রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিশ্বে জেলবন্দী সাংবাদিকের সংখ্যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে: সিপিজে

কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস ‘সিপিজে’র সংকলিত বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে, বিশ্বে যেকোনও সময়ের চেয়ে সাংবাদিকদের জেলে থাকার সংখ্যা ২০২১ সালে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। বিভিন্ন দেশের সরকার সমালোচনামূলক প্রতিবেদন থামানোর জন্য ঐ সাংবাদিকদের বন্দী করে।

সিপিজে জানতে পেরেছে যে, পহেলা ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৯৩ জন সাংবাদিক ৩৭টি দেশে বন্দী রয়েছেন, যা ২০২০ সালের চেয়ে বেশি। গত বছর ২৮০ জন সাংবাদিক জেলে বন্দী ছিলেন।

এক্ষেত্রে চীন সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে। দেশটিতে ৫০ জন সাংবাদিককে বন্দী রাখা হয়েছে। অন্য যে সব দেশ অনেক বেশি সাংবাদিককে জেলে পাঠিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে মিয়ানমার, মিশর, ভিয়েতনাম এবং বেলারুশ। সিপিজে’র অ্যাডভোকেসি এন্ড কমিউনিকেশন ডিরেক্টর জিপসি গুইলেন কায়সার বলেন, বিভিন্ন দেশে সাংবাদিকদের কারাগারে রাখা একটি সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কায়সার বলেন, কর্তৃত্ববাদী সরকারগুলো নতুন আইন পাশ করার জন্য কাজ করছে, যা তাদেরকে সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করার অনুমতি দেয়। যেমন মিয়ানমারের দণ্ডবিধিতে ৫০৫এ ধারা যুক্ত করা হয়েছে, যা “ভয়ের কারণ” হতে পারে এমন অনির্দিষ্ট কাজকে নিষিদ্ধ করেছে।

সিপিজে ঐ প্রতিবেদনটি হোয়াইট হাউজ আয়োজিত ডেমোক্রেসি সামিটের একদিন আগে প্রকাশ করে। ভার্চুয়াল ঐ শীর্ষ বৈঠকে গণতন্ত্রের নীতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ১০০টির বেশি দেশ অংশ নিচ্ছে।

সিপিজের অথ্য অনুসারে, ঐ শীর্ষ বৈঠকের অংশগ্রহণকারী হিসেবে পররাষ্ট্র দপ্তরের তালিকাভুক্ত সাতটি দেশে বর্তমানে অন্তত একজন সাংবাদিক বন্দী রয়েছেন। আর ঐ দেশগুলো হলো– ব্রাজিল, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো, ভারত, ইরাক, ইসরাইল, নাইজেরিয়া এবং ফিলিপাইন।

সূত্র: ভয়েজ অব আমেরিকা

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

বিশ্বে জেলবন্দী সাংবাদিকের সংখ্যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে: সিপিজে

প্রকাশিত সময় : ০২:৪৫:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২১

কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস ‘সিপিজে’র সংকলিত বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে, বিশ্বে যেকোনও সময়ের চেয়ে সাংবাদিকদের জেলে থাকার সংখ্যা ২০২১ সালে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। বিভিন্ন দেশের সরকার সমালোচনামূলক প্রতিবেদন থামানোর জন্য ঐ সাংবাদিকদের বন্দী করে।

সিপিজে জানতে পেরেছে যে, পহেলা ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৯৩ জন সাংবাদিক ৩৭টি দেশে বন্দী রয়েছেন, যা ২০২০ সালের চেয়ে বেশি। গত বছর ২৮০ জন সাংবাদিক জেলে বন্দী ছিলেন।

এক্ষেত্রে চীন সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে। দেশটিতে ৫০ জন সাংবাদিককে বন্দী রাখা হয়েছে। অন্য যে সব দেশ অনেক বেশি সাংবাদিককে জেলে পাঠিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে মিয়ানমার, মিশর, ভিয়েতনাম এবং বেলারুশ। সিপিজে’র অ্যাডভোকেসি এন্ড কমিউনিকেশন ডিরেক্টর জিপসি গুইলেন কায়সার বলেন, বিভিন্ন দেশে সাংবাদিকদের কারাগারে রাখা একটি সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কায়সার বলেন, কর্তৃত্ববাদী সরকারগুলো নতুন আইন পাশ করার জন্য কাজ করছে, যা তাদেরকে সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করার অনুমতি দেয়। যেমন মিয়ানমারের দণ্ডবিধিতে ৫০৫এ ধারা যুক্ত করা হয়েছে, যা “ভয়ের কারণ” হতে পারে এমন অনির্দিষ্ট কাজকে নিষিদ্ধ করেছে।

সিপিজে ঐ প্রতিবেদনটি হোয়াইট হাউজ আয়োজিত ডেমোক্রেসি সামিটের একদিন আগে প্রকাশ করে। ভার্চুয়াল ঐ শীর্ষ বৈঠকে গণতন্ত্রের নীতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ১০০টির বেশি দেশ অংশ নিচ্ছে।

সিপিজের অথ্য অনুসারে, ঐ শীর্ষ বৈঠকের অংশগ্রহণকারী হিসেবে পররাষ্ট্র দপ্তরের তালিকাভুক্ত সাতটি দেশে বর্তমানে অন্তত একজন সাংবাদিক বন্দী রয়েছেন। আর ঐ দেশগুলো হলো– ব্রাজিল, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো, ভারত, ইরাক, ইসরাইল, নাইজেরিয়া এবং ফিলিপাইন।

সূত্র: ভয়েজ অব আমেরিকা