বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভালোবাসার প্রমাণ দিতে প্রেমিকের আনা বিষ খেয়ে প্রাণ গেলো তরুণীর

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ভালোবাসার প্রমাণ দিতে গিয়ে প্রেমিকের আনা বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন রুনা আক্তার (১৮) নামের এক তরুণী। এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রেমিক সৈয়দ মনির উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১৭ নভেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রুনা আক্তার উপজেলার ধরখার ইউনিয়ন রানীখার গ্রামের আবু কাউসারের মেয়ে। গ্রেফতার মনির একই এলাকার সৈয়দ রোকন উদ্দিনের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রুনা আক্তারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মনির উদ্দিনের। পরে তাদের বিয়ে হয়। কয়েক মাস আগে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। বিচ্ছেদের পর তারা আবার প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। কিছুদিন ধরে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। রুনা আক্তার এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। বুধবার সকালে রুনা প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় দেখা হয় মনিরের সঙ্গে। এসময় দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে মনির রুনার ভালোবাসার প্রমাণ দেখতে চান। তার এ কথায় রুনা বিষ আনতে বলেন মনিরকে।

মনির দোকান থেকে চালের পোকা তাড়ানোর বিষ আনলে রুনা আক্তার তা খেয়ে ফেলেন। এতে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। মনির তাকে চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে খবর পেয়ে রুনার স্বজনরা মনিরকে আটক করে পুলিশে দেন। বিকেলে রুনার শারীরিক অবস্থা অবনতি হয়। সন্ধ্যার দিকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়ার পথে মারা যান রুনা।

আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, নিহত রুনার বাবা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় মনিরকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ভালোবাসার প্রমাণ দিতে প্রেমিকের আনা বিষ খেয়ে প্রাণ গেলো তরুণীর

প্রকাশিত সময় : ১০:৩২:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ভালোবাসার প্রমাণ দিতে গিয়ে প্রেমিকের আনা বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন রুনা আক্তার (১৮) নামের এক তরুণী। এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রেমিক সৈয়দ মনির উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১৭ নভেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রুনা আক্তার উপজেলার ধরখার ইউনিয়ন রানীখার গ্রামের আবু কাউসারের মেয়ে। গ্রেফতার মনির একই এলাকার সৈয়দ রোকন উদ্দিনের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রুনা আক্তারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মনির উদ্দিনের। পরে তাদের বিয়ে হয়। কয়েক মাস আগে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। বিচ্ছেদের পর তারা আবার প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। কিছুদিন ধরে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। রুনা আক্তার এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। বুধবার সকালে রুনা প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় দেখা হয় মনিরের সঙ্গে। এসময় দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে মনির রুনার ভালোবাসার প্রমাণ দেখতে চান। তার এ কথায় রুনা বিষ আনতে বলেন মনিরকে।

মনির দোকান থেকে চালের পোকা তাড়ানোর বিষ আনলে রুনা আক্তার তা খেয়ে ফেলেন। এতে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। মনির তাকে চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে খবর পেয়ে রুনার স্বজনরা মনিরকে আটক করে পুলিশে দেন। বিকেলে রুনার শারীরিক অবস্থা অবনতি হয়। সন্ধ্যার দিকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়ার পথে মারা যান রুনা।

আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, নিহত রুনার বাবা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় মনিরকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েয়েছে।