বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামে যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে হত্যা

চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও পাঠানিয়া ঘোনা এলাকায় মাহমুদা খানম আঁখি (২১) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।

রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সে প্রবাসী মফিজুর রহমানের মেয়ে। দুই বছর আগে আঁখির বিয়ে হয়। সে বেসরকারি সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

নিহতের পরিবারের অভিযোগ করে জানান, তার স্বামী আইনজীবী আনিসুল ইসলাম (৩২) এবং তার পরিবারের সদস্যরা যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে আঁখিকে খুন করেছেন। গত ছয় মাস ধরে আঁখির ওপর শারীরিক মানসিক নির্যাতন চলছিল। আঁখির স্বামী আনিসুল ইসলামের সাথে অন্য একটি মেয়ের সম্পর্ক আছে। বিষয়টি জানতে পেরে আঁখি প্রতিবাদ করলে তার ওপর নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। সে যাতে এসব বিষয় কারও সাথে শেয়ার করতে না পারে, সেজন্য তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়।

তারা আরও জানান, ৬-৭ দিন আগে আঁখিকে খুব মারধর করা হয়। সে অবস্থায়ও চিকিৎসা না করে তাকে ঘরে ফেলে রাখা হয়। অবস্থা গুরুতর হলে গত শনিবার তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।

পাঁচলাইশ থানার ওসি জাহিদুল কবীর দৈনিক অধিকারকে বলেন, অভিযুক্ত আনিসুল ইসলামসহ দুইজনকে আটক করে চান্দগাঁও থানার সোর্পদ করা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

চট্টগ্রামে যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে হত্যা

প্রকাশিত সময় : ০২:৫২:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২১

চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও পাঠানিয়া ঘোনা এলাকায় মাহমুদা খানম আঁখি (২১) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।

রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সে প্রবাসী মফিজুর রহমানের মেয়ে। দুই বছর আগে আঁখির বিয়ে হয়। সে বেসরকারি সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

নিহতের পরিবারের অভিযোগ করে জানান, তার স্বামী আইনজীবী আনিসুল ইসলাম (৩২) এবং তার পরিবারের সদস্যরা যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে আঁখিকে খুন করেছেন। গত ছয় মাস ধরে আঁখির ওপর শারীরিক মানসিক নির্যাতন চলছিল। আঁখির স্বামী আনিসুল ইসলামের সাথে অন্য একটি মেয়ের সম্পর্ক আছে। বিষয়টি জানতে পেরে আঁখি প্রতিবাদ করলে তার ওপর নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। সে যাতে এসব বিষয় কারও সাথে শেয়ার করতে না পারে, সেজন্য তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়।

তারা আরও জানান, ৬-৭ দিন আগে আঁখিকে খুব মারধর করা হয়। সে অবস্থায়ও চিকিৎসা না করে তাকে ঘরে ফেলে রাখা হয়। অবস্থা গুরুতর হলে গত শনিবার তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।

পাঁচলাইশ থানার ওসি জাহিদুল কবীর দৈনিক অধিকারকে বলেন, অভিযুক্ত আনিসুল ইসলামসহ দুইজনকে আটক করে চান্দগাঁও থানার সোর্পদ করা হয়েছে।