মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুলনায় সাত দিনের লকডাউন

খুলনায় সাত দিনের লকডাউন

জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন এর সভাপতিত্ব করেন। প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক।

সভা শেষে ডিসি জানান, এই বিধিনিষেধে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দোকান, বিপণিবিতান, রেস্তোরাঁ খোলা রাখা যাবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হতে অযথা ঘোরাঘুরি করতে পারবেন না। ইজিবাইক চলবে অর্ধেক ও অর্ধেকসংখ্যক যাত্রী নিয়ে। কাঁচাবাজার ও ওষুধের দোকান বিধিনিষেধের আওতামুক্ত থাকবে।

তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, ‘‘গত এক সপ্তাহ খুলনার কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে বিধিনিষেধ আরোপ করে সংক্রমণ প্রতিরোধে কোনো ভালো ফল পাওয়া যায়নি। এ ক্ষেত্রে সমগ্র জেলায় বিধিনিষেধ আরোপ ও তা বাস্তবায়ন করতে না পারলে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকানো যাবে না।’’

সভায় জানানো হয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আরটি পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে, সেখানে প্রতিদিন পাঁচ শ রোগীর নমুনা পরীক্ষা করা যাবে। সভায় আরও জানানো হয়, স্বাস্থ্যবিধি মানাতে গত সাত দিনে ২২৩টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৩ লাখ ৬২ হাজার ৫৪৫ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ধরনের আদালত পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান, সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ, খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ মেহেদী নেওয়াজ, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. ইকবাল হোসেন, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম জাহিদ হোসেন, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মুন্সি মো. মাহবুব আলম প্রমুখ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

খুলনায় সাত দিনের লকডাউন

প্রকাশিত সময় : ০৬:২২:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুন ২০২১

জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন এর সভাপতিত্ব করেন। প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক।

সভা শেষে ডিসি জানান, এই বিধিনিষেধে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দোকান, বিপণিবিতান, রেস্তোরাঁ খোলা রাখা যাবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হতে অযথা ঘোরাঘুরি করতে পারবেন না। ইজিবাইক চলবে অর্ধেক ও অর্ধেকসংখ্যক যাত্রী নিয়ে। কাঁচাবাজার ও ওষুধের দোকান বিধিনিষেধের আওতামুক্ত থাকবে।

তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, ‘‘গত এক সপ্তাহ খুলনার কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে বিধিনিষেধ আরোপ করে সংক্রমণ প্রতিরোধে কোনো ভালো ফল পাওয়া যায়নি। এ ক্ষেত্রে সমগ্র জেলায় বিধিনিষেধ আরোপ ও তা বাস্তবায়ন করতে না পারলে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকানো যাবে না।’’

সভায় জানানো হয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আরটি পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে, সেখানে প্রতিদিন পাঁচ শ রোগীর নমুনা পরীক্ষা করা যাবে। সভায় আরও জানানো হয়, স্বাস্থ্যবিধি মানাতে গত সাত দিনে ২২৩টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৩ লাখ ৬২ হাজার ৫৪৫ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ধরনের আদালত পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান, সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ, খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ মেহেদী নেওয়াজ, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. ইকবাল হোসেন, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম জাহিদ হোসেন, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মুন্সি মো. মাহবুব আলম প্রমুখ।