রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রে ঘূর্ণিঝড়ে মৃত্যু একশ’ ছাড়িয়ে যাওয়ার শঙ্কা

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় কেনটাকি অঙ্গরাজ্যে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪ জনে। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে আঘাত হানা এ ঘূর্ণিঝড়ের কবলে শুধু কেনটাকি নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও পাঁচটি অঙ্গরাজ্য।

কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের গভর্নর অ্যান্ডি বেশেয়ার বলেছেন, শুক্রবার রাতের ঘূর্ণিঝড়ে কেনটাকি অঙ্গরাজ্যে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ সংখ্যা ১০০ জনেরও বেশি হতে পারে।

এটিই রাজ্যের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় বলে আখ্যায়িত করেছেন তিনি।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হপকিন্স কাউন্টিতে তীব্র ঝড়ের কারণে একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কেনটাকি অঙ্গরাজ্যে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কেনটাকির পশ্চিমাংশের মেফিল্ড শহর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১০ হাজার বাসিন্দার ছোট এই শহরটিতে কেনটাকি প্রতিবেশী রাজ্য ইলিনয়, মিজৌরি ও আরকানসয়ের সঙ্গে মিলিত হয়েছে।

রাতে ধারাবাহিক কয়েকটি বজ্রঝড় থেকে টর্নেডোগুলির উৎপত্তি হয়। এরমধ্যে আরকানসর উত্তরাঞ্চলে উৎপত্তি হওয়া একটি ‘সুপার সেল’ ঝড়ও ছিল। এই ঝড়টি আরকানস থেকে মিজৌরি, টেনেসি ও কেনটাকিতে প্রবেশ করে।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিসের ঝড় পূর্বাভাস কেন্দ্রের আবহাওয়াবিদ রজার এডওয়ার্ড বলেন, “দুর্ভাগ্যজনকভাবে এটি এগিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকটি প্রাণঘাতী টর্নেডো সৃষ্টি করে। এদের মধ্যে একটি সম্ভবত অনেক দূর পর্যন্ত গিয়েছে। প্রাণঘাতী টর্নেডোটি এর অংশ ছিল।”

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘূর্ণিঝড়ের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে কথা বলেছেন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের গভর্নর অ্যান্ডি বেশিয়ারের সঙ্গে। ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
সূত্র : স্কাই নিউজ

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

যুক্তরাষ্ট্রে ঘূর্ণিঝড়ে মৃত্যু একশ’ ছাড়িয়ে যাওয়ার শঙ্কা

প্রকাশিত সময় : ১০:৩২:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২১

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় কেনটাকি অঙ্গরাজ্যে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪ জনে। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে আঘাত হানা এ ঘূর্ণিঝড়ের কবলে শুধু কেনটাকি নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও পাঁচটি অঙ্গরাজ্য।

কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের গভর্নর অ্যান্ডি বেশেয়ার বলেছেন, শুক্রবার রাতের ঘূর্ণিঝড়ে কেনটাকি অঙ্গরাজ্যে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ সংখ্যা ১০০ জনেরও বেশি হতে পারে।

এটিই রাজ্যের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় বলে আখ্যায়িত করেছেন তিনি।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হপকিন্স কাউন্টিতে তীব্র ঝড়ের কারণে একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কেনটাকি অঙ্গরাজ্যে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কেনটাকির পশ্চিমাংশের মেফিল্ড শহর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১০ হাজার বাসিন্দার ছোট এই শহরটিতে কেনটাকি প্রতিবেশী রাজ্য ইলিনয়, মিজৌরি ও আরকানসয়ের সঙ্গে মিলিত হয়েছে।

রাতে ধারাবাহিক কয়েকটি বজ্রঝড় থেকে টর্নেডোগুলির উৎপত্তি হয়। এরমধ্যে আরকানসর উত্তরাঞ্চলে উৎপত্তি হওয়া একটি ‘সুপার সেল’ ঝড়ও ছিল। এই ঝড়টি আরকানস থেকে মিজৌরি, টেনেসি ও কেনটাকিতে প্রবেশ করে।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিসের ঝড় পূর্বাভাস কেন্দ্রের আবহাওয়াবিদ রজার এডওয়ার্ড বলেন, “দুর্ভাগ্যজনকভাবে এটি এগিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকটি প্রাণঘাতী টর্নেডো সৃষ্টি করে। এদের মধ্যে একটি সম্ভবত অনেক দূর পর্যন্ত গিয়েছে। প্রাণঘাতী টর্নেডোটি এর অংশ ছিল।”

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘূর্ণিঝড়ের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে কথা বলেছেন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের গভর্নর অ্যান্ডি বেশিয়ারের সঙ্গে। ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
সূত্র : স্কাই নিউজ