শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আফগান মসজিদে জুমার নামাজে বিস্ফোরণ, বহু হতাহত

যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্র আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলের প্রদেশ নানগারহারের স্পিন গার এলাকার একটি মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত স্থানীয় ইমামসহ অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শুক্রবার (১২ নভেম্বর) জুমার নামাজ চলাকালে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। হতাহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।

স্পিন গার এলাকার বাসিন্দা আতাল সিনওয়ারি বলেন, দুপুর দেড়টার সময় নামাজের খুৎবা চলছিল। আর তখনই বিস্ফোরণটি ঘটে। মসজিদের ভিতরেই বিস্ফোরক ছিল।

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে তালেবান সরকারের এক কর্মকর্তা বলেন, বিস্ফোরণে বহু লোক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। জুমা নামাজ চলাকালীন সময়ে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে বলে আমি নিশ্চিত করতে পারি।

এখন পর্যন্ত হামলার দায় কেউ বা কোনো সংগঠন স্বীকার করেনি। আফগানিস্তানে যতগুলো জিহাদি গ্রুপ তৎপর রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে চরম এই আইএসকে। তারা আফগানিস্তানে তালেবান শাসনেরও বিরোধিতা করছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের আগস্ট মাসের শেষ সিকে মার্কিন সেনাবাহিনী আফগান ভূখণ্ড ছেড়ে চলে যাওয়ার পর প্রায়ই এমন হামলার ঘটনা ঘটছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

আফগান মসজিদে জুমার নামাজে বিস্ফোরণ, বহু হতাহত

প্রকাশিত সময় : ০৪:২১:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১

যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্র আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলের প্রদেশ নানগারহারের স্পিন গার এলাকার একটি মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত স্থানীয় ইমামসহ অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শুক্রবার (১২ নভেম্বর) জুমার নামাজ চলাকালে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। হতাহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।

স্পিন গার এলাকার বাসিন্দা আতাল সিনওয়ারি বলেন, দুপুর দেড়টার সময় নামাজের খুৎবা চলছিল। আর তখনই বিস্ফোরণটি ঘটে। মসজিদের ভিতরেই বিস্ফোরক ছিল।

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে তালেবান সরকারের এক কর্মকর্তা বলেন, বিস্ফোরণে বহু লোক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। জুমা নামাজ চলাকালীন সময়ে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে বলে আমি নিশ্চিত করতে পারি।

এখন পর্যন্ত হামলার দায় কেউ বা কোনো সংগঠন স্বীকার করেনি। আফগানিস্তানে যতগুলো জিহাদি গ্রুপ তৎপর রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে চরম এই আইএসকে। তারা আফগানিস্তানে তালেবান শাসনেরও বিরোধিতা করছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের আগস্ট মাসের শেষ সিকে মার্কিন সেনাবাহিনী আফগান ভূখণ্ড ছেড়ে চলে যাওয়ার পর প্রায়ই এমন হামলার ঘটনা ঘটছে।