শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পরাজয় নিশ্চিত জেনেই তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তি: খলিলজাদ

যুদ্ধে হার নিশ্চিত জেনেই তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র শান্তি চুক্তি করেছিল বলে জানিয়েছেন আফগানিস্তান-বিষয়ক মার্কিন সাবেক বিশেষ দূত জালমে খলিলজাদ।

সিবিএস নিউজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, মার্কিন সামরিক বাহিনী অনেকবার আফগান যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের অবস্থান শক্তিশালী করার জন্য চেষ্টা করেছে। কিন্তু তারা তা করতে ব্যর্থ হয়েছে।

খলিলজাদ বলেছেন, ‘আমরা (যুক্তরাষ্ট্র) যুদ্ধে জিততে যাচ্ছি না, এমন বিচার-বিবেচনার ফলই (তালেবানের সঙ্গে) সমঝোতা আলোচনা। সময় আমাদের পক্ষে ছিল না। তাই দেরি করার চেয়ে আগেই (তালেবানের সঙ্গে) চুক্তি করা উত্তম ছিল।’

তালেবানের অগ্রযাত্রার মুখে আফগানিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত তৎকালীন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনিকে দায়ী করেছেন তিনি।

তিনি বলেন, আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল থেকে প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির জন্ম দেয়।

সাবেক এই মার্কিন বিশেষ দূত বলেন, ‘আশরাফ গনি বলেছেন- রক্তপাত এড়াতে তিনি পালিয়ে যান। তাহলে তিন আগে পদত্যাগ করলেন না কেন। তিনি যদি সেটা করতেন, তাহলে আফগানিস্তানে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার হতো।’

গত ১৫ আগস্ট তালেবানের হাতে কাবুলের পতন হয়। আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে যেভাবে বিদায় নিতে হয়েছে, তাকে দেশটির স্মরণকালের সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক ব্যর্থতা হিসেবে দেখা হয়।

আর এই ব্যর্থতার প্রধান মুখ হয়ে ওঠেন খলিলজাদ। তিন বছর ধরে আফগানিস্তান-বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূতের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তিনি। কাবুলের পতনের দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে খলিলজাদ বিদায় নেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

পরাজয় নিশ্চিত জেনেই তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তি: খলিলজাদ

প্রকাশিত সময় : ০৫:৩৭:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অক্টোবর ২০২১

যুদ্ধে হার নিশ্চিত জেনেই তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র শান্তি চুক্তি করেছিল বলে জানিয়েছেন আফগানিস্তান-বিষয়ক মার্কিন সাবেক বিশেষ দূত জালমে খলিলজাদ।

সিবিএস নিউজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, মার্কিন সামরিক বাহিনী অনেকবার আফগান যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের অবস্থান শক্তিশালী করার জন্য চেষ্টা করেছে। কিন্তু তারা তা করতে ব্যর্থ হয়েছে।

খলিলজাদ বলেছেন, ‘আমরা (যুক্তরাষ্ট্র) যুদ্ধে জিততে যাচ্ছি না, এমন বিচার-বিবেচনার ফলই (তালেবানের সঙ্গে) সমঝোতা আলোচনা। সময় আমাদের পক্ষে ছিল না। তাই দেরি করার চেয়ে আগেই (তালেবানের সঙ্গে) চুক্তি করা উত্তম ছিল।’

তালেবানের অগ্রযাত্রার মুখে আফগানিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত তৎকালীন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনিকে দায়ী করেছেন তিনি।

তিনি বলেন, আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল থেকে প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির জন্ম দেয়।

সাবেক এই মার্কিন বিশেষ দূত বলেন, ‘আশরাফ গনি বলেছেন- রক্তপাত এড়াতে তিনি পালিয়ে যান। তাহলে তিন আগে পদত্যাগ করলেন না কেন। তিনি যদি সেটা করতেন, তাহলে আফগানিস্তানে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার হতো।’

গত ১৫ আগস্ট তালেবানের হাতে কাবুলের পতন হয়। আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে যেভাবে বিদায় নিতে হয়েছে, তাকে দেশটির স্মরণকালের সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক ব্যর্থতা হিসেবে দেখা হয়।

আর এই ব্যর্থতার প্রধান মুখ হয়ে ওঠেন খলিলজাদ। তিন বছর ধরে আফগানিস্তান-বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূতের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তিনি। কাবুলের পতনের দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে খলিলজাদ বিদায় নেন।