শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিশ্বে ৪৯ লাখ ২৮ হাজার প্রাণ নিল করোনা

শ্বাসতন্ত্রের প্রাণঘাতী রোগ করোনা ভাইরাসের ভয়াল থাবায় গেল ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ-মৃত্যু বেড়েছে গোটা বিশ্বে। সেই সঙ্গে বাড়ল প্রাণঘাতী রোগটি থেকে সুস্থতার হারও। মহামারি শুরুর পর থেকে রোগটিতে মৃত্যু, আক্রান্ত ও সুস্থতার হালনাগাদ তথ্য প্রদানকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডো মিটারস এ তথ্য জানিয়েছে।

বুধবার (২০ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় ওয়েবসাইটটির পরিসংখ্যানে বলা হয়, শেষ ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে কোভিড সংক্রমিত হয়েছেন চার লাখ ১০ হাজার ৬২৯ জন। আর প্রাণঘাতী এ রোগে মৃত্যু হয়েছে সাত হাজার ১৪১ জনের। একই সঙ্গে এদিন মহামারি আঁকারে থাবা বসানো করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন চার লাখ ৫৪ হাজার ২৮৩ জন।

এর আগের দিন, অর্থাৎ সোমবার বিশ্বে মহামারি করোনায় নতুন করে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ছিল তিন লাখ ৫২ হাজার ৮৬৪ জন। ওইদিন রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল পাঁচ হাজার ১৬৮ জনের। এছাড়া সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়ে বাড়ি ফিরে গেছেন চার লাখ ৪৩ হাজার ২১০ জন।

অর্থাৎ, গেল এক দিনের ব্যবধানে বিশ্বে কোভিড শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ৫৭ হাজার ৭৬৫ জন। আর প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯৭৩ জনে।

একই সঙ্গে নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে মহামারি করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ১১ হাজার ৭৩ জনে পৌঁছেছে।

সোমবারের মতো মঙ্গলবারও করোনায় নতুন করে মৃত্যু ও আক্রান্তের হিসেবে বিশ্বের দেশসমূহের মধ্যে শীর্ষে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ওয়ার্ল্ডো মিটারসের তথ্য অনুযায়ী, এদিন দেশটিতে কোভিড শনাক্ত হয়েছেন ৭১ হাজার ৭৬১ জন। আর মারা গেছেন এক হাজার ৫৫৮ জন।

যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অন্যান্য যেসব দেশে এবার করোনায় আক্রান্ত-মৃত্যুর উচ্চহার দেখা গেছে; সে দেশগুলো হলো– যুক্তরাজ্য (নতুন রোগী ৪৩ হাজার ৭৩৮ জন, মৃত্যু ২২৩ জন), রাশিয়া (নতুন রোগী ৩০ হাজার ৭৪০ জন, মৃত্যু এক হাজার ১৫ জন) ও ইউরোপের দেশ তুরস্ক (নতুন রোগী ৩০ হাজার ৮৬২ জন, মৃত্যু এক হাজার ১৫ জন)।

এতদিন করোনায় বিপর্যস্ত থাকা দক্ষিণ এশিয়ার ঘনবসতিপূর্ণ দেশ ভারত ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলেও কমে আসছে রোগটিতে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার। মঙ্গলবার ভারতে করোনায় নতুন সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ছিল ১৪ হাজার ৯৩৬ জন। আর রোগটিতে মৃত্যু হয়েছে ১৯৯ জন। অপর দিকে এদিন ব্রাজিলে কোভিড শনাক্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৯৬৯ জন। এছাড়া দেশটিতে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৮১ জন।

ওয়ার্ল্ডো মিটারসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ কোটি ২৩ লাখ সাত হাজার ৩৪৩ জন। আর রোগটিতে সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ৪৯ লাখ ২৮ হাজার ২৫৩ জন।

এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত কোভিড সংক্রমিত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ২১ কোটি ৯৬ লাখ ৫৬ হাজার ৪৩৪ জন।

স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বর্তমানে বিশ্বে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা এক কোটি ৭৭ লাখ ২২ হাজার ৬৫৬ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ বহন করছেন এক কোটি ৭৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫৫৬ জন। আর গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন ৭৮ হাজার ১০৬ জন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে এশিয়ার পরাশক্তি চীনের উহান শহরে প্রথম করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ প্রাণঘাতী ভাইরাসটিকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি সংস্থাটি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

বিশ্বে ৪৯ লাখ ২৮ হাজার প্রাণ নিল করোনা

প্রকাশিত সময় : ১২:০৬:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অক্টোবর ২০২১

শ্বাসতন্ত্রের প্রাণঘাতী রোগ করোনা ভাইরাসের ভয়াল থাবায় গেল ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ-মৃত্যু বেড়েছে গোটা বিশ্বে। সেই সঙ্গে বাড়ল প্রাণঘাতী রোগটি থেকে সুস্থতার হারও। মহামারি শুরুর পর থেকে রোগটিতে মৃত্যু, আক্রান্ত ও সুস্থতার হালনাগাদ তথ্য প্রদানকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডো মিটারস এ তথ্য জানিয়েছে।

বুধবার (২০ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় ওয়েবসাইটটির পরিসংখ্যানে বলা হয়, শেষ ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে কোভিড সংক্রমিত হয়েছেন চার লাখ ১০ হাজার ৬২৯ জন। আর প্রাণঘাতী এ রোগে মৃত্যু হয়েছে সাত হাজার ১৪১ জনের। একই সঙ্গে এদিন মহামারি আঁকারে থাবা বসানো করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন চার লাখ ৫৪ হাজার ২৮৩ জন।

এর আগের দিন, অর্থাৎ সোমবার বিশ্বে মহামারি করোনায় নতুন করে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ছিল তিন লাখ ৫২ হাজার ৮৬৪ জন। ওইদিন রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল পাঁচ হাজার ১৬৮ জনের। এছাড়া সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়ে বাড়ি ফিরে গেছেন চার লাখ ৪৩ হাজার ২১০ জন।

অর্থাৎ, গেল এক দিনের ব্যবধানে বিশ্বে কোভিড শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ৫৭ হাজার ৭৬৫ জন। আর প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯৭৩ জনে।

একই সঙ্গে নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে মহামারি করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ১১ হাজার ৭৩ জনে পৌঁছেছে।

সোমবারের মতো মঙ্গলবারও করোনায় নতুন করে মৃত্যু ও আক্রান্তের হিসেবে বিশ্বের দেশসমূহের মধ্যে শীর্ষে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ওয়ার্ল্ডো মিটারসের তথ্য অনুযায়ী, এদিন দেশটিতে কোভিড শনাক্ত হয়েছেন ৭১ হাজার ৭৬১ জন। আর মারা গেছেন এক হাজার ৫৫৮ জন।

যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অন্যান্য যেসব দেশে এবার করোনায় আক্রান্ত-মৃত্যুর উচ্চহার দেখা গেছে; সে দেশগুলো হলো– যুক্তরাজ্য (নতুন রোগী ৪৩ হাজার ৭৩৮ জন, মৃত্যু ২২৩ জন), রাশিয়া (নতুন রোগী ৩০ হাজার ৭৪০ জন, মৃত্যু এক হাজার ১৫ জন) ও ইউরোপের দেশ তুরস্ক (নতুন রোগী ৩০ হাজার ৮৬২ জন, মৃত্যু এক হাজার ১৫ জন)।

এতদিন করোনায় বিপর্যস্ত থাকা দক্ষিণ এশিয়ার ঘনবসতিপূর্ণ দেশ ভারত ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলেও কমে আসছে রোগটিতে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার। মঙ্গলবার ভারতে করোনায় নতুন সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ছিল ১৪ হাজার ৯৩৬ জন। আর রোগটিতে মৃত্যু হয়েছে ১৯৯ জন। অপর দিকে এদিন ব্রাজিলে কোভিড শনাক্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৯৬৯ জন। এছাড়া দেশটিতে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৮১ জন।

ওয়ার্ল্ডো মিটারসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ কোটি ২৩ লাখ সাত হাজার ৩৪৩ জন। আর রোগটিতে সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ৪৯ লাখ ২৮ হাজার ২৫৩ জন।

এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত কোভিড সংক্রমিত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ২১ কোটি ৯৬ লাখ ৫৬ হাজার ৪৩৪ জন।

স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বর্তমানে বিশ্বে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা এক কোটি ৭৭ লাখ ২২ হাজার ৬৫৬ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ বহন করছেন এক কোটি ৭৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫৫৬ জন। আর গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন ৭৮ হাজার ১০৬ জন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে এশিয়ার পরাশক্তি চীনের উহান শহরে প্রথম করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ প্রাণঘাতী ভাইরাসটিকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি সংস্থাটি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে।