শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বহু আগেই মৃত্যু হয়েছে আখুন্দজাদার!

বেঁচে নেই তালেবান নেতা আখুন্দজাদা। ২০২০ সালে পাকিস্তান বাহিনীর হাতে মৃত্যু হয়েছে তার। এমনটি জানিয়েছে প্রবীণ তালেবান নেতা আমির আল মুমিনিন।

২০১৬ সালে মোল্লা আখতার মনসুর এক ড্রোন হামলায় নিহত হলে তালেবান প্রধান হন আখুন্দজাদা। সাম্প্রতিক কালে বারবার আফগানিস্তান প্রসঙ্গ এলেই উঠে এসেছে তার নাম। তালেবান কাবুল দখল করার পর থেকেই আখুন্দজাদাকে নিয়ে শুরু হয় জোর জল্পনা। যদিও তালেবানের এই শীর্ষ নেতাকে এখন পর্যন্ত জনসমক্ষে দেখা যায়নি। ইন্টারনেটেও তার একটি মাত্র ছবি দেখা গেছে। এই পরিস্থিতিতে অনেকের মনেই সন্দেহ ছিল, আদৌ বেঁচে আছে তো আখুন্দজাদা? এবার সেই প্রশ্নের জবাব আসলো ‘না’। অনেক আগেই মৃত্যু হয়েছে তার।

প্রবীণ তালেবান নেতা আমির আল মুমিনিন সংবাদমাধ্যমকে জানান, পাকিস্তান বাহিনীর হাতে ২০২০ সালেই মৃত্যু হয়েছিল আখুন্দজাদার।

তালিবানের দাবি, পাক সেনা পরিচালিত এক আত্মঘাতী হামলাতে ২০২০ সালে মৃত্যু হয় আখুন্দজাদার।

২০১৬ সালে মোল্লা আখতার মনসুর এক ড্রোন হামলায় নিহত হলে তালেবান প্রধান হন আখুন্দজাদা। এই অবস্থায় তালেবান আফগানিস্তান দখল করার পর সরকারের সম্ভাব্য তালেকায় বারবার উঠে আসে আখুন্দজাদার নাম। তবে জল্পনা যতই হোক, সরকার পরিচালনায় দেখা যায়নি তাকে। এ নিয়ে তীব্র হতে থাকে আখুন্দজাদার মৃত্যুর জল্পনা।

উল্লেখ্য, এর আগেও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে যে, পাক সেনাদের হাতে মৃত্যু হয়েছে আখুন্দজাদার। তবে সেই বিষয়ে কোনও কথা বলেনি তালেবান।

কট্টরপন্থী হিসেবে পরিচিত ছিল আখুন্দজাদা। নারীদের বিষয়েও চরমপন্থা অবলম্বনের পক্ষপাতী ছিল এই তালিব নেতা। ২০১৬ সাল থেকে তালেবানের যে কোনও রাজনৈতিক, সামরিক বা ধর্মীয় ক্ষেত্রে শেষ কথা বলতেন তিনিই। আফগানিস্তানের কান্দাহারে বাস করত আখুন্দজাদা। কোনওদিনই বিদেশ যাননি আখুন্দজাদা। এমনকি আন্তর্জাতিক বিষয়ে কোনও জ্ঞানই তার ছিল না বলে জানা যায়।

এদিকে আফগানিস্তান তালেবানের দখলে চলে যাওয়ার পর থেকেই দেশটির অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। যা শুরু হয়েছিল কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে আত্মঘাতী হামলা দিয়ে। গত সপ্তাহে আফগানিস্তানের কুন্দুজে একটি শিয়া মসজিদে হামলা চালানো হয়। একই ভাবে এই শুক্রবারও কান্দাহারের এক শিয়া মসজিদে হামলা চালায় আইএস-খোরাসান জঙ্গিরা।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

বহু আগেই মৃত্যু হয়েছে আখুন্দজাদার!

প্রকাশিত সময় : ০১:০২:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২১

বেঁচে নেই তালেবান নেতা আখুন্দজাদা। ২০২০ সালে পাকিস্তান বাহিনীর হাতে মৃত্যু হয়েছে তার। এমনটি জানিয়েছে প্রবীণ তালেবান নেতা আমির আল মুমিনিন।

২০১৬ সালে মোল্লা আখতার মনসুর এক ড্রোন হামলায় নিহত হলে তালেবান প্রধান হন আখুন্দজাদা। সাম্প্রতিক কালে বারবার আফগানিস্তান প্রসঙ্গ এলেই উঠে এসেছে তার নাম। তালেবান কাবুল দখল করার পর থেকেই আখুন্দজাদাকে নিয়ে শুরু হয় জোর জল্পনা। যদিও তালেবানের এই শীর্ষ নেতাকে এখন পর্যন্ত জনসমক্ষে দেখা যায়নি। ইন্টারনেটেও তার একটি মাত্র ছবি দেখা গেছে। এই পরিস্থিতিতে অনেকের মনেই সন্দেহ ছিল, আদৌ বেঁচে আছে তো আখুন্দজাদা? এবার সেই প্রশ্নের জবাব আসলো ‘না’। অনেক আগেই মৃত্যু হয়েছে তার।

প্রবীণ তালেবান নেতা আমির আল মুমিনিন সংবাদমাধ্যমকে জানান, পাকিস্তান বাহিনীর হাতে ২০২০ সালেই মৃত্যু হয়েছিল আখুন্দজাদার।

তালিবানের দাবি, পাক সেনা পরিচালিত এক আত্মঘাতী হামলাতে ২০২০ সালে মৃত্যু হয় আখুন্দজাদার।

২০১৬ সালে মোল্লা আখতার মনসুর এক ড্রোন হামলায় নিহত হলে তালেবান প্রধান হন আখুন্দজাদা। এই অবস্থায় তালেবান আফগানিস্তান দখল করার পর সরকারের সম্ভাব্য তালেকায় বারবার উঠে আসে আখুন্দজাদার নাম। তবে জল্পনা যতই হোক, সরকার পরিচালনায় দেখা যায়নি তাকে। এ নিয়ে তীব্র হতে থাকে আখুন্দজাদার মৃত্যুর জল্পনা।

উল্লেখ্য, এর আগেও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে যে, পাক সেনাদের হাতে মৃত্যু হয়েছে আখুন্দজাদার। তবে সেই বিষয়ে কোনও কথা বলেনি তালেবান।

কট্টরপন্থী হিসেবে পরিচিত ছিল আখুন্দজাদা। নারীদের বিষয়েও চরমপন্থা অবলম্বনের পক্ষপাতী ছিল এই তালিব নেতা। ২০১৬ সাল থেকে তালেবানের যে কোনও রাজনৈতিক, সামরিক বা ধর্মীয় ক্ষেত্রে শেষ কথা বলতেন তিনিই। আফগানিস্তানের কান্দাহারে বাস করত আখুন্দজাদা। কোনওদিনই বিদেশ যাননি আখুন্দজাদা। এমনকি আন্তর্জাতিক বিষয়ে কোনও জ্ঞানই তার ছিল না বলে জানা যায়।

এদিকে আফগানিস্তান তালেবানের দখলে চলে যাওয়ার পর থেকেই দেশটির অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। যা শুরু হয়েছিল কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে আত্মঘাতী হামলা দিয়ে। গত সপ্তাহে আফগানিস্তানের কুন্দুজে একটি শিয়া মসজিদে হামলা চালানো হয়। একই ভাবে এই শুক্রবারও কান্দাহারের এক শিয়া মসজিদে হামলা চালায় আইএস-খোরাসান জঙ্গিরা।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস