মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুবির বাস থেকে তেল চুরি, অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) বাস থেকে তেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে খুবির বাস চালক সেলিম আজমলকে তেল চুরি করতে দেখা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অদূরে মেট্রোপলিটন পেট্রোল পাম্পে এ তেল চুরির ঘটনা ঘটে।

খুলনার আঞ্চলিক দৈনিক সময়ের খবরের সিনিয়র রিপোর্টার আশরাফুল ইসলাম নূরের সামনেই তেল চুরির ঘটনাটি ঘটে। জানা যায়, রিপোর্টার আশরাফুল ইসলাম নূর তাৎক্ষণিক খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে তেল চুরির ঘটনাটি মোবাইলে ক্যামেরাবন্দি করেন।

জানা যায়, গতকাল দুপুর ১২টা ২৮ মিনিটের দিকে মেট্রোপলিটন পেট্রোল পাম্পের টয়লেটে যাচ্ছিলেন ওই প্রতিবেদক। এমন সময়ে পাম্পের গ্যারেজে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘খুলনা মেট্রো ঝ ১১-০০০৬’ নম্বরের বাসটি একজন শ্রমিক পানি দিয়ে ওয়াশ করছিলেন, আরেকজন শ্রমিক বাসের নিচে পাইপ ঢুকিয়ে ত্রিশ লিটারের বড় ড্রামে বাস থেকে তেল বের করছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে তেল বের করার দৃশ্য দেখেই মোবাইল ক্যামেরায় ভিডিও করা শুরু করেন ওই প্রতিবেদক।

মুহূর্তেই বাসটির চালক সেলিম আজমল এগিয়ে এসে মোবাইলে চিত্র ধারণের কারণ ও প্রতিবেদকের পরিচয় জানতে চান। সাংবাদিক পরিচয় জানতে পেরে-বাসটির চালক তাৎক্ষণিক এ প্রতিবেদককে জানান, ‘বাসটি ওয়াশ করতে এক লিটার তেল প্রয়োজন, তাই ওরা তেল বের করছে।’ প্রকৃতপক্ষে ৩০ লিটারের ড্রামটিতে প্রায় অর্ধেকেরও বেশি তেল ভরা হয়েছিল। দৃশ্যটি মোবাইলে ধারণ করতে দেখে প্রতিবেদকের ফোনটি কেড়ে নেবারও চেষ্টা করেন ওই বাস চালক সেলিম আজমল।

এ বিষয়ে ওই পেট্রোল পাম্পের ম্যানেজার জানান, রবিবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি বাস সেখানে ওয়াশ করা হয়েছিল। তবে বাস থেকে তেল চুরির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগটি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলের পরিচালক প্রফেসর ড. শেখ জুলফিকার হোসাইনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ী থেকে এক বিন্দু তেল বের করার অধিকারও কারও নেই। আজকে যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ে জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে সরকারি ছুটি একারণে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যায়নি।’

তিনি আরো বলেন, ‘ওই বাসচালককে তার রুটিন দায়িত্ব থেকে আপাতত বিরত রাখা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কাউকে চুল পরিমাণ ছাড় দেয়া হবে না।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, ‘আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম চালু হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

খুবির বাস থেকে তেল চুরি, অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি

প্রকাশিত সময় : ০৮:৫৯:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অগাস্ট ২০২১

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) বাস থেকে তেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে খুবির বাস চালক সেলিম আজমলকে তেল চুরি করতে দেখা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অদূরে মেট্রোপলিটন পেট্রোল পাম্পে এ তেল চুরির ঘটনা ঘটে।

খুলনার আঞ্চলিক দৈনিক সময়ের খবরের সিনিয়র রিপোর্টার আশরাফুল ইসলাম নূরের সামনেই তেল চুরির ঘটনাটি ঘটে। জানা যায়, রিপোর্টার আশরাফুল ইসলাম নূর তাৎক্ষণিক খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে তেল চুরির ঘটনাটি মোবাইলে ক্যামেরাবন্দি করেন।

জানা যায়, গতকাল দুপুর ১২টা ২৮ মিনিটের দিকে মেট্রোপলিটন পেট্রোল পাম্পের টয়লেটে যাচ্ছিলেন ওই প্রতিবেদক। এমন সময়ে পাম্পের গ্যারেজে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘খুলনা মেট্রো ঝ ১১-০০০৬’ নম্বরের বাসটি একজন শ্রমিক পানি দিয়ে ওয়াশ করছিলেন, আরেকজন শ্রমিক বাসের নিচে পাইপ ঢুকিয়ে ত্রিশ লিটারের বড় ড্রামে বাস থেকে তেল বের করছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে তেল বের করার দৃশ্য দেখেই মোবাইল ক্যামেরায় ভিডিও করা শুরু করেন ওই প্রতিবেদক।

মুহূর্তেই বাসটির চালক সেলিম আজমল এগিয়ে এসে মোবাইলে চিত্র ধারণের কারণ ও প্রতিবেদকের পরিচয় জানতে চান। সাংবাদিক পরিচয় জানতে পেরে-বাসটির চালক তাৎক্ষণিক এ প্রতিবেদককে জানান, ‘বাসটি ওয়াশ করতে এক লিটার তেল প্রয়োজন, তাই ওরা তেল বের করছে।’ প্রকৃতপক্ষে ৩০ লিটারের ড্রামটিতে প্রায় অর্ধেকেরও বেশি তেল ভরা হয়েছিল। দৃশ্যটি মোবাইলে ধারণ করতে দেখে প্রতিবেদকের ফোনটি কেড়ে নেবারও চেষ্টা করেন ওই বাস চালক সেলিম আজমল।

এ বিষয়ে ওই পেট্রোল পাম্পের ম্যানেজার জানান, রবিবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি বাস সেখানে ওয়াশ করা হয়েছিল। তবে বাস থেকে তেল চুরির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগটি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলের পরিচালক প্রফেসর ড. শেখ জুলফিকার হোসাইনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ী থেকে এক বিন্দু তেল বের করার অধিকারও কারও নেই। আজকে যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ে জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে সরকারি ছুটি একারণে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যায়নি।’

তিনি আরো বলেন, ‘ওই বাসচালককে তার রুটিন দায়িত্ব থেকে আপাতত বিরত রাখা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কাউকে চুল পরিমাণ ছাড় দেয়া হবে না।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, ‘আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম চালু হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’