শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেন আর নেই

টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেন (৬৫) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নইলাহি রাজিউন)।

মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএস) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
উপজেলা অফিসার হাফিজুর রহমান মৃত্যুর বিষিয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি দুটি কিউনি সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন। গত ১৮ অক্টোবর অসুস্থ হলে তিনি আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে সেখান থেকে তাকে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএস) ভর্তি করা হয়।
আগামীকাল বুধবার বাদ জোহর মির্জাপুরের পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
নিহতের স্ত্রী ঝর্ণা হোসেন নিশ্চিত করে বলেন, তার স্বামী (একাব্বর হোসেন) দীর্ঘদিন ধরে কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন। গত ১৬ অক্টোবর তিনি ব্রেনস্ট্রোক করেন। মঙ্গলবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
একাব্বর হোসেন ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি বর্তমান জাতীয় সংসদে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন।
১৯৫৬ সালের ১২ জুলাই মির্জাপুর উপজেলার পোষ্টকামুরী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার বাবার নাম আলহাজ ওয়াজউদ্দিন এবং মাতার নাম রেজিয়া বেগম।
তিনি ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত হন। ১৯৭৩ সালে সরকারি তিতুমীর কলেজে পড়াকালীন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরে ১৯৭৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৭৮ সালে একই হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসএস সম্মান ও ১৯৭৮ সালে এমএসএস ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি মির্জাপুর উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির তিনবার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯০ সালে তিনি মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন একাব্বর হোসেন।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেন আর নেই

প্রকাশিত সময় : ১১:০৮:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর ২০২১

টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেন (৬৫) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নইলাহি রাজিউন)।

মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএস) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
উপজেলা অফিসার হাফিজুর রহমান মৃত্যুর বিষিয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি দুটি কিউনি সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন। গত ১৮ অক্টোবর অসুস্থ হলে তিনি আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে সেখান থেকে তাকে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএস) ভর্তি করা হয়।
আগামীকাল বুধবার বাদ জোহর মির্জাপুরের পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
নিহতের স্ত্রী ঝর্ণা হোসেন নিশ্চিত করে বলেন, তার স্বামী (একাব্বর হোসেন) দীর্ঘদিন ধরে কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন। গত ১৬ অক্টোবর তিনি ব্রেনস্ট্রোক করেন। মঙ্গলবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
একাব্বর হোসেন ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি বর্তমান জাতীয় সংসদে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন।
১৯৫৬ সালের ১২ জুলাই মির্জাপুর উপজেলার পোষ্টকামুরী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার বাবার নাম আলহাজ ওয়াজউদ্দিন এবং মাতার নাম রেজিয়া বেগম।
তিনি ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত হন। ১৯৭৩ সালে সরকারি তিতুমীর কলেজে পড়াকালীন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরে ১৯৭৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৭৮ সালে একই হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসএস সম্মান ও ১৯৭৮ সালে এমএসএস ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি মির্জাপুর উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির তিনবার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯০ সালে তিনি মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন একাব্বর হোসেন।