বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাঁচানো গেল না পাইলট নওশাদ কাইয়ুমকে

মধ্য আকাশে অসুস্থ হওয়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুম ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শত চেষ্টা করেও তাকে বাঁচানো গেল না। সোমবার (৩০ আগস্ট) এ কথা নিশ্চত করেছেন পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান।

ওমানের রাজধানী মাস্কাট থেকে গত ২৭ আগস্ট ১২৪ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকায় ফেরার পথে মধ্য আকাশে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের শিডিউল ফ্লাইটটি ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। সেখান থেকে খুব দ্রুত তাকে স্থানীয় হোপ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই নিবিড় পর্যবেক্ষণে (আইসিইউ) রেখে তার চিকিৎসা চলছিল।

ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুম তার স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে।

বিমান বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এর আগে জানানো হয়, তার চিকিৎসায় একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখে মেডিক্যাল বোর্ড। প্রায় তিনদিন ধরে চেষ্টা চালিয়েও ফেরানো যায়নি তাকে।

আইসিইউতে তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে আজ সকালে বিমানের উপ-মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার জানিয়েছিলেন, নওশাদের অবস্থার উন্নতি হয়নি। হাসপাতালে তার দুই বোনও রয়েছেন, তাদের সঙ্গে বিমানের কান্ট্রি ম্যানেজারও রয়েছেন।

ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুম ১৯৭৭ সালের ১৭ অক্টোবর ঢাকায় জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ২০০২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে পাইলট হিসেবে যোগদান করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

বাঁচানো গেল না পাইলট নওশাদ কাইয়ুমকে

প্রকাশিত সময় : ০৭:২৯:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অগাস্ট ২০২১

মধ্য আকাশে অসুস্থ হওয়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুম ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শত চেষ্টা করেও তাকে বাঁচানো গেল না। সোমবার (৩০ আগস্ট) এ কথা নিশ্চত করেছেন পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান।

ওমানের রাজধানী মাস্কাট থেকে গত ২৭ আগস্ট ১২৪ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকায় ফেরার পথে মধ্য আকাশে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের শিডিউল ফ্লাইটটি ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। সেখান থেকে খুব দ্রুত তাকে স্থানীয় হোপ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই নিবিড় পর্যবেক্ষণে (আইসিইউ) রেখে তার চিকিৎসা চলছিল।

ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুম তার স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে।

বিমান বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এর আগে জানানো হয়, তার চিকিৎসায় একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখে মেডিক্যাল বোর্ড। প্রায় তিনদিন ধরে চেষ্টা চালিয়েও ফেরানো যায়নি তাকে।

আইসিইউতে তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে আজ সকালে বিমানের উপ-মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার জানিয়েছিলেন, নওশাদের অবস্থার উন্নতি হয়নি। হাসপাতালে তার দুই বোনও রয়েছেন, তাদের সঙ্গে বিমানের কান্ট্রি ম্যানেজারও রয়েছেন।

ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুম ১৯৭৭ সালের ১৭ অক্টোবর ঢাকায় জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ২০০২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে পাইলট হিসেবে যোগদান করেন।