২৫ সেপ্টেম্বর, আজ বিশ্ব খরগোশ দিবস। প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের চতুর্থ শনিবার আন্তর্জাতিক খরগোশ দিবস পালন করা হয়। গৃহপালিত এবং বন্য খরগোশের সুরক্ষা ও পরিচর্যার জন্য এই দিবসটি পালিত হয়।
প্রথম আন্তর্জাতিক খরগোশ দিবস ১৯৯৮ সালে সেপ্টেম্বরের চতুর্থ শনিবারে অনুষ্ঠিত হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে, আন্তর্জাতিক খরগোশ দিবসটি প্রথম যুক্তরাজ্যে পালন করা হয়। সেখান থেকে এটি অস্ট্রেলিয়া এবং তারপর পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।
খরগোশ বা শশক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের ‘ল্যাগোমর্ফা’ বর্গের ‘লেপরিডি’ গোত্রের সদস্য প্রাণীদের সাধারণ নাম। এই গোত্রটিতে প্রায় ৫২টি প্রজাতির খরগোশ অন্তর্ভুক্ত। এই প্রাণীর সবাই প্রধানত তৃণভূমি এলাকার বাসিন্দা।
প্রায় সব খরগোশ তৃণভূমি এলাকায় বসবাস করে থাকে। তীব্র ঠাণ্ডা এলাকা থেকে অতি উষ্ণ এলাকা পর্যন্ত সর্বত্রই এদের বিস্তৃতি রয়েছে। অবশ্য কেবলমাত্র কুমেরু অঞ্চলে এদের দেখা যায় না। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং আরো কয়েকটি দেশে খুব বেশি খরগোশ দেখা যায় না। মানুষের মাধ্যমে যে দেশে এদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে, সেখানে এরা ক্ষতিকর প্রাণী হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকে। পূর্ব গোলার্ধে এদের প্রজাতি সংখ্যা ২৮ আর পশ্চিম গোলার্ধে ২৪।
খরগোশ
খরগোশ পালনের সুবিধা
>> খরগোশ দ্রুত বর্ধনশীল প্রাণী। এদের খাদ্য দক্ষতা অপেক্ষাকৃত ভালো।
>> এক মাস পরপর এক সঙ্গে দুই থেকে আটটি বাচ্চা প্রসব করে।
>> অল্প জায়গায় ও স্বল্প খাদ্যে পারিবারিকভাবে পালন করা যায়। অল্প খরচে অধিক উৎপাদন সম্ভব।
>> খরগোশের মাংস অধিক পুষ্টি গুণসম্পন্ন । সব ধর্মের মানুষই এর মাংস খেতে পারে।
>> মাংস উৎপাদনে পোল্ট্রির পরেই খরগোশের স্থান।
>> ঘরের অবশিষ্টাংশ এবং বাড়ির আশেপাশের ঘাস ও লতা-পাতা খাইয়ে এদের লালন-পালন করা সম্ভব।
>> পারিবারিক শ্রমের সফল প্রয়োগ করা সম্ভব।

দৈনিক দেশ নিউজ বিডি ডটকম ডেস্ক 
























