শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুদানে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে গুলি, নিহত ৭

সুদানে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভরত জনতার ওপর নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে মারা গেছেন কমপক্ষে সাত জন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৮০ জন। 

সোমবার সশস্ত্র বাহিনী বেসামরিক শাসন ভেঙে দিয়ে ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নেয়, গ্রেপ্তার করা হয় রাজনৈতিক নেতাদের। আর গৃহবন্দি করা হয় প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লা হামদককে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জরুরি অবস্থা জারি করলে রাস্তায় নেমে আসেন অভ্যুত্থানবিরোধীরা।

অনেকে ইটের স্তুপ করে, টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভে অনেক নারীও অংশ নেন। যাদের স্লোগান ছিল ‘সামরিক শাসনকে না’।

এই বিক্ষোভেই নিরাপত্তাবাহিনী গুলি চালালে অন্তত অর্ধশতাধিক মানুষ গুলিবিদ্ধ হন।

একজন আহত বিক্ষোভকারী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সামরিক দফতরের বাইরে সেনারা তার পায়ে গুলি করেছে।

পরে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা দেশটির রাজধানী খার্তুমের বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্থানীয় বিক্ষোভ সংগঠকদের গ্রেপ্তার করেছে বলেও জানা গেছে।

জরুরি অবস্থার কারণে শহরের বিমানবন্দর ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে দেশটির ইন্টারনেট সেবা এবং টেলিফোন সংযোগ।

ধর্মঘটে গিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের কর্মীরাও। সামরিক হাসপাতালগুলোতে কর্মবিরতি শুরু করেছেন চিকিৎসকরা।

এদিকে দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থানের নিন্দা করেছেন বিশ্বনেতারা। এরইমধ্যে দেশটিতে সাহায্য বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

অভ্যুত্থানের নেতা জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ বুরহান সামরিক এই পদক্ষেপের জন্য রাজনৈতিক অন্তর্দ্বন্দ্বকেই দায়ী করেছেন।

দুই বছর আগে দীর্ঘদিনের শাসক ওমর আল-বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে দেশটিতে সামরিক ও বেসামরিক পক্ষের মধ্যে ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়।

সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

সুদানে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে গুলি, নিহত ৭

প্রকাশিত সময় : ০৩:৫৬:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর ২০২১

সুদানে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভরত জনতার ওপর নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে মারা গেছেন কমপক্ষে সাত জন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৮০ জন। 

সোমবার সশস্ত্র বাহিনী বেসামরিক শাসন ভেঙে দিয়ে ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নেয়, গ্রেপ্তার করা হয় রাজনৈতিক নেতাদের। আর গৃহবন্দি করা হয় প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লা হামদককে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জরুরি অবস্থা জারি করলে রাস্তায় নেমে আসেন অভ্যুত্থানবিরোধীরা।

অনেকে ইটের স্তুপ করে, টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভে অনেক নারীও অংশ নেন। যাদের স্লোগান ছিল ‘সামরিক শাসনকে না’।

এই বিক্ষোভেই নিরাপত্তাবাহিনী গুলি চালালে অন্তত অর্ধশতাধিক মানুষ গুলিবিদ্ধ হন।

একজন আহত বিক্ষোভকারী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সামরিক দফতরের বাইরে সেনারা তার পায়ে গুলি করেছে।

পরে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা দেশটির রাজধানী খার্তুমের বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্থানীয় বিক্ষোভ সংগঠকদের গ্রেপ্তার করেছে বলেও জানা গেছে।

জরুরি অবস্থার কারণে শহরের বিমানবন্দর ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে দেশটির ইন্টারনেট সেবা এবং টেলিফোন সংযোগ।

ধর্মঘটে গিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের কর্মীরাও। সামরিক হাসপাতালগুলোতে কর্মবিরতি শুরু করেছেন চিকিৎসকরা।

এদিকে দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থানের নিন্দা করেছেন বিশ্বনেতারা। এরইমধ্যে দেশটিতে সাহায্য বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

অভ্যুত্থানের নেতা জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ বুরহান সামরিক এই পদক্ষেপের জন্য রাজনৈতিক অন্তর্দ্বন্দ্বকেই দায়ী করেছেন।

দুই বছর আগে দীর্ঘদিনের শাসক ওমর আল-বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে দেশটিতে সামরিক ও বেসামরিক পক্ষের মধ্যে ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়।

সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি