বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রেমিককে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে বিয়ে, কেবিনেই হলো বাসর

প্রেমিককে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে বিয়ে, কেবিনেই হলো বাসর

চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গায় প্রেমিক ভাঙা পা নিয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। এ অবস্থায় প্রেমিককে দেখতে গিয়ে ক্লিনিকের কেবিনে বিয়ের ঘটনা ঘটেছে। বিয়ের পর ক্লিনিকের কেবিনেই তাদের বাসর হয়।

স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় আলমডাঙ্গা উপজেলার চরপাড়া গ্রামের আব্দুস সোবহানের অনার্স পড়ুয়া ছেলে হুসাইন আহমেদের (২৩) ডান পা ভেঙে যায়। ভাঙা পা নিয়ে তিনি গত কয়েক দিন ধরে আলমডাঙ্গার ফাতেমা ক্লিনিকের ৪নং কেবিনে ভর্তি হন। সঙ্গে রয়েছেন মা-বাবা ও বোন।

এদিকে, সড়ক দুর্ঘটনার পর ভাঙা পা নিয়ে প্রেমিক হুসাইন আহমেদ হাসপাতালে কষ্টে থাকার সংবাদ পেয়ে প্রেমিকা ঝিনাইদহ জেলার লেবুতলার তাসফিয়া সুলতানা মেঘা (১৯) বৃহস্পতিবার আলমডাঙ্গার ফাতেমা ক্লিনিকে প্রেমিককে দেখতে ছুটে আসেন।

ক্লিনিকে দেখতে আসার কথা তাসফিয়া সুলতানা মেঘার বাবাকে জানালে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তার মেয়েকে বাড়িতে উঠতে দেবেন না বলে জানিয়ে দেন।

মেয়ের বাবা বলেন, একবার যখন ঘর থেকে বের হয়ে গেছে ওই মেয়ে আর ঘরে তুলব না।

এমন কথা শুনে ঝিনাইদহ কেসি কলেজ থেকে এ বছর ইন্টারমিডিয়েট পাস করা তাসফিয়া সুলতানা বিয়ের দাবিতে অনড় সিদ্ধান্তের কথা ব্যক্ত করেন। একপর্যায়ে তাদের বিয়ের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।

গভীর রাতে হাসপাতালের কেবিনেই কাজি ডেকে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর ওই কেবিনই ছিল তাদের বাসর ঘর। বাসর ঘর নিয়ে পাত্রপাত্রীদের আবেগ ও স্বপ্ন চিরন্তন। এমন স্বপ্নঘেরা বাসরঘরের প্রত্যাশা পূরণ হলো তাসফিয়া সুলতানা মেঘার।

বিয়ের ব্যাপারে বর হুসাইনের পিতা আব্দুস সোবহান বলেন, ছেলে-মেয়ের সম্পর্কের জের ধরে দুই পরিবারের মধ্যে আগে থেকেই যাওয়া-আসা ছিল। বিয়ের কথা-বার্তাও চলছিল। কিন্তু হুসাইনের পা ভেঙে যাওয়ায় তাসফিয়ার বাবা-মা কিছুটা বেঁকে যান। তাসফিয়া দেখতে এসে বাড়িতে ফিরে যেতে রাজি না হওয়ায় বাধ্য হয়ে বিয়ে দিয়েছি।- সূত্র: যুগান্তর

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

প্রেমিককে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে বিয়ে, কেবিনেই হলো বাসর

প্রকাশিত সময় : ১০:২২:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুন ২০২১

চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গায় প্রেমিক ভাঙা পা নিয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। এ অবস্থায় প্রেমিককে দেখতে গিয়ে ক্লিনিকের কেবিনে বিয়ের ঘটনা ঘটেছে। বিয়ের পর ক্লিনিকের কেবিনেই তাদের বাসর হয়।

স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় আলমডাঙ্গা উপজেলার চরপাড়া গ্রামের আব্দুস সোবহানের অনার্স পড়ুয়া ছেলে হুসাইন আহমেদের (২৩) ডান পা ভেঙে যায়। ভাঙা পা নিয়ে তিনি গত কয়েক দিন ধরে আলমডাঙ্গার ফাতেমা ক্লিনিকের ৪নং কেবিনে ভর্তি হন। সঙ্গে রয়েছেন মা-বাবা ও বোন।

এদিকে, সড়ক দুর্ঘটনার পর ভাঙা পা নিয়ে প্রেমিক হুসাইন আহমেদ হাসপাতালে কষ্টে থাকার সংবাদ পেয়ে প্রেমিকা ঝিনাইদহ জেলার লেবুতলার তাসফিয়া সুলতানা মেঘা (১৯) বৃহস্পতিবার আলমডাঙ্গার ফাতেমা ক্লিনিকে প্রেমিককে দেখতে ছুটে আসেন।

ক্লিনিকে দেখতে আসার কথা তাসফিয়া সুলতানা মেঘার বাবাকে জানালে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তার মেয়েকে বাড়িতে উঠতে দেবেন না বলে জানিয়ে দেন।

মেয়ের বাবা বলেন, একবার যখন ঘর থেকে বের হয়ে গেছে ওই মেয়ে আর ঘরে তুলব না।

এমন কথা শুনে ঝিনাইদহ কেসি কলেজ থেকে এ বছর ইন্টারমিডিয়েট পাস করা তাসফিয়া সুলতানা বিয়ের দাবিতে অনড় সিদ্ধান্তের কথা ব্যক্ত করেন। একপর্যায়ে তাদের বিয়ের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।

গভীর রাতে হাসপাতালের কেবিনেই কাজি ডেকে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর ওই কেবিনই ছিল তাদের বাসর ঘর। বাসর ঘর নিয়ে পাত্রপাত্রীদের আবেগ ও স্বপ্ন চিরন্তন। এমন স্বপ্নঘেরা বাসরঘরের প্রত্যাশা পূরণ হলো তাসফিয়া সুলতানা মেঘার।

বিয়ের ব্যাপারে বর হুসাইনের পিতা আব্দুস সোবহান বলেন, ছেলে-মেয়ের সম্পর্কের জের ধরে দুই পরিবারের মধ্যে আগে থেকেই যাওয়া-আসা ছিল। বিয়ের কথা-বার্তাও চলছিল। কিন্তু হুসাইনের পা ভেঙে যাওয়ায় তাসফিয়ার বাবা-মা কিছুটা বেঁকে যান। তাসফিয়া দেখতে এসে বাড়িতে ফিরে যেতে রাজি না হওয়ায় বাধ্য হয়ে বিয়ে দিয়েছি।- সূত্র: যুগান্তর