শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নাইজেরিয়ায় বন্দুক হামলায় নিহত ৪৩

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় সোকোটো রাজ্যে বন্দুকধারীদের হামলায় গুলিতে অন্তত ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

রাজ্যের গোরোনিও এলাকার একটি সাপ্তাহিক হাটে রোববার হামলা শুরু করে সোমবার সকাল পর্যন্ত তাণ্ডব চালায় হামলাকারীরা।
সোমবার রাজ্যটির গভর্নর আমিনু ওয়াজিরি টামবুওয়াল এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের
স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী ইলিয়াসু বলেন, গোরোনিও জেনারেল হাসপাতালের মরচুয়ারিতে ৬০টি লাশ ছিল আর অন্যরা পালানোর সময় আহত হলেও বেঁচে গেছে। ক্রেতা ও বিক্রেতায় হাট যখন সরগরম তখনই বন্দুকধারীরা এসে তাণ্ডব শুরু করে।
তিনি জানান, হামলাকারীরা চারদিক থেকে ঘিরে ধরে হাটে থাকা লোকজনকে লক্ষ্য করে নির্বিচার গুলি শুরু করে। হাটের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও হামলাকারীরা সংখ্যায় অনেক বেশি হওয়ায় তারা আর পেরে ওঠেনি।
ঘটনার বিষয়ে মন্তব্যের পুলিশের একজন মুখপাত্রকে করা রয়টার্সের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেননি তিনি।
গত কয়েক বছরে বন্দুকধারীরা নাইজেরিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে বহু লোককে হত্যা করেছে এবং মুক্তিপণের জন্য শত শত জনকে অপহরণ করেছে। এতে দেখা দেওয়া নিরাপত্তা সংকট সামলাতে ওই অঞ্চলের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়ে সামরিক অভিযান শুরু করে সরকার, পুলিশের তৎপরতাও বাড়ানো হয়।
সেপ্টেম্বরের প্রথমদিকে পুরো জামফারা রাজ্যে সব ধরনের টেলিফোন ও ইন্টারনেট সার্ভিস বন্ধ করে রাখার নির্দেশ দেয় সরকার। এরপর কাটসিনা, সোকোটো ও কাদুনা রাজ্যে সামরিক অভিযান জোরদার হলে রাজ্যগুলোর কয়েকটি অংশেও একই নির্দেশনা জারি করে সরকার।
গত সপ্তাহে নাইজেরিয়ার সামরিক বাহিনীর প্রধান বলেছিলেন, টেলিযোগাযোগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তটি দস্যুদের দমনে রত সশস্ত্র বাহিনীর সহায়ক হওয়ায় এটি বজায় রাখা হবে। কিন্তু এর কারণে ওই অঞ্চলে কী ঘটছে তা জানা কঠিন হয়ে পড়েছে এবং দৈনন্দিন জীবন ও ব্যবসা-বাণিজ্যে বিঘ্ন ঘটছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
সোকোটোতে আরও নিরাপত্তা বাহিনী ও উপকরণ মোতায়েনের অনুরোধ জানিয়েছেন গভর্নর টামবুওয়াল।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

নাইজেরিয়ায় বন্দুক হামলায় নিহত ৪৩

প্রকাশিত সময় : ১০:৪০:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর ২০২১

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় সোকোটো রাজ্যে বন্দুকধারীদের হামলায় গুলিতে অন্তত ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

রাজ্যের গোরোনিও এলাকার একটি সাপ্তাহিক হাটে রোববার হামলা শুরু করে সোমবার সকাল পর্যন্ত তাণ্ডব চালায় হামলাকারীরা।
সোমবার রাজ্যটির গভর্নর আমিনু ওয়াজিরি টামবুওয়াল এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের
স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী ইলিয়াসু বলেন, গোরোনিও জেনারেল হাসপাতালের মরচুয়ারিতে ৬০টি লাশ ছিল আর অন্যরা পালানোর সময় আহত হলেও বেঁচে গেছে। ক্রেতা ও বিক্রেতায় হাট যখন সরগরম তখনই বন্দুকধারীরা এসে তাণ্ডব শুরু করে।
তিনি জানান, হামলাকারীরা চারদিক থেকে ঘিরে ধরে হাটে থাকা লোকজনকে লক্ষ্য করে নির্বিচার গুলি শুরু করে। হাটের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও হামলাকারীরা সংখ্যায় অনেক বেশি হওয়ায় তারা আর পেরে ওঠেনি।
ঘটনার বিষয়ে মন্তব্যের পুলিশের একজন মুখপাত্রকে করা রয়টার্সের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেননি তিনি।
গত কয়েক বছরে বন্দুকধারীরা নাইজেরিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে বহু লোককে হত্যা করেছে এবং মুক্তিপণের জন্য শত শত জনকে অপহরণ করেছে। এতে দেখা দেওয়া নিরাপত্তা সংকট সামলাতে ওই অঞ্চলের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়ে সামরিক অভিযান শুরু করে সরকার, পুলিশের তৎপরতাও বাড়ানো হয়।
সেপ্টেম্বরের প্রথমদিকে পুরো জামফারা রাজ্যে সব ধরনের টেলিফোন ও ইন্টারনেট সার্ভিস বন্ধ করে রাখার নির্দেশ দেয় সরকার। এরপর কাটসিনা, সোকোটো ও কাদুনা রাজ্যে সামরিক অভিযান জোরদার হলে রাজ্যগুলোর কয়েকটি অংশেও একই নির্দেশনা জারি করে সরকার।
গত সপ্তাহে নাইজেরিয়ার সামরিক বাহিনীর প্রধান বলেছিলেন, টেলিযোগাযোগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তটি দস্যুদের দমনে রত সশস্ত্র বাহিনীর সহায়ক হওয়ায় এটি বজায় রাখা হবে। কিন্তু এর কারণে ওই অঞ্চলে কী ঘটছে তা জানা কঠিন হয়ে পড়েছে এবং দৈনন্দিন জীবন ও ব্যবসা-বাণিজ্যে বিঘ্ন ঘটছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
সোকোটোতে আরও নিরাপত্তা বাহিনী ও উপকরণ মোতায়েনের অনুরোধ জানিয়েছেন গভর্নর টামবুওয়াল।