সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শক্তিশালী রাই-এর তাণ্ডবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০৮

চলতি বছরে ফিলিপাইনে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন রাই-এর তাণ্ডবে বিপর্যস্ত দেশটির মধ্য এবং দক্ষিণাঞ্চলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০৮ জনে দাঁড়িয়েছে বলেই জানিয়েছে দেশটির প্রশাসন। এছাড়া ১০ জন নিখোঁজ এবং ১৩ জন আহত হয়েছেন বলেও জানান কর্মকর্তারা।

গত শুক্রবার আঘাত হানা এই টাইফুন দেশটির দক্ষিণ ও মধ্য অঞ্চলে আঘাত হানার ফলে ৩ লাখেরও বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর এবং সমুদ্র সৈকতের রিসোর্ট ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের লক্ষ্যে পালিয়েছে। কিছু এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং ভবনের ছাদ ধসে পড়েছে।

শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দেশটির বেশিরভাগ প্রদেশে এখনও ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। একই পরিস্থিতি টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থারও।

ঘণ্টায় প্রায় ১৯৫ কিলোমিটার গতিতে চলা এই ঘূর্ণিঝড় সাম্প্রতিককালে ফিলিপাইনে আছড়ে পড়া ঝড়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিধ্বংসী ছিল বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অধিদফতর।

ঝড়ের আগে কমপক্ষে তিন লক্ষ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেয়া হয়। তা না হলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ত বলেই মনে করছে স্থানীয় প্রশাসন।

ফিলিপিন্সের বোহোল প্রদেশেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব গুরুতর। ঝড়ের প্রভাবে প্লাবনের জেরে অনেকেই ছাদ এবং গাছের ডালে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাঁদের উদ্ধার করছেন উপকূলরক্ষী বাহিনী।

প্রেসিডেন্ট রড্রিগো দুতার্তে জানান, কোভিড মোকাবিলায় দেশের আপাৎকালীন তহবিলের বেশিরভাগই খরচ হয়ে গেছে। এই সময়ে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব প্রশাসনকে কঠিন পরিস্থিতির মুখে ঠেলে দিয়েছে। প্রদেশগুলোকে সাহায্য পাঠাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। সূত্র- এএফপি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

শক্তিশালী রাই-এর তাণ্ডবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০৮

প্রকাশিত সময় : ১০:৩১:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২১

চলতি বছরে ফিলিপাইনে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন রাই-এর তাণ্ডবে বিপর্যস্ত দেশটির মধ্য এবং দক্ষিণাঞ্চলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০৮ জনে দাঁড়িয়েছে বলেই জানিয়েছে দেশটির প্রশাসন। এছাড়া ১০ জন নিখোঁজ এবং ১৩ জন আহত হয়েছেন বলেও জানান কর্মকর্তারা।

গত শুক্রবার আঘাত হানা এই টাইফুন দেশটির দক্ষিণ ও মধ্য অঞ্চলে আঘাত হানার ফলে ৩ লাখেরও বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর এবং সমুদ্র সৈকতের রিসোর্ট ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের লক্ষ্যে পালিয়েছে। কিছু এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং ভবনের ছাদ ধসে পড়েছে।

শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দেশটির বেশিরভাগ প্রদেশে এখনও ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। একই পরিস্থিতি টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থারও।

ঘণ্টায় প্রায় ১৯৫ কিলোমিটার গতিতে চলা এই ঘূর্ণিঝড় সাম্প্রতিককালে ফিলিপাইনে আছড়ে পড়া ঝড়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিধ্বংসী ছিল বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অধিদফতর।

ঝড়ের আগে কমপক্ষে তিন লক্ষ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেয়া হয়। তা না হলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ত বলেই মনে করছে স্থানীয় প্রশাসন।

ফিলিপিন্সের বোহোল প্রদেশেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব গুরুতর। ঝড়ের প্রভাবে প্লাবনের জেরে অনেকেই ছাদ এবং গাছের ডালে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাঁদের উদ্ধার করছেন উপকূলরক্ষী বাহিনী।

প্রেসিডেন্ট রড্রিগো দুতার্তে জানান, কোভিড মোকাবিলায় দেশের আপাৎকালীন তহবিলের বেশিরভাগই খরচ হয়ে গেছে। এই সময়ে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব প্রশাসনকে কঠিন পরিস্থিতির মুখে ঠেলে দিয়েছে। প্রদেশগুলোকে সাহায্য পাঠাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। সূত্র- এএফপি।