মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৫২ রানের জয় নিউজিল্যান্ডের

পাঁচ ম্যাচ সিরিজের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুই ম্যাচে এগিয়ে ছিল টাইগাররা। তৃতীয় ম্যাচ জিতলেই সিরিজ জয় নিশ্চিত হতো। কিন্তু দুই ম্যাচ জয়ের পর অতি-আত্মবিশ্বাসই হয়ে ওঠে তারা। আর তা-ই কাল হয়ে দাঁড়ালো তাদের। তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) কিউই বোলারদের বিপক্ষে ব্যাট হাতে লড়াই করতে পারেনি টাইগার ব্যাটসম্যানরা। তৃতীয় ম্যাচে ভরাডুবি হলো তাদের। সেই সাথে টাইগাররা তৃতীয় ম্যাচে নিশ্চিত করতে পারল না সিরিজ জয়।

এদনি তৃতীয় ম্যাচে এজাজ প্যাটেলের বোলিং ঘূর্নির সামনে কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারেনি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বাহিনী। তাই নিধারিত ২০ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ৭৬ রান তুলতে সক্ষম হয় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ফলে ৫২ রানে জিতল কিউইরা।

এদিকে নিউজিল্যান্ডের দেয়া ১২৮ রানের জবাবে শুরুটা ভালোই করেছিল টাইগার দুই ওপেনার লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাইম। কিন্তু দ্রুত রান তুলতে গিয়ে ম্যাকলিনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফিরেন।

কিউইদের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে শূন্য রানে আউট হন সাকিব

আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৯ বলে ১৫ রান। এরপর ক্রিজে এসে টিকতে পারেননি মেহেদী হাসান ও সাকিব আল হাসান। তাড়াহুড়ো করে খেলতে গিয়ে মেহেদী ১ রান করে এজাজ প্যাটেলের বলে ক্যাচ তুলে দেন নিকোলসের হাতে। একই ওভারে সাকিব ফেরেন শূন্য রানে। তিনি ক্রিজে এসেই প্রথম বলে লং অনে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন ম্যাককনচির হাতে। দলীয় ২৫ রানে ৩ উইকেট খুইয়ে চাপে পড়ে টাইগাররা। এরপর রাচিন রবীন্দ্রর বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন ক্রিজে থিতু হওয়া মোহাম্মদ নাইম। ২ চারে ১৯ বলে ১৩ রান করেন এই বাঁহাতি ওপেনার। দলীয় ৩২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর জুটিতে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সই স্বপ্ন পূরণ করতে দেয়নি এজাজ প্যাটেল। পরপর দুই বলে ফেরালেন মাহমুদউল্লাহ-আফিফকে। টাইগার অধিনায়ক ৭ বলে ৩ রান করলেও আফিফ ফেরেন শূন্য রানেই। এর পর নিয়মিত উইকেট হারায় বাংলাদেশ। কিউইদের হয়ে বল হাতে এজাজ একাই শিকার করেন ৪ উইকেট।

এর আগে আজ টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ডের দলপতি টম লাথাম। শুরুতেই ঝড়ের আভাস দেন কিউই ওপেনার ফিন অ্যালেন। প্রথম ওভারে মেহেদী হাসানকে হাঁকান দুই চার। তবে অ্যালেনকে বেশিদূর যেতে দেননি মোস্তাফিজুর রহমান। তার বল বুঝতে না পেরে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ তুলে দেন। অ্যালেন ১০বলে ৩ চারের সাহায্যে ১৫ রান করেন। তবে শুরুতে উইকেট হারালেও ফের ঘুরে দাঁড়ায় কিউইরা। উইল ইয়ং ও রাচিন রবীন্দ্র রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন। কিন্তু সাইফউদ্দিনের লেন্থ বলে পরাস্ত হন উইল ইয়ং। সাইফউদ্দিন একই ওভারে ষষ্ঠ বলে এলবিডব্লিউ করে সাজঘরে ফেরান গ্র্যান্ডহোমকেও। ইয়ং ২০ বলে ২০ রান করলেও গ্র্যান্ডহোম রানের খাতা খুলতে পারেননি।

এরপর বল হাতে চমক দেখান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার বলে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে বোল্ড হন রাচিন রবীন্দ্র।আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২০ বলে ২০ রান। এরপর ক্রিজে আসেন নিউজিল্যান্ডের দলপতি টম লাথাম। কিন্তু ১১তম ওভারের ৫ম বলে মেহেদীর করা বলে তার হাতেই ক্যাচ তুলে দেন লাথাম। আউটের আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৯ বলে ৫ রান। এরপর ব্যান্ডেল ও নিকোলাসের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে শত রান তুলতে সক্ষম হয় কিউইরা। ব্যান্ডেল ৩০ ও নিকোলাস ৩৬ রান তুলে অপরাজিত ছিলেন।- ভোরের কাগজ

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

৫২ রানের জয় নিউজিল্যান্ডের

প্রকাশিত সময় : ০৯:৫৬:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

পাঁচ ম্যাচ সিরিজের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুই ম্যাচে এগিয়ে ছিল টাইগাররা। তৃতীয় ম্যাচ জিতলেই সিরিজ জয় নিশ্চিত হতো। কিন্তু দুই ম্যাচ জয়ের পর অতি-আত্মবিশ্বাসই হয়ে ওঠে তারা। আর তা-ই কাল হয়ে দাঁড়ালো তাদের। তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) কিউই বোলারদের বিপক্ষে ব্যাট হাতে লড়াই করতে পারেনি টাইগার ব্যাটসম্যানরা। তৃতীয় ম্যাচে ভরাডুবি হলো তাদের। সেই সাথে টাইগাররা তৃতীয় ম্যাচে নিশ্চিত করতে পারল না সিরিজ জয়।

এদনি তৃতীয় ম্যাচে এজাজ প্যাটেলের বোলিং ঘূর্নির সামনে কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারেনি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বাহিনী। তাই নিধারিত ২০ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ৭৬ রান তুলতে সক্ষম হয় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ফলে ৫২ রানে জিতল কিউইরা।

এদিকে নিউজিল্যান্ডের দেয়া ১২৮ রানের জবাবে শুরুটা ভালোই করেছিল টাইগার দুই ওপেনার লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাইম। কিন্তু দ্রুত রান তুলতে গিয়ে ম্যাকলিনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফিরেন।

কিউইদের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে শূন্য রানে আউট হন সাকিব

আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৯ বলে ১৫ রান। এরপর ক্রিজে এসে টিকতে পারেননি মেহেদী হাসান ও সাকিব আল হাসান। তাড়াহুড়ো করে খেলতে গিয়ে মেহেদী ১ রান করে এজাজ প্যাটেলের বলে ক্যাচ তুলে দেন নিকোলসের হাতে। একই ওভারে সাকিব ফেরেন শূন্য রানে। তিনি ক্রিজে এসেই প্রথম বলে লং অনে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন ম্যাককনচির হাতে। দলীয় ২৫ রানে ৩ উইকেট খুইয়ে চাপে পড়ে টাইগাররা। এরপর রাচিন রবীন্দ্রর বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন ক্রিজে থিতু হওয়া মোহাম্মদ নাইম। ২ চারে ১৯ বলে ১৩ রান করেন এই বাঁহাতি ওপেনার। দলীয় ৩২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর জুটিতে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সই স্বপ্ন পূরণ করতে দেয়নি এজাজ প্যাটেল। পরপর দুই বলে ফেরালেন মাহমুদউল্লাহ-আফিফকে। টাইগার অধিনায়ক ৭ বলে ৩ রান করলেও আফিফ ফেরেন শূন্য রানেই। এর পর নিয়মিত উইকেট হারায় বাংলাদেশ। কিউইদের হয়ে বল হাতে এজাজ একাই শিকার করেন ৪ উইকেট।

এর আগে আজ টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ডের দলপতি টম লাথাম। শুরুতেই ঝড়ের আভাস দেন কিউই ওপেনার ফিন অ্যালেন। প্রথম ওভারে মেহেদী হাসানকে হাঁকান দুই চার। তবে অ্যালেনকে বেশিদূর যেতে দেননি মোস্তাফিজুর রহমান। তার বল বুঝতে না পেরে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ তুলে দেন। অ্যালেন ১০বলে ৩ চারের সাহায্যে ১৫ রান করেন। তবে শুরুতে উইকেট হারালেও ফের ঘুরে দাঁড়ায় কিউইরা। উইল ইয়ং ও রাচিন রবীন্দ্র রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন। কিন্তু সাইফউদ্দিনের লেন্থ বলে পরাস্ত হন উইল ইয়ং। সাইফউদ্দিন একই ওভারে ষষ্ঠ বলে এলবিডব্লিউ করে সাজঘরে ফেরান গ্র্যান্ডহোমকেও। ইয়ং ২০ বলে ২০ রান করলেও গ্র্যান্ডহোম রানের খাতা খুলতে পারেননি।

এরপর বল হাতে চমক দেখান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার বলে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে বোল্ড হন রাচিন রবীন্দ্র।আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২০ বলে ২০ রান। এরপর ক্রিজে আসেন নিউজিল্যান্ডের দলপতি টম লাথাম। কিন্তু ১১তম ওভারের ৫ম বলে মেহেদীর করা বলে তার হাতেই ক্যাচ তুলে দেন লাথাম। আউটের আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৯ বলে ৫ রান। এরপর ব্যান্ডেল ও নিকোলাসের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে শত রান তুলতে সক্ষম হয় কিউইরা। ব্যান্ডেল ৩০ ও নিকোলাস ৩৬ রান তুলে অপরাজিত ছিলেন।- ভোরের কাগজ