শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তালেবানের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেছে আফগান নারী খেলোয়াড়দের

আফগানিস্তানের হেরাতে নিজ বাড়িতে বসে বার্তা সংস্থা এএফপির সঙ্গে কথা বলছিলেন নূরী। তিনি জানান, খেলায় হেরে গেলে আমাদের খুব খারাপ লাগে। আর এখন আমরা তালেবানের কাছে হেরে বসে আছি।

নূরী জানান, আমাদের জীবন পুরোপুরি বদলে গেছে। প্রায় এক দশক আগে  প্রাদেশিক দলে যোগ দিয়েছিলেন নূরী। এরপর জাতীয় পর্যায়ে জায়গা করে নেন তিনি।

নিজের জেতা বিভিন্ন ট্রফির পাশে বসে নূরী বলেন, জাতীয় তায়কোয়ান্দো দলের  প্রতিটি খেলোয়াড় স্বপ্ন দেখতেন অলিম্পিকে নিজের দেশের পতাকা উড়ানোর। কিন্তু এখন আমাদের জোর করে ঘরে আটকে রাখা হয়েছে।  দিন দিন আমরা হতাশ হয়ে যাচ্ছি।

২০০৮ সালে রোহুল্লাহ নিকপাই আফগানিস্তানের হয়ে অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ পদক জেতার পর তায়কোয়ান্দোর জনপ্রিয়তা দেশটিতে বেড়ে যায়।

১২ থেকে ২৫ বছর বয়সী প্রায় ১৩০ জন মেয়ে হেরাতের তায়কোয়ান্দো জিমের সদস্য ছিলেন। কিন্তু তালেবান ক্ষমতা দখলের পর আর তারা প্রশিক্ষণ নিতে পারছেন না।

এদিকে শুধু পুরুষদের নিয়ে গঠিত তালেবানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আফগানিস্তানের নারী বিষয়ক মন্ত্রণালয় বন্ধ করে দিয়েছে। এর বদলে ১৯৯৬-২০০১ সালের শাসনামলে তালেবানের গঠিত মোর্যাণল পুলিশকে ফিরিয়ে আনছে রক্ষণশীল এই সংগঠনটি।

দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতা দখলের পর দেশটিতে নারীদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে তালেবান। পাশাপাশি মেয়েদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণও নিষিদ্ধ করেছে তারা।  এমনকি খেলাধুলায় অংশ নিলে নারীরা তালেবানের রোষানলে পড়তে পারেন বলে কানাঘুষা শোনা যাচ্ছে।

সূত্র: যুগান্তর

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

তালেবানের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেছে আফগান নারী খেলোয়াড়দের

প্রকাশিত সময় : ০৫:৩৫:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

আফগানিস্তানের হেরাতে নিজ বাড়িতে বসে বার্তা সংস্থা এএফপির সঙ্গে কথা বলছিলেন নূরী। তিনি জানান, খেলায় হেরে গেলে আমাদের খুব খারাপ লাগে। আর এখন আমরা তালেবানের কাছে হেরে বসে আছি।

নূরী জানান, আমাদের জীবন পুরোপুরি বদলে গেছে। প্রায় এক দশক আগে  প্রাদেশিক দলে যোগ দিয়েছিলেন নূরী। এরপর জাতীয় পর্যায়ে জায়গা করে নেন তিনি।

নিজের জেতা বিভিন্ন ট্রফির পাশে বসে নূরী বলেন, জাতীয় তায়কোয়ান্দো দলের  প্রতিটি খেলোয়াড় স্বপ্ন দেখতেন অলিম্পিকে নিজের দেশের পতাকা উড়ানোর। কিন্তু এখন আমাদের জোর করে ঘরে আটকে রাখা হয়েছে।  দিন দিন আমরা হতাশ হয়ে যাচ্ছি।

২০০৮ সালে রোহুল্লাহ নিকপাই আফগানিস্তানের হয়ে অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ পদক জেতার পর তায়কোয়ান্দোর জনপ্রিয়তা দেশটিতে বেড়ে যায়।

১২ থেকে ২৫ বছর বয়সী প্রায় ১৩০ জন মেয়ে হেরাতের তায়কোয়ান্দো জিমের সদস্য ছিলেন। কিন্তু তালেবান ক্ষমতা দখলের পর আর তারা প্রশিক্ষণ নিতে পারছেন না।

এদিকে শুধু পুরুষদের নিয়ে গঠিত তালেবানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আফগানিস্তানের নারী বিষয়ক মন্ত্রণালয় বন্ধ করে দিয়েছে। এর বদলে ১৯৯৬-২০০১ সালের শাসনামলে তালেবানের গঠিত মোর্যাণল পুলিশকে ফিরিয়ে আনছে রক্ষণশীল এই সংগঠনটি।

দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতা দখলের পর দেশটিতে নারীদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে তালেবান। পাশাপাশি মেয়েদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণও নিষিদ্ধ করেছে তারা।  এমনকি খেলাধুলায় অংশ নিলে নারীরা তালেবানের রোষানলে পড়তে পারেন বলে কানাঘুষা শোনা যাচ্ছে।

সূত্র: যুগান্তর