বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পেছাল আবরার হত্যা মামলার রায়

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা মামলার রায় ঘোষণার তারিখ পেছাল। নতুন করে আগামী ৮ ডিসেম্বর রায়ের দিন ঘোষণা করেছেন আদালত।

রবিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টা ৭ মিনিটে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান রায় ঘোষণার নতুন দিন ধার্য করে আদেশ দেন।

এ দিকে, আলোচিত এই মামলার রায়কে কেন্দ্র করে আদলত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। পলাতক তিন আসামি বাদে বাকি ২২ জনকে আদালতের এজলাসে হাজির করা হয়। মামলার রায় প্রস্তুত না হওয়ায় সেটি প্রকাশ করা হয়নি বলে জানা গেছে। এক্ষেত্রে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্কের ভিত্তিতে রায় প্রস্তুতে আরও সময় লাগবে বলে জানান বিচারক মো. কামরুজ্জামান।

এর আগে, গত ১৪ নভেম্বর উভয় পক্ষের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন একই বিচারকের আদালত।

গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর এ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মোট ৪৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

এজাহারে থাকা আসামিরা হলেন- মুহতাসিম ফুয়াদ, মুজাহিদুর রহমান, মেহেদী হাসান রাসেল, অনিক সরকার, এ এস এম নাজমুস সাদাত, ইফতি মোশাররফ সকাল, মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মেহেদী হাসান রবিন, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুল ইসলাম, শামীম বিল্লাহ ও মোয়াজ আবু হুরায়রা।

এজাহার বহির্ভূত ৬ আসামি হলেন- এস এম মাহমুদ সেতু, ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না, অমিত সাহা, মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত ও মোস্তবা রাফিদ।

পলাতক ৩ জন হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। এদের মধ্যে প্রথম দু’জন এজাহারভুক্ত।

২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন এবং এর বাইরে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আরও ৬ জন জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জন ও এজাহারের বাইরে থাকা ৬ জনের মধ্যে ৫ জনসহ মোট ২২ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক রয়েছেন ৩ জন। অভিযোগপত্রে ৬০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে এবং ২১টি আলামত ও ৮টি জব্দ তালিকা আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বুয়েটের ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে রাজধানীর চকবাজার থানায় বুয়েট শাখার ছাত্রলীগের ১৯ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও অনেক জনকে আসামি করা হয়।

২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় মোট ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

পেছাল আবরার হত্যা মামলার রায়

প্রকাশিত সময় : ০২:৫৭:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২১

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা মামলার রায় ঘোষণার তারিখ পেছাল। নতুন করে আগামী ৮ ডিসেম্বর রায়ের দিন ঘোষণা করেছেন আদালত।

রবিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টা ৭ মিনিটে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান রায় ঘোষণার নতুন দিন ধার্য করে আদেশ দেন।

এ দিকে, আলোচিত এই মামলার রায়কে কেন্দ্র করে আদলত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। পলাতক তিন আসামি বাদে বাকি ২২ জনকে আদালতের এজলাসে হাজির করা হয়। মামলার রায় প্রস্তুত না হওয়ায় সেটি প্রকাশ করা হয়নি বলে জানা গেছে। এক্ষেত্রে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্কের ভিত্তিতে রায় প্রস্তুতে আরও সময় লাগবে বলে জানান বিচারক মো. কামরুজ্জামান।

এর আগে, গত ১৪ নভেম্বর উভয় পক্ষের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন একই বিচারকের আদালত।

গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর এ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মোট ৪৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

এজাহারে থাকা আসামিরা হলেন- মুহতাসিম ফুয়াদ, মুজাহিদুর রহমান, মেহেদী হাসান রাসেল, অনিক সরকার, এ এস এম নাজমুস সাদাত, ইফতি মোশাররফ সকাল, মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মেহেদী হাসান রবিন, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুল ইসলাম, শামীম বিল্লাহ ও মোয়াজ আবু হুরায়রা।

এজাহার বহির্ভূত ৬ আসামি হলেন- এস এম মাহমুদ সেতু, ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না, অমিত সাহা, মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত ও মোস্তবা রাফিদ।

পলাতক ৩ জন হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। এদের মধ্যে প্রথম দু’জন এজাহারভুক্ত।

২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন এবং এর বাইরে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আরও ৬ জন জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জন ও এজাহারের বাইরে থাকা ৬ জনের মধ্যে ৫ জনসহ মোট ২২ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক রয়েছেন ৩ জন। অভিযোগপত্রে ৬০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে এবং ২১টি আলামত ও ৮টি জব্দ তালিকা আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বুয়েটের ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে রাজধানীর চকবাজার থানায় বুয়েট শাখার ছাত্রলীগের ১৯ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও অনেক জনকে আসামি করা হয়।

২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় মোট ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।