এ বছর রসায়নশাস্ত্রে অবদানের জন্য যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন জার্মানের বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন লিস্ট ও যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানী ডেভিড ডব্লিউ সি ম্যাকমিলান। বুধবার (৬ অক্টোবর) সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে এক অনুষ্ঠানে নোবেল কমিটি বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে।
ম্যাকমিলান ও লিস্টের কাজ অর্গানোক্যাটালাইসিসের ক্ষেত্রে নতুন দৃশ্যপথ তৈরি করে দিয়েছে। অণুর গঠনে নতুন হাতিয়ার অর্গানোক্যাটালাইসিস উদ্ভাবন করেন এই দুই বিজ্ঞানী। নতুন ওষুধপ্রস্তুতকরণে গবেষণাও যুক্ত করা হয়েছে এর ব্যবহারে। রসায়নকে আরও সবুজায়ন করতে সহায়তা করবে এই উদ্ভাবন। এবারের নোবেল পুরস্কারের এক কোটি সুইডিশ ক্রোনার সমানভাবে ভাগ করে নেবেন এ দুই গবেষক।
এর আগে পদার্থবিজ্ঞান ও চিকিৎসায় বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে নোবেল কমিটি। পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছেন সাইকুরো মানাবে, ক্লাউস হাসেলম্যান এবং জর্জিও পারিসি।
পৃথিবীর জলবায়ু পরিস্থিতির ফিজিক্যাল বা ভৌত মডেল তৈরি, পরবর্তনশীলতা পরিমাপ এবং বৈশ্বিক উষ্ণতার বিষয়টি নির্ভরযোগ্যভাবে অনুমানের জন্য পুরষ্কার পেয়েছেন সাইকুরো মানাবে মানাবে এবং ক্লাউস ক্লাউস হাসেলম্যান। তারা দুজনে এ বছরের নোবেল পুরষ্কারের অর্ধেক পেয়েছেন।
নোবেল পুরষ্কারের বাকি অর্ধেক জর্জিও পারিসি পেয়েছেন পারমাণবিক ও গ্রহীয় পরিসরে ভৌত ব্যবস্থা বা ফিজিক্যাল সিস্টেমের বিশৃঙখলা ও ফ্লাকচুয়েশন পরষ্পরের ওপর কী প্রভাব ফেলে তা আবিষ্কারের জন্য।
চিকিৎসায় যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই চিকিৎসা বিজ্ঞানী আর্ডেম পাতাপোশিয়ান ও ডেভিড জুলিয়াস। তাপমাত্রা ও স্পর্শের অনুভূতির সিরেপ্টর আবিস্কার করার জন্য তারা এই সম্মানে ভূষিত হন। বিভিন্ন পরীক্ষা-নীরিক্ষার মধ্য দিয়ে মানুষ কীভাবে স্নায়ুর স্পন্দনের মাধ্যমে তাপমাত্রা এবং চাপ অনুভব করে তার যান্ত্রিক কৌশল বর্ণনা করতে সফল হয়েছেন দুই বিজ্ঞানী।
১৮৯৫ সালে সুইডেনের বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল যে পাঁচটি ক্ষেত্রে পুরস্কার প্রদানের ব্যাপারে দলিলে উল্লেখ করে গিয়েছিলেন তার মধ্যে এটি অন্যতম। ১৯০১ সাল থেকে নিয়মিত এ পুরস্কারটি দেওয়া হচ্ছে।

দৈনিক দেশ নিউজ বিডি ডটকম ডেস্ক 
























