শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এপ্রিলের মধ্যে ৭০ ভাগ মানুষকে টিকা দেয়ার উদ্যোগ

দেশে করোনা টিকার মজুদ সাড়ে চার কোটি ডোজ। এ মাসেই আসছে আরও ৬ কোটি ৫৫ লাখ। আর নতুন বছরের প্রথম প্রান্তিকে পাওয়া যাবে আরও ৯ কোটি টিকা। তাই এপ্রিলের মধ্যে ৭০ ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনা কঠিন হবে না বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। চলবে বুস্টার ডোজও।

করোনায় প্রাণহানি ও আক্রান্তের দিক থেকে বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় এখনও ভালো অবস্থানে বাংলাদেশ। বিপুলসংখ্যক মানুষকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হওয়ায় এমন স্বস্তি, বলছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশের ৭০ ভাগ মানুষকে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। প্রায় ১২ কোটি মানুষকে আনা হবে টিাকার আওতায়। এপ্রিলের মধ্যে এ লক্ষ্য পূরণে ১৩ কোটি ডোজ টিকার প্রয়োজন। মজুদ আছে ৪ কোটি ৬৩ লাখ ডোজ। তবে যথাসময়েই প্রয়োজনীয় টিকা দেশে আসবে বলে আশ্বস্ত করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ডিসেম্বর নাগাদ টিকা প্রাপ্তির ডোজ ৬ কোটি ৫৫ লাখ। ২০২২ সালের প্রথম কোয়ার্টারের মধ্যে আরও ৯ কোটি ডোজ আমরা পাব। ৩১ মার্চ নাগাদ মজুদের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৬ কোটি ৮৫ লাখ ডোজ।

এদিকে, বিশ্বজুড়ে নতুন উদ্বেগের নাম ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। ডেল্টার চেয়ে দ্রুতগতির ভ্যারিয়েন্টটি এরইমধ্যে বাংলাদেশসহ ৯০টি দেশে ছড়িয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিয়মিত টিকার পাশাপাশি বুস্টার ডোজ কার্যক্রমও জোরদার করতে চায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

জাহিদ মালেক বলেন, ওমিক্রন বিশ্বের অনেক দেশে ছড়িয়ে গেছে। আমরা দেশকে নিরাপদ রাখতে চাই। ডাক্তার-নার্সসহ সকলকেই সুস্থ রাখার আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে।

ওমিক্রন মোকাবেলায় বিভিন্ন বন্দরে সতর্কতা বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

এপ্রিলের মধ্যে ৭০ ভাগ মানুষকে টিকা দেয়ার উদ্যোগ

প্রকাশিত সময় : ০৩:১৫:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২১

দেশে করোনা টিকার মজুদ সাড়ে চার কোটি ডোজ। এ মাসেই আসছে আরও ৬ কোটি ৫৫ লাখ। আর নতুন বছরের প্রথম প্রান্তিকে পাওয়া যাবে আরও ৯ কোটি টিকা। তাই এপ্রিলের মধ্যে ৭০ ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনা কঠিন হবে না বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। চলবে বুস্টার ডোজও।

করোনায় প্রাণহানি ও আক্রান্তের দিক থেকে বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় এখনও ভালো অবস্থানে বাংলাদেশ। বিপুলসংখ্যক মানুষকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হওয়ায় এমন স্বস্তি, বলছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশের ৭০ ভাগ মানুষকে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। প্রায় ১২ কোটি মানুষকে আনা হবে টিাকার আওতায়। এপ্রিলের মধ্যে এ লক্ষ্য পূরণে ১৩ কোটি ডোজ টিকার প্রয়োজন। মজুদ আছে ৪ কোটি ৬৩ লাখ ডোজ। তবে যথাসময়েই প্রয়োজনীয় টিকা দেশে আসবে বলে আশ্বস্ত করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ডিসেম্বর নাগাদ টিকা প্রাপ্তির ডোজ ৬ কোটি ৫৫ লাখ। ২০২২ সালের প্রথম কোয়ার্টারের মধ্যে আরও ৯ কোটি ডোজ আমরা পাব। ৩১ মার্চ নাগাদ মজুদের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৬ কোটি ৮৫ লাখ ডোজ।

এদিকে, বিশ্বজুড়ে নতুন উদ্বেগের নাম ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। ডেল্টার চেয়ে দ্রুতগতির ভ্যারিয়েন্টটি এরইমধ্যে বাংলাদেশসহ ৯০টি দেশে ছড়িয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিয়মিত টিকার পাশাপাশি বুস্টার ডোজ কার্যক্রমও জোরদার করতে চায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

জাহিদ মালেক বলেন, ওমিক্রন বিশ্বের অনেক দেশে ছড়িয়ে গেছে। আমরা দেশকে নিরাপদ রাখতে চাই। ডাক্তার-নার্সসহ সকলকেই সুস্থ রাখার আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে।

ওমিক্রন মোকাবেলায় বিভিন্ন বন্দরে সতর্কতা বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।