বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে জাহাঙ্গীরনগরে বিক্ষোভ মিছিল

২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার তারিখ ঘোষণা এবং ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় সচল করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে বারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবন হতে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি পুরাতন রেজিস্ট্রার ভবন, পরিবহন চত্বর ঘুরে নতুন রেজিস্ট্রার ভবনে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল রনি বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় খোলার প্রস্তুতির ক্ষেত্রে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে। এর কারণ কি ছাত্ররা জানতে চায়। আমরা জানি ইউজিসি সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে টিকা গ্রহণের তথ্য চেয়েছে। কিন্তু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় তা প্রেরণ করেনি। এর মাধ্যমেই আমরা প্রশাসনের আন্তরিকতা বুঝতে পারছি। আমরা বলতে চাই ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা না হলে আমরা বুঝে নিবো ভ্যাক্সিন কোন ইস্যু নয়। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার অন্য কোন কারণ রয়েছে।

ইতিহাস বিভাগের ৪৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী নুসরাত ফারিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রীর স্পষ্ট বার্তা রয়েছে। টিকা নিয়ে শিক্ষার্থীদের হলে উঠাতে হবে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছে। এর পরেও প্রশাসন টালবাহনা করছে। অনলাইনে ক্লাস-পরীক্ষার নামে প্রহসন করছে। অনলাইনের নামে শিক্ষার্থীদের মানসিক যন্ত্রণা দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের গ্রাম থেকে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী ছাত্রাবাসে থাকতে হচ্ছে এবং অভিভাবকদের অতিরিক্ত খরচের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহবায়ক শোভন রহমান বলেন, আমরা প্রশাসনকে বলতে চাই ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমরা আবাসিক হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হলে উঠবো। এজন্য আপনারা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। হলে উঠতে না দিলে আমরা পরবর্তী কর্মসূচিতে যাবো।

সমাবেশ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের অনুপস্থিতে উপাচার্যের একান্ত সচিব সানোয়ার হোসেন শিক্ষার্থীদের থেকে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। স্মারকলিপিতে তিন দফা দাবি পেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

দাবিগুলো হলো- ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় সচল করবার তারিখ ঘোষণা করা, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্বাভাবিক কার্যক্রম সচল করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভ্যাকসিনেশন বুথ স্থাপন করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন গ্রহণ সংক্রান্ত জটিলতা দূর করা।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে কতৃপক্ষ প্রস্তুতি গ্রহণ করছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ। তিনি বলেন, আজ বিকেলে প্রশাসনিক মিটিং আছে, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে কিভাবে প্রস্তুতি নেওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। শীঘ্রই সিন্ডিকেট সভা আয়োজনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে। তবে তার আগে আমাদের কিছু প্রস্তুতির দরকার রয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে জাহাঙ্গীরনগরে বিক্ষোভ মিছিল

প্রকাশিত সময় : ০৯:৩৭:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার তারিখ ঘোষণা এবং ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় সচল করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে বারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবন হতে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি পুরাতন রেজিস্ট্রার ভবন, পরিবহন চত্বর ঘুরে নতুন রেজিস্ট্রার ভবনে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল রনি বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় খোলার প্রস্তুতির ক্ষেত্রে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে। এর কারণ কি ছাত্ররা জানতে চায়। আমরা জানি ইউজিসি সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে টিকা গ্রহণের তথ্য চেয়েছে। কিন্তু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় তা প্রেরণ করেনি। এর মাধ্যমেই আমরা প্রশাসনের আন্তরিকতা বুঝতে পারছি। আমরা বলতে চাই ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা না হলে আমরা বুঝে নিবো ভ্যাক্সিন কোন ইস্যু নয়। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার অন্য কোন কারণ রয়েছে।

ইতিহাস বিভাগের ৪৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী নুসরাত ফারিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রীর স্পষ্ট বার্তা রয়েছে। টিকা নিয়ে শিক্ষার্থীদের হলে উঠাতে হবে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছে। এর পরেও প্রশাসন টালবাহনা করছে। অনলাইনে ক্লাস-পরীক্ষার নামে প্রহসন করছে। অনলাইনের নামে শিক্ষার্থীদের মানসিক যন্ত্রণা দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের গ্রাম থেকে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী ছাত্রাবাসে থাকতে হচ্ছে এবং অভিভাবকদের অতিরিক্ত খরচের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহবায়ক শোভন রহমান বলেন, আমরা প্রশাসনকে বলতে চাই ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমরা আবাসিক হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হলে উঠবো। এজন্য আপনারা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। হলে উঠতে না দিলে আমরা পরবর্তী কর্মসূচিতে যাবো।

সমাবেশ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের অনুপস্থিতে উপাচার্যের একান্ত সচিব সানোয়ার হোসেন শিক্ষার্থীদের থেকে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। স্মারকলিপিতে তিন দফা দাবি পেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

দাবিগুলো হলো- ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় সচল করবার তারিখ ঘোষণা করা, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্বাভাবিক কার্যক্রম সচল করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভ্যাকসিনেশন বুথ স্থাপন করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন গ্রহণ সংক্রান্ত জটিলতা দূর করা।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে কতৃপক্ষ প্রস্তুতি গ্রহণ করছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ। তিনি বলেন, আজ বিকেলে প্রশাসনিক মিটিং আছে, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে কিভাবে প্রস্তুতি নেওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। শীঘ্রই সিন্ডিকেট সভা আয়োজনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে। তবে তার আগে আমাদের কিছু প্রস্তুতির দরকার রয়েছে।