মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুরাদ হাসানকে জামালপুর আ.লীগ থেকে অব্যাহতি

জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে ডা. মুরাদ হাসানকে। একই সঙ্গে তাকে দল থেকে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জরুরি বৈঠকে জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট বাকী বিল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ চৌধুরীসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

অ্যাডভোকেট বাকী বিল্লাহ বলেন, গঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে সভায় সবার মতামত নিয়ে স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মুরাদ হাসানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাকে দল থেকে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে দলীয় সদস্য পদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এর আগে বিকাল ৪টায় ডা. মুরাদ হাসানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা। সভায় জেলা আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্যের মধ্যে ৫৫ জন উপস্থিত ছিলেন।

এরআগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসৌজন্যমূলক এক টেলিফোন আলাপের অডিও টেপ ভাইরাল হওয়ার পর তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এরপর মঙ্গলবার দুপুরে ইমেইলে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন মুরাদ হাসান। সেখানে তিনি লেখেন, প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে ‘ব্যক্তিগত কারণে স্বেচ্ছায়’ তিনি পদত্যাগ করতে চান।

২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকেটে জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী, মেস্টা ও তিতপল্যা) সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৮ সালে তিনি দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য হন।

২০১৯ সালে শেখ হাসিনা টানা তৃতীয়বার সরকার গঠন করলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান মুরাদ। ওই বছর মে মাসে তাকে স্বাস্থ্য থেকে সরিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

মুরাদ হাসানকে জামালপুর আ.লীগ থেকে অব্যাহতি

প্রকাশিত সময় : ১১:০৭:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২১

জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে ডা. মুরাদ হাসানকে। একই সঙ্গে তাকে দল থেকে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জরুরি বৈঠকে জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট বাকী বিল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ চৌধুরীসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

অ্যাডভোকেট বাকী বিল্লাহ বলেন, গঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে সভায় সবার মতামত নিয়ে স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মুরাদ হাসানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাকে দল থেকে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে দলীয় সদস্য পদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এর আগে বিকাল ৪টায় ডা. মুরাদ হাসানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা। সভায় জেলা আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্যের মধ্যে ৫৫ জন উপস্থিত ছিলেন।

এরআগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসৌজন্যমূলক এক টেলিফোন আলাপের অডিও টেপ ভাইরাল হওয়ার পর তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এরপর মঙ্গলবার দুপুরে ইমেইলে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন মুরাদ হাসান। সেখানে তিনি লেখেন, প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে ‘ব্যক্তিগত কারণে স্বেচ্ছায়’ তিনি পদত্যাগ করতে চান।

২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকেটে জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী, মেস্টা ও তিতপল্যা) সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৮ সালে তিনি দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য হন।

২০১৯ সালে শেখ হাসিনা টানা তৃতীয়বার সরকার গঠন করলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান মুরাদ। ওই বছর মে মাসে তাকে স্বাস্থ্য থেকে সরিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।