আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে হামিদ কারজাই বিমানবন্দরে সন্ত্রাসী হামলার হুমকির খবর আসার কয়েক ঘণ্টা পরেই ঘটে ভয়াবহ জোড়া আত্মঘাতী বিস্ফোরণ। প্রাথমিকভাবে হতাহতের অবস্থা জানা গেলেও প্রকৃতপক্ষে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে কী ঘটেছিল তার কিছু ভীতিকর বিবরণ আসতে শুরু করেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বিমানবন্দরের অ্যাবে গেটের প্রবেশদ্বারে প্রথম বিস্ফোরণ ঘটে। এক প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে বিবিসি বলছে, সেখানে লাশ, বিচ্ছিন্ন মরদেহ ও মানুষকে পাশের এক খালে ফেলে দেওয়া হচ্ছিল।
অপর এক প্রত্যক্ষদর্শী বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘মানুষজন বিস্ফোরণের শব্দ শোনার সঙ্গে সঙ্গে মারাত্মক আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তালেবানরা তখন গেটে ভীড় জমানো মানুষদের ছত্রভঙ্গ করতে আকাশের দিকে বন্দুক তাক করে গুলি ছুড়তে শুরু করে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাবুল বিমানবন্দরে আত্মঘাতী বিস্ফোরণের আরেক প্রত্যক্ষদর্শী এএফপিকে জানিয়েছেন, তিনি আর কখনোই দেশত্যাগ করার লক্ষ্যে বিমানবন্দরে যাবেন না। এ সময় আমেরিকা ও তাদের উদ্ধার কার্যক্রমের প্রতি হতাশা ফুটে ওঠে তার বক্তব্যে।

পশ্চিমা সৈন্য-নাগরিক ও তাদের আফগান সহযোগীদের সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপক তোড়জোড়ের মধ্যেই আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে আত্মঘাতী এই বোমা বিস্ফোরণ ঘটে।
বিস্ফোরণের পর প্রকাশিত বিভিন্ন ছবিতে দেখা যায়, রক্তমাখা কাপড়ে আহতদের দুই চাকার বাহনে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নারী, পুরুষ ও শিশু কেউ কেউ মাথায় ব্যান্ডেজ পরিহিত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, বিমানবন্দরের অ্যাবে গেটের প্রবেশদ্বারে বিস্ফোরণ ঘটেছে। সন্ত্রাসী হামলার হুমকির কারণে সতর্কতা হিসেবে বন্ধ করে দেওয়া তিনটি গেটের একটি অ্যাবে গেট। দেশ ছাড়তে মরিয়া হাজারো আফগান সেখানে অবস্থান করছেন।

দৈনিক দেশ নিউজ বিডি ডটকম ডেস্ক 
























