বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্ক, কালক্ষেপণে যুবক কারাগারে

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে আবু সায়েদ তারেক নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা।

এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় সায়েদকে গ্রেফতার দেখিয়ে রোববার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার বাড়ি উপজেলার চর দরবেশ ইউনিয়নে

মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ওই তরুণীর সঙ্গে চার বছর আগে মুঠোফোনে আবু সায়েদের পরিচয় হয়। এরপর উভয়ের মধ্যে মুঠোফোনে কথা চলে। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি ওই তরুণীর স্বামী জানতে পারলে স্বামীর সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়। এরপর আবু সায়েদ তরুণীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। বিয়ে করার কথা বলে ৬ নভেম্বর তরুণীর বাড়িতে গিয়ে আবু সায়েদ তাকে ধর্ষণ করেন এবং বিয়ের বিষয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। গত শনিবার রাতে আবু সায়েদ তরুণীর বাড়িতে গেলে লোকজন তাঁকে আটক করে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে (৯৯৯) কল করেন। পরে পুলিশ এসে রাতেই তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় রোববার তরুণী বাদী হয়ে আবু সায়েদকে আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা করেন। সেই মামলায় সায়েদকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

ওই তরুণী বলেন, আবু সায়েদের কারণে তার সংসার নষ্ট হয়ে গেছে। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করেছেন। তিনি আবু সায়েদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সোনাগাজী মডেল থানার এসআই মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, রোববার দুপুরে ফেনীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ওই নারীর শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।

সোনাগাজী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আবদুর রহিম সরকার বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আবু সায়েদ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। তাকে আদালতের মাধ্যমে ফেনী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্ক, কালক্ষেপণে যুবক কারাগারে

প্রকাশিত সময় : ০৫:৪০:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ নভেম্বর ২০২১

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে আবু সায়েদ তারেক নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা।

এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় সায়েদকে গ্রেফতার দেখিয়ে রোববার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার বাড়ি উপজেলার চর দরবেশ ইউনিয়নে

মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ওই তরুণীর সঙ্গে চার বছর আগে মুঠোফোনে আবু সায়েদের পরিচয় হয়। এরপর উভয়ের মধ্যে মুঠোফোনে কথা চলে। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি ওই তরুণীর স্বামী জানতে পারলে স্বামীর সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়। এরপর আবু সায়েদ তরুণীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। বিয়ে করার কথা বলে ৬ নভেম্বর তরুণীর বাড়িতে গিয়ে আবু সায়েদ তাকে ধর্ষণ করেন এবং বিয়ের বিষয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। গত শনিবার রাতে আবু সায়েদ তরুণীর বাড়িতে গেলে লোকজন তাঁকে আটক করে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে (৯৯৯) কল করেন। পরে পুলিশ এসে রাতেই তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় রোববার তরুণী বাদী হয়ে আবু সায়েদকে আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা করেন। সেই মামলায় সায়েদকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

ওই তরুণী বলেন, আবু সায়েদের কারণে তার সংসার নষ্ট হয়ে গেছে। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করেছেন। তিনি আবু সায়েদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সোনাগাজী মডেল থানার এসআই মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, রোববার দুপুরে ফেনীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ওই নারীর শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।

সোনাগাজী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আবদুর রহিম সরকার বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আবু সায়েদ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। তাকে আদালতের মাধ্যমে ফেনী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।