রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘তাণ্ডবের ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত, মাস্টারমাইন্ড বিএনপির সিনিয়র নেতারা’

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ২০২১ সালের ১৩ অক্টোবর স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ন্যাক্কারজনক সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটানোর ষড়যন্ত্র হয় কুমিল্লায়। সেদিন সারাদিনে কুমিল্লার প্রায় ৭০টি পূজামণ্ডপে হামলা চালিয়ে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার সর্বোচ্চ অপচেষ্টা করে উগ্রবাদী গোষ্ঠীর সন্ত্রাসীরা। ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে সরলপ্রাণ অনেক মানুষকেও বিভ্রান্ত করে খেপিয়ে তোলে তারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে, ফেসবুক-ইউটিউবের মাধ্যমে উসকানিমূলক বক্তব্য ও গুজব ছড়াতে থাকে সারাদেশে।

বুধবার রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা বলেন।

স্ট্যাটাসে জয় আরও লিখেছেন, বিএনপি নেতৃত্ব সারাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে না থেকে সরকারের বিরুদ্ধে তাদের প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে, যেখানে তাদের ভূমিকা হওয়ার কথা ছিল ভিন্ন। তাদের কাজকর্মে এটা স্পষ্ট যে কুমিল্লা থেকে শুরু থেকে সারাদেশে তাণ্ডবের এই ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত আর এ ঘটনাগুলোর মাস্টারমাইন্ড বিএনপির সিনিয়র নেতারা।

তিনি লেখেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল উদ্দেশ্যগুলোও ধীরে ধীরে মুছে দিয়েছে পাকিস্তানপন্থী রাজনৈতিক দল ও সরকারেরা। বাংলার শান্তিপ্রিয় মানুষের মাঝে ধর্মের মনগড়া ও ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে, স্বাধীনতার সত্য ইতিহাসকে ধামাচাপা দিয়ে একটি অসহিষ্ণু, বাংলাদশকে অন্ধকারাছন্ন দেশে পরিণত করার চেষ্টা করেছে তারা বারবার। অমুসলিম জনগোষ্ঠীর বিপক্ষে সাধারণ মানুষকে উত্তেজিত করে ভাঙচুর ও তাণ্ডবের মাধ্যমে নিজেদের হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য সব সময়ই সচেষ্ট বিএনপি-জামায়াতের মতো পাকিস্তানপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো। এবারের ঘটনাতেও ব্যতিক্রম নেই।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

‘তাণ্ডবের ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত, মাস্টারমাইন্ড বিএনপির সিনিয়র নেতারা’

প্রকাশিত সময় : ০৯:২৯:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২১

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ২০২১ সালের ১৩ অক্টোবর স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ন্যাক্কারজনক সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটানোর ষড়যন্ত্র হয় কুমিল্লায়। সেদিন সারাদিনে কুমিল্লার প্রায় ৭০টি পূজামণ্ডপে হামলা চালিয়ে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার সর্বোচ্চ অপচেষ্টা করে উগ্রবাদী গোষ্ঠীর সন্ত্রাসীরা। ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে সরলপ্রাণ অনেক মানুষকেও বিভ্রান্ত করে খেপিয়ে তোলে তারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে, ফেসবুক-ইউটিউবের মাধ্যমে উসকানিমূলক বক্তব্য ও গুজব ছড়াতে থাকে সারাদেশে।

বুধবার রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা বলেন।

স্ট্যাটাসে জয় আরও লিখেছেন, বিএনপি নেতৃত্ব সারাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে না থেকে সরকারের বিরুদ্ধে তাদের প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে, যেখানে তাদের ভূমিকা হওয়ার কথা ছিল ভিন্ন। তাদের কাজকর্মে এটা স্পষ্ট যে কুমিল্লা থেকে শুরু থেকে সারাদেশে তাণ্ডবের এই ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত আর এ ঘটনাগুলোর মাস্টারমাইন্ড বিএনপির সিনিয়র নেতারা।

তিনি লেখেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল উদ্দেশ্যগুলোও ধীরে ধীরে মুছে দিয়েছে পাকিস্তানপন্থী রাজনৈতিক দল ও সরকারেরা। বাংলার শান্তিপ্রিয় মানুষের মাঝে ধর্মের মনগড়া ও ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে, স্বাধীনতার সত্য ইতিহাসকে ধামাচাপা দিয়ে একটি অসহিষ্ণু, বাংলাদশকে অন্ধকারাছন্ন দেশে পরিণত করার চেষ্টা করেছে তারা বারবার। অমুসলিম জনগোষ্ঠীর বিপক্ষে সাধারণ মানুষকে উত্তেজিত করে ভাঙচুর ও তাণ্ডবের মাধ্যমে নিজেদের হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য সব সময়ই সচেষ্ট বিএনপি-জামায়াতের মতো পাকিস্তানপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো। এবারের ঘটনাতেও ব্যতিক্রম নেই।