বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কাঠগড়ায় ওসি প্রদীপের ফোনালাপ, ৩ পুলিশ প্রত্যাহার

আলোচিত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের সময় টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ মুঠোফোনে কথা বলার ঘটনায় তিন পুলিশকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ঘটনায় গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। পুরো আদালত জুড়ে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

বুধবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. হাসানুজ্জামান পিপিএম।

তিনি বলেন, এটিএসআই শাহাব উদ্দিনসহ ৩ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পংকজ বড়ুয়াকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।

আজ সকালে মেজর অবসরপ্রাপ্ত সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর আগেই আদালতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যদের।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান পিপিএম জানান, আদালতের নিরাপত্তা বিবেচনায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে আদালত পাড়ায়।

এর আগে, কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন, মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। কীভাবে ভাইকে হত্যা করা হয়, সেই বর্ণনা আদালতে উপস্থাপন করছিলেন তিনি। বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তখন ১৫ আসামি। তাদের মধ্যে টেকনাফ থানার বহিষ্কৃত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে হঠাৎ দেখা যায় আসামি প্রদীপ কুমার কাঠগড়ায় বসেই মোবাইল ফোনে কথা বলছেন। সিনহা হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি এই প্রদীপ কুমার।

বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলে আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট ফরিদুল আলম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আদালতের বিচারক এ ব্যপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

কাঠগড়ায় ওসি প্রদীপের ফোনালাপ, ৩ পুলিশ প্রত্যাহার

প্রকাশিত সময় : ০৩:৪১:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অগাস্ট ২০২১

আলোচিত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের সময় টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ মুঠোফোনে কথা বলার ঘটনায় তিন পুলিশকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ঘটনায় গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। পুরো আদালত জুড়ে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

বুধবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. হাসানুজ্জামান পিপিএম।

তিনি বলেন, এটিএসআই শাহাব উদ্দিনসহ ৩ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পংকজ বড়ুয়াকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।

আজ সকালে মেজর অবসরপ্রাপ্ত সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর আগেই আদালতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যদের।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান পিপিএম জানান, আদালতের নিরাপত্তা বিবেচনায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে আদালত পাড়ায়।

এর আগে, কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন, মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। কীভাবে ভাইকে হত্যা করা হয়, সেই বর্ণনা আদালতে উপস্থাপন করছিলেন তিনি। বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তখন ১৫ আসামি। তাদের মধ্যে টেকনাফ থানার বহিষ্কৃত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে হঠাৎ দেখা যায় আসামি প্রদীপ কুমার কাঠগড়ায় বসেই মোবাইল ফোনে কথা বলছেন। সিনহা হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি এই প্রদীপ কুমার।

বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলে আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট ফরিদুল আলম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আদালতের বিচারক এ ব্যপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দেন।