রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ, বাংলাদেশের উপকূলেও আনতে পারে আঘাত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি অবশেষে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী পরিচালিত জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে।

এবারের ঘূর্ণিঝড়টির নাম দেওয়া হয়েছে ‘জাওয়াদ’। সৌদি আরবের দেওয়া এ ঘূর্ণিঝড়ের অর্থ উদার বা মহান।

জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার জানায়, বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়টি ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ ও ৯৮ দশমিক ১ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থান করছে। থাইল্যান্ডের ফুকেট শহর থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রে অবস্থান করছে।

সমুদ্রের যে স্থানে অবস্থান করছে সেই স্থানের পানির তাপমাত্রা ২৯ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড (সাড়ে ২৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের বেশি পানির তাপমাত্রা থাকলে তা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য আদর্শ পরিবেশ হিসেবে গণ্য করা হয়)। ওই স্থানের বায়ুর গতিবেগও আদর্শ অবস্থায় রয়েছে।

কানাডার সাসকাচুয়ান ইউনিভার্সিটির আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক বাংলাদেশি পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল জানান, ঘূর্ণিঝড়টি ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ ও ওড়িশা রাজ্যের মাঝামাঝি স্থানের উপকূলে পৌঁছার পরে উত্তর-পূর্ব দিকে ঘুরে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে যাত্রা করতে পারে।

এ হিসেব বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কাও রয়েছে। আর এ কথাই বলছে আমেরিকার নৌবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ, বাংলাদেশের উপকূলেও আনতে পারে আঘাত

প্রকাশিত সময় : ১০:২৪:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২১

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি অবশেষে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী পরিচালিত জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে।

এবারের ঘূর্ণিঝড়টির নাম দেওয়া হয়েছে ‘জাওয়াদ’। সৌদি আরবের দেওয়া এ ঘূর্ণিঝড়ের অর্থ উদার বা মহান।

জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার জানায়, বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়টি ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ ও ৯৮ দশমিক ১ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থান করছে। থাইল্যান্ডের ফুকেট শহর থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রে অবস্থান করছে।

সমুদ্রের যে স্থানে অবস্থান করছে সেই স্থানের পানির তাপমাত্রা ২৯ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড (সাড়ে ২৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের বেশি পানির তাপমাত্রা থাকলে তা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য আদর্শ পরিবেশ হিসেবে গণ্য করা হয়)। ওই স্থানের বায়ুর গতিবেগও আদর্শ অবস্থায় রয়েছে।

কানাডার সাসকাচুয়ান ইউনিভার্সিটির আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক বাংলাদেশি পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল জানান, ঘূর্ণিঝড়টি ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ ও ওড়িশা রাজ্যের মাঝামাঝি স্থানের উপকূলে পৌঁছার পরে উত্তর-পূর্ব দিকে ঘুরে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে যাত্রা করতে পারে।

এ হিসেব বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কাও রয়েছে। আর এ কথাই বলছে আমেরিকার নৌবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার।