শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফ্রান্সে আঘাত হেনেছে করোনার পঞ্চম ঢেউ

উদ্বেগজনক হারে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছে ফ্রান্সের সরকার।

নতুন করে দৈনিক করোনা সংক্রমণ আগের সপ্তাহের তুলনায় দ্বিগুণের কাছাকাছি থাকায় একে পঞ্চম ঢেউ বলেই আখ্যায়িত করেছে ইউরোপের এই দেশটি।

ফ্রান্সে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির হার প্রায় ৮১ শতাংশ বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। এক সপ্তাহ আগে দেশটিতে করোনা সংক্রমণ দৈনিক গড়ে ৯ হাজার ৪৫৮টি থাকলেও গত সাত দিন সেই সংখ্যা গড়ে ১৭ হাজার ছাড়িয়েছে।

তবে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলেও দেশটির হাসপাতালে রোগীদের ভিড় দেখা যায় নি। সবচেয়ে বিপজ্জনক ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কার্যকর টিকার উচ্চ হারের কারণে রোগীদের হাসপাতালে যেতে হচ্ছে না বলে মনে করছে ফরাসি কর্তৃপক্ষ।

বিদ্যুতের গতিতে সংক্রমণের পঞ্চম ঢেউ শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ফরাসি সরকারের মুখপাত্র গ্যাব্রিয়েল আত্তাল।

গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, সর্বশেষ সাত দিনে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার গত তিন সপ্তাহের তুলনায় তিনগুণের বেশি। সংক্রমণ বৃদ্ধির এই হার দ্রুত গতিতে ঘটছে।

গ্যাব্রিয়েল আত্তাল বলেন, সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বাড়লে আমরা জানি ফ্রান্সে ব্যাপকসংখ্যক মানুষ টিকার আওতায় আছে। বুস্টার ডোজ দেয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবেশীদের চেয়ে এগিয়ে আছে বলেও জানান তিনি। এ সময় অন্যান্য দেশের মতো ফ্রান্সের স্বাস্থ্য পাসের প্রবর্তনও কোভিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

দেশটির রেস্তোরাঁ, ক্যাফে এবং অনেক সাংস্কৃতিক স্থানে টিকার পূর্ণ ডোজ নেয়া, সম্প্রতি করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা অথবা করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ হওয়া লোকজনই কেবল প্রবেশের অনুমতি পাবেন। এসব স্থানে প্রবেশের ক্ষেত্রে তাদের স্বাস্থ্য পাস দেখাতে হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ফ্রান্সে আঘাত হেনেছে করোনার পঞ্চম ঢেউ

প্রকাশিত সময় : ১১:১৬:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ নভেম্বর ২০২১

উদ্বেগজনক হারে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছে ফ্রান্সের সরকার।

নতুন করে দৈনিক করোনা সংক্রমণ আগের সপ্তাহের তুলনায় দ্বিগুণের কাছাকাছি থাকায় একে পঞ্চম ঢেউ বলেই আখ্যায়িত করেছে ইউরোপের এই দেশটি।

ফ্রান্সে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির হার প্রায় ৮১ শতাংশ বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। এক সপ্তাহ আগে দেশটিতে করোনা সংক্রমণ দৈনিক গড়ে ৯ হাজার ৪৫৮টি থাকলেও গত সাত দিন সেই সংখ্যা গড়ে ১৭ হাজার ছাড়িয়েছে।

তবে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলেও দেশটির হাসপাতালে রোগীদের ভিড় দেখা যায় নি। সবচেয়ে বিপজ্জনক ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কার্যকর টিকার উচ্চ হারের কারণে রোগীদের হাসপাতালে যেতে হচ্ছে না বলে মনে করছে ফরাসি কর্তৃপক্ষ।

বিদ্যুতের গতিতে সংক্রমণের পঞ্চম ঢেউ শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ফরাসি সরকারের মুখপাত্র গ্যাব্রিয়েল আত্তাল।

গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, সর্বশেষ সাত দিনে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার গত তিন সপ্তাহের তুলনায় তিনগুণের বেশি। সংক্রমণ বৃদ্ধির এই হার দ্রুত গতিতে ঘটছে।

গ্যাব্রিয়েল আত্তাল বলেন, সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বাড়লে আমরা জানি ফ্রান্সে ব্যাপকসংখ্যক মানুষ টিকার আওতায় আছে। বুস্টার ডোজ দেয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবেশীদের চেয়ে এগিয়ে আছে বলেও জানান তিনি। এ সময় অন্যান্য দেশের মতো ফ্রান্সের স্বাস্থ্য পাসের প্রবর্তনও কোভিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

দেশটির রেস্তোরাঁ, ক্যাফে এবং অনেক সাংস্কৃতিক স্থানে টিকার পূর্ণ ডোজ নেয়া, সম্প্রতি করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা অথবা করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ হওয়া লোকজনই কেবল প্রবেশের অনুমতি পাবেন। এসব স্থানে প্রবেশের ক্ষেত্রে তাদের স্বাস্থ্য পাস দেখাতে হবে।