।’
তবে আশার বাণী শুনিয়ে মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এই দুটি বিষয়ের বাইরে আরেকটা লক্ষণ হলো, ছোট ছোট ভূমিকম্প হয়ে শক্তি ছেড়ে দিচ্ছে, সেটা ভালো। তখন আর বড় ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। সিলেটের ক্ষেত্রেও ছোট ছোট ভূমিকম্পের মাধ্যমে শক্তি ছেড়ে দিচ্ছে, এমনও হতে পারে। তবে এখন ভবিষ্যতের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’
এবিষয়ে শনিবার ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের এই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘সিলেট অঞ্চলটা একটু ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে আছে। কেননা সেখানে ডাউকি ফল্ট আছে। ছোট ছোট ভূমিকম্প হওয়া মানে সেটা সক্রিয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের জাতীয় সীমান্তে তিনটা প্লেট আছে। সেগুলো হলো ইউরোশিয়ান প্লেট, ইন্ডিয়ান প্লেট এবং বার্মা মাইক্রো প্লেট। এই তিন প্লেটের সংযোগস্থল আমাদের জাতীয় সীমান্ত দিয়ে গেছে। ডাউকি ফল্ট, ভুটান, নেপাল-এই সাইটগুলোতে ভূমিকম্প কয়েক দিন আগেও হয়েছে।’ ‘পঞ্চগড়ের কাছে জলপাইগুড়িতে কয়েক দিন আগে বেশ কয়েকটা ভূমিকম্প হয়েছে। সেটার কম্পনও বাংলাদেশে হয়েছে। একইভাবে ভুটানের ভূমিকম্পের কম্পনও বাংলাদেশে হয়েছে। সিলেট অঞ্চলে ডাউকি ফল্ট আছে, এখানেও ভূমিকম্পের সম্ভাবনা অনেক বেশি। আবার পূর্বাঞ্চলের সেগিং ফল্টের দিকেও ভূমিকম্পের সম্ভাবনা আছে। এই প্লেট বাউন্ডারিগুলো সবই আমাদের খুবই কাছে। সে কারণে এভাবে ভূমিকম্পগুলো হয়ে থাকে।’
এদিকে ২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি ভোর রাতে রিখটার স্কেলে ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে বাংলাদেশ এই ঘটনায় শুধুমাত্র আতঙ্কেই মারা যান ছয়জন। সাধারণ মানুষের আতঙ্ক এবং চিৎকারে সৃষ্টি হয় এক ভীতিকর অবস্থার। এছাড়া সারা দেশে ৫০টিরও বেশি ভবন হেলে পড়ে অথবা ফাটল ধরে জানা যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক এবং ইউএনডিপি-র দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ এ কে এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘ওই ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল ঢাকা থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে মনিপুর রাজ্য। কেন্দ্রে এর মাত্রা ছিল ৬.৭। ওই কেন্দ্রে ৮.৬ মাত্রার ভূমিকম্পের আশঙ্কা ছিল। আর সেটা যদি হতো, তাহলে ঢাকাসহ পুরো বাংলাদেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়তো।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরেই ১২টি ভূমিকম্প ফাটল আছে। এ সব জায়গায় ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে। ঢাকার অদূরে মধুপুর ফাটল খুব বিপজ্জনক। প্রতি ১০০ বছর পর পর এ ফাটলে বড় আকারের ভূমিকম্প হয়। ১৮২২ এবং ১৯১৮ সালে বাংলাদেশে বড় ভূমিকম্প হয়েছে। তাই আরেকটি বড় ভূমিকম্পের দ্বারপ্রান্তে আছি আমরা।’
অধ্যাপক মাকসুদ কামাল জানান, ‘২০০৯ সালে ঢাকা সিটি করপোরেশনের মধ্যে ভবনগুলো নিয়ে জরিপ করা হয়। তাতে দেখা যায় যে, আগামীতে যদি ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয় তাহলে তিন লাখ ২৬ হাজার ভবনের মধ্যে ৭২ হাজার ভবন তাৎক্ষণিকভাবে ধসে পড়ব। একেবারে অক্ষত থাকবে খুব কম সংখ্যক ভবন। এছাড়া গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির লাইনে বিস্ফোরণ ঘটে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। ঘটবে মানবিক বিপর্যয়ও।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ন কবির বলেন, এ অঞ্চলে বিগত ৫০০ থেকে ১ হাজার বছরে বড় কোনো ভূমিকম্প হয়নি। তার মানে এটি ভেতরে ভেতরে শক্তি সঞ্চয় করছে। এটি নির্গত হতেই হবে। যদি একবারে নির্গত হয় তবে ভয়াবহ পরিস্থিতি হবে আর যদি বারে বারে হয় তাহলে অল্পতেই আমরা রক্ষা পাবো। ভূমিকম্পের যেহেতু আগাম কোনো তথ্য দেওয়া যায়না সেই কারণে আমাদের প্রতিমুহূর্তের সতর্কতা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
প্রতি বছর জেলা অনুযায়ী ভূমিকম্পের মহড়া করার প্রস্তাব এ বিশেষজ্ঞের। কেননা ভূমিকম্প হলে মানুষের মাঝে যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয় এতে করে প্রাণহানির যে শঙ্কা সেটি থাকবে না।
যে এলাকাগুলো ভূমিকম্পের ঝুঁকি : কোনো স্থানের ভূকম্পনের জন্য ফল্ট লাইন এবং টেকনিক স্ট্রেস ফিল্ড গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত। সাধারণত, বড় ধরনের ভূকম্পন হয়ে থাকে প্লেট বাউন্ডারির মধ্যে। যদিও বাংলাদেশ প্লেট বাউন্ডারির মধ্যে নয়, তথাপি ভূপ্রাকৃতিক অবস্থান ও বিন্যাসের স্বকীয়তা বাংলাদেশকে ভূমিকম্প মণ্ডলের আশপাশেই ফেলেছে। বাংলাদেশকে ভূকম্পনের তিনটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জোন হিসেবে উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কিছু কিছু স্থান যেমন : সিলেট, রাঙামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজার উল্লেখযোগ্য। ঢাকা ও চট্টগ্রাম মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ এবং পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল সর্বাপেক্ষা কম ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত।
১৯৭৬ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত যতবার পাঁচ বা তার বেশি মাত্রায় ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে, তার প্রায় সব কটির উৎপত্তিস্থল সিলেট, মৌলভীবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান ও কক্সবাজার এলাকায়। এসব অঞ্চলে ভবিষ্যতে আরো বেশি মাত্রার ভূকম্পনের পূর্বাভাস উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
আসাম-বাংলা অঞ্চলে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল ১৮৯৭ সালের ১২ জুন। ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম, মেঘালয়ের সীমান্তসংলগ্ন সিলেট, ময়মনসিংহ অঞ্চলকে উচ্চমাত্রার ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে সিলেট, ময়মনসিংহ এবং রংপুর, ঢাকা, কুমিল্লা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের কিছু অংশ। এর মধ্যে সিলেট বিভাগের চারটি জেলায় বড় মাত্রার ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। একইভাবে ময়মনসিংহ বিভাগের পাঁচটি জেলাও ভূমিকম্পের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ঢাকা বিভাগের মধ্যে টাঙ্গাইল, গাজীপুর, নরসিংদী জেলার অংশ বিশেষ, পুরো কিশোরগঞ্জ জেলা এবং কুমিল্লা বিভাগের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উচ্চমাত্রার ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়া ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে আছে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলার উত্তরাংশ।
এছাড়া মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে ঢাকা, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, কুমিল্লা, চাঁদপুর, ফেনী, নোয়াখালী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, রাজশাহী, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের অংশবিশেষ, চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলা। আর ভূমিকম্পের কম ঝুঁকিতে রয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের পুরো খুলনা ও বরিশাল বিভাগ।
এদিকে দুই দিন ধরে সিলেট অঞ্চলে ঘনঘন ভূমিকম্প ইস্যু নিয়ে আগামী মঙ্গলবার জরুরি সভা ডেকেছে ভূমিকম্প প্রস্তুতি ও সচেতনতা বৃদ্ধি কমিটি। রোববার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলী-২০১৯ এর ৩.১.৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মঙ্গলবার (১ জুন) বিকেল ৩টায় ভূমিকম্প প্রস্তুতি ও সচেতনতা বৃদ্ধি কমিটির জরুরি সভা আহ্বান করা হয়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন কমিটির সভাপতি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান-আলোকিত বাংলাদেশ

দৈনিক দেশ নিউজ বিডি ডটকম ডেস্ক 























