শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে ডিজিটাল সিটিজেনশিপ নিয়ে লার্নিং ও পিয়ার লার্নিং সেশন

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)’র অর্থায়নে, ডিনেট এবং ফ্রেডরিক নওম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডম যৌথভাবে ‘Foster Responsible Digital Citizenship to Promote Freedom of Expression in Bangladesh’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে দায়িত্বশীল ডিজিটাল সিটিজেন হতে সহায়তা করা এবং তাঁদের মাঝে গঠনমূলকভাবে স্বাধীন মত প্রকাশের চেতনা গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে এই প্রকল্পের সূচনা। এর অংশ হিসেবে, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২১, মঙ্গলবার থেকে ডিজিটাল সিটিজেনশিপ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে লার্নিং সেশনের উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। এই লার্নিং সেশনে অংশগ্রহণ করেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৯ জন কৃতি শিক্ষার্থী। ডিসেম্বর মাস জুড়েই এই লার্নিং ও পিয়ার লার্নিং কার্যক্রম চলমান থাকবে। উদ্বোধনী সেশনে বক্তব্য রাখেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. আশিক মোসাদ্দিক। সেশনে আরও বক্তব্য রাখেন প্রক্টর ড. মো. হাবিবুল্লাহ ও ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তোতা মিয়া। অর্ধ বেলার লার্নিং সেশনটি পরিচালনা করেন ডিনেটের পক্ষ থেকে নিয়াজ ইসলাম আরিফ এবং সেশনটিতে সঞ্চালকের ভূমিকা পালন করেন সাংবাদিকতা, যোগাযোগ এবং মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক গোলাম রাব্বানী।

লার্নিং সেশনে ডিজিটাল সিটিজেনশিপ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিভিন্ন উপাদান নিয়ে আলোচনা করা হয়; যা তাঁদের প্রাত্যহিক জীবনে সচেতন ও দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে ও সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে ভূমিকা রাখবে। শিক্ষার্থীরা সেশনের বিভিন্ন কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন এবং নিজ জীবনে এই শিক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে উৎসাহী হন। এই লার্নিং সেশনে অংশগ্রহণের পর উপস্থিত শিক্ষার্থীরা ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাস জুড়ে ডিনেট-এর তত্ত্বাবধানে তাঁদের সহপাঠীদের সাথে ২০০ এর অধিক পিয়ার লার্নিং সেশন পরিচালনা করবেন, যার প্রতিটিতে চার থেকে পাঁচজন শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকবেন। এই পিয়ার লার্নিং সেশনগুলোতে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল সিটিজেনশিপ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষণীয় বিষয় জানতে পারবেন এবং একটি গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে বিশ্লেষণধর্মী চিন্তা চর্চার পদ্ধতি সম্পর্কে জানবেন। যা তাঁদের ডিজিটাল দুনিয়ায় বিচরণের ক্ষেত্রে আচরণগত পরিবর্তন এনে একজন গর্বিত ডিজিটাল নাগরিকে পরিণত হতে সহায়তা করবে।

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. আশিক মোসাদ্দিক বলেন তরুণ সমাজকে এগিয়ে এসে ডিজিটাল সিটিজেন হতে হবে এবং শুধু নিজেরাই সচেতন হলে হবে না সেই সাথে আশে পাশের সকলের কাছেও এই সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। তবেই আমরা বিভিন্ন সাইবার ক্রাইম থেকে নিরাপদ থাকতে পারবো। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল সিটিজেনশিপ চ্যালেঞ্জ, ২০২২-এ অংশগ্রহণ করতে পারবেন প্রকল্পের ওয়েবসাইট https://www.digitalcitizenbd.com/-এর আটটি কোর্সের কুইজে নিয়মিতভাবে অংশগ্রহণের মাধ্যমে। আট মাস ব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে প্রতি কুইজ রাউন্ডেই তাঁরা জিতে নিতে পারবেন আকর্ষণীয় বিভিন্ন পুরস্কার এবং এছাড়াও কুইজ রাউন্ডে বিজয়ীরা চূড়ান্ত গালা রাউন্ডে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

অপরাধীদের বিরুদ্ধে দৃঢ় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি মির্জা ফখরুলের

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে ডিজিটাল সিটিজেনশিপ নিয়ে লার্নিং ও পিয়ার লার্নিং সেশন

প্রকাশিত সময় : ১০:৩৯:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২১

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)’র অর্থায়নে, ডিনেট এবং ফ্রেডরিক নওম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডম যৌথভাবে ‘Foster Responsible Digital Citizenship to Promote Freedom of Expression in Bangladesh’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে দায়িত্বশীল ডিজিটাল সিটিজেন হতে সহায়তা করা এবং তাঁদের মাঝে গঠনমূলকভাবে স্বাধীন মত প্রকাশের চেতনা গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে এই প্রকল্পের সূচনা। এর অংশ হিসেবে, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২১, মঙ্গলবার থেকে ডিজিটাল সিটিজেনশিপ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে লার্নিং সেশনের উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। এই লার্নিং সেশনে অংশগ্রহণ করেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৯ জন কৃতি শিক্ষার্থী। ডিসেম্বর মাস জুড়েই এই লার্নিং ও পিয়ার লার্নিং কার্যক্রম চলমান থাকবে। উদ্বোধনী সেশনে বক্তব্য রাখেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. আশিক মোসাদ্দিক। সেশনে আরও বক্তব্য রাখেন প্রক্টর ড. মো. হাবিবুল্লাহ ও ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তোতা মিয়া। অর্ধ বেলার লার্নিং সেশনটি পরিচালনা করেন ডিনেটের পক্ষ থেকে নিয়াজ ইসলাম আরিফ এবং সেশনটিতে সঞ্চালকের ভূমিকা পালন করেন সাংবাদিকতা, যোগাযোগ এবং মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক গোলাম রাব্বানী।

লার্নিং সেশনে ডিজিটাল সিটিজেনশিপ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিভিন্ন উপাদান নিয়ে আলোচনা করা হয়; যা তাঁদের প্রাত্যহিক জীবনে সচেতন ও দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে ও সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে ভূমিকা রাখবে। শিক্ষার্থীরা সেশনের বিভিন্ন কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন এবং নিজ জীবনে এই শিক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে উৎসাহী হন। এই লার্নিং সেশনে অংশগ্রহণের পর উপস্থিত শিক্ষার্থীরা ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাস জুড়ে ডিনেট-এর তত্ত্বাবধানে তাঁদের সহপাঠীদের সাথে ২০০ এর অধিক পিয়ার লার্নিং সেশন পরিচালনা করবেন, যার প্রতিটিতে চার থেকে পাঁচজন শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকবেন। এই পিয়ার লার্নিং সেশনগুলোতে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল সিটিজেনশিপ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষণীয় বিষয় জানতে পারবেন এবং একটি গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে বিশ্লেষণধর্মী চিন্তা চর্চার পদ্ধতি সম্পর্কে জানবেন। যা তাঁদের ডিজিটাল দুনিয়ায় বিচরণের ক্ষেত্রে আচরণগত পরিবর্তন এনে একজন গর্বিত ডিজিটাল নাগরিকে পরিণত হতে সহায়তা করবে।

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. আশিক মোসাদ্দিক বলেন তরুণ সমাজকে এগিয়ে এসে ডিজিটাল সিটিজেন হতে হবে এবং শুধু নিজেরাই সচেতন হলে হবে না সেই সাথে আশে পাশের সকলের কাছেও এই সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। তবেই আমরা বিভিন্ন সাইবার ক্রাইম থেকে নিরাপদ থাকতে পারবো। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল সিটিজেনশিপ চ্যালেঞ্জ, ২০২২-এ অংশগ্রহণ করতে পারবেন প্রকল্পের ওয়েবসাইট https://www.digitalcitizenbd.com/-এর আটটি কোর্সের কুইজে নিয়মিতভাবে অংশগ্রহণের মাধ্যমে। আট মাস ব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে প্রতি কুইজ রাউন্ডেই তাঁরা জিতে নিতে পারবেন আকর্ষণীয় বিভিন্ন পুরস্কার এবং এছাড়াও কুইজ রাউন্ডে বিজয়ীরা চূড়ান্ত গালা রাউন্ডে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন।