শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অনলাইন পরীক্ষা চলাকালে মায়ের মৃত্যু দেখলেন ঢাবি শিক্ষার্থী

অনলাইনে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী রাজীব মোহাম্মদ। এ সময় তিনি টের পান মায়ের কিছু হয়েছে। জুম প্লাটফর্মে কেঁদে দেন রাজীব। দায়িত্বরত শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে পরীক্ষা থেকে বের হওয়ার পর জানলেন, মা আর পৃথিবীতে নেই।

রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল দশটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা চলাকালীন এ ঘটনা ঘটে।

রাজীবের সহপাঠী শরীফ মিয়া বলেন, আমরা সবাই পরীক্ষা দিচ্ছিলাম। সকাল ১০টার কিছু আগে রাজীব লিভ নেয়। পরে আমরা জানতে পারি ওর মা মারা গেছে। আসলে এটা কঠিন পরিস্থিতি। অথচ আজকে আমাদের আনন্দ করার কথা। আমরা সবাই শোকাহত।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সহপাঠী আল আমিন সরকার লিখেছেন, অনলাইন পরীক্ষা চলছিল। প্রায় ৩০ মিনিট অতিক্রান্ত হয়েছে এমন অবস্থায়, হঠাৎ কান্নার শব্দ পেলাম। ডিসপ্লেতে তাকিয়ে দেখি বন্ধু রাজীবের চোখে পানি। রাজীব বলতেছে, ম্যাম, ম্যাম….., ম্যাম, আমি কী লিভ নিতে পারি! আমার মায়ের কী যেন হয়েছে।

এক মিনিট পর লিভ নেওয়ার অনুমতি পেলেন তিনি। এইতো কিছুক্ষণ আগে শুনলাম তার মা আর ইহজগতে নেই! আমরা পরীক্ষা শেষ করে কেবলই একটা ফুরফুরে মেজাজে হাসিখুশিতে মেতে উঠছিলাম আর বন্ধুর জীবনে কত বড় পরীক্ষা হয়ে গেল। মৃত্যু কত নিষ্ঠুর কখন ডাক আসবে কেউ জানে না। আল্লাহ উনাকে মাগফিরাত দান করে জান্নাত দান করুক এবং  আমার বন্ধু ও তার পরিবারকে যেন ধৈর্য ধারণ করার তৌফিক দান করেন, আমিন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

অনলাইন পরীক্ষা চলাকালে মায়ের মৃত্যু দেখলেন ঢাবি শিক্ষার্থী

প্রকাশিত সময় : ০৯:২৭:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

অনলাইনে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী রাজীব মোহাম্মদ। এ সময় তিনি টের পান মায়ের কিছু হয়েছে। জুম প্লাটফর্মে কেঁদে দেন রাজীব। দায়িত্বরত শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে পরীক্ষা থেকে বের হওয়ার পর জানলেন, মা আর পৃথিবীতে নেই।

রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল দশটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা চলাকালীন এ ঘটনা ঘটে।

রাজীবের সহপাঠী শরীফ মিয়া বলেন, আমরা সবাই পরীক্ষা দিচ্ছিলাম। সকাল ১০টার কিছু আগে রাজীব লিভ নেয়। পরে আমরা জানতে পারি ওর মা মারা গেছে। আসলে এটা কঠিন পরিস্থিতি। অথচ আজকে আমাদের আনন্দ করার কথা। আমরা সবাই শোকাহত।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সহপাঠী আল আমিন সরকার লিখেছেন, অনলাইন পরীক্ষা চলছিল। প্রায় ৩০ মিনিট অতিক্রান্ত হয়েছে এমন অবস্থায়, হঠাৎ কান্নার শব্দ পেলাম। ডিসপ্লেতে তাকিয়ে দেখি বন্ধু রাজীবের চোখে পানি। রাজীব বলতেছে, ম্যাম, ম্যাম….., ম্যাম, আমি কী লিভ নিতে পারি! আমার মায়ের কী যেন হয়েছে।

এক মিনিট পর লিভ নেওয়ার অনুমতি পেলেন তিনি। এইতো কিছুক্ষণ আগে শুনলাম তার মা আর ইহজগতে নেই! আমরা পরীক্ষা শেষ করে কেবলই একটা ফুরফুরে মেজাজে হাসিখুশিতে মেতে উঠছিলাম আর বন্ধুর জীবনে কত বড় পরীক্ষা হয়ে গেল। মৃত্যু কত নিষ্ঠুর কখন ডাক আসবে কেউ জানে না। আল্লাহ উনাকে মাগফিরাত দান করে জান্নাত দান করুক এবং  আমার বন্ধু ও তার পরিবারকে যেন ধৈর্য ধারণ করার তৌফিক দান করেন, আমিন।