মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন বিএনপিরও দায়িত্ব

নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি প্রস্তুত করার জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে রাষ্ট্রপতির সংলাপের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, আমন্ত্রিত রাজনৈতিক দলগুলোকে এই সংলাপে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে একটি নিরপেক্ষ, শক্তিশালী ও কার্যকর নির্বাচন কমিশন গঠনে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের যে দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে বিএনপি তা অনুসরণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন কাদের।

মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। দলটির দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ওই বিবৃতির বিষয়ে জানানো হয়।

আওয়ামী লীগ সংবিধান সম্মতভাবে একটি স্বাধীন ও কার্যকর নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির উদ্যোগকে সহায়তা প্রদান করতে বদ্ধপরিকর জানিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘রাজনৈতিক দলসমূহের সংবিধান ও আইনসম্মত ভূমিকা রাখবে।’

কাদের বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি যখন নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে চলেছেন, ঠিক সেই মুহূর্তে দেশের চিহ্নিত রাজনৈতিক অপশক্তি চিরাচরিতভাবে দেশের প্রচলিত গণতান্ত্রিক রীতি ও সংবিধানের বিপরীতে অবস্থান করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার এক ঘৃণ্য অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের জনগণ “সাদেক আলী-আজিজ মার্কা” নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা ভুলে যায়নি। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কোনও প্রকার আলাপ-আলোচনা ব্যতীত সংবিধান ও গণতান্ত্রিক রীতি-নীতি অনুসরণ না করেই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আজ্ঞাবহ লোক দিয়েই নির্বাচন কমিশন গঠন করেছিল। বাংলাদেশের জনগণ ঘৃণাভরে বিএনপির সেই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বের বাংলার মানুষ ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করে।

২০০৯ সালে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে একটি স্বতন্ত্র ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেন বলে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার আমলেই ২০১২ ও ২০১৭ সালে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংবিধান সম্মতভাবে নির্বাচন কমিশন গঠনের অনন্য নজির স্থাপিত হয়। বিএনপি কখনও সংবিধান, গণতান্ত্রিক রীতি-নীতি ও নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস করে না।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, বিভ্রান্তিকর মন্তব্য ও অপপ্রচারের নীতি পরিহার করে গণতান্ত্রিক রীতি-নীতি এবং সুস্থ রাজনীতির ধারায় ফিরে আসবে বিএনপি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন বিএনপিরও দায়িত্ব

প্রকাশিত সময় : ০৮:২৪:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২১

নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি প্রস্তুত করার জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে রাষ্ট্রপতির সংলাপের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, আমন্ত্রিত রাজনৈতিক দলগুলোকে এই সংলাপে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে একটি নিরপেক্ষ, শক্তিশালী ও কার্যকর নির্বাচন কমিশন গঠনে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের যে দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে বিএনপি তা অনুসরণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন কাদের।

মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। দলটির দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ওই বিবৃতির বিষয়ে জানানো হয়।

আওয়ামী লীগ সংবিধান সম্মতভাবে একটি স্বাধীন ও কার্যকর নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির উদ্যোগকে সহায়তা প্রদান করতে বদ্ধপরিকর জানিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘রাজনৈতিক দলসমূহের সংবিধান ও আইনসম্মত ভূমিকা রাখবে।’

কাদের বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি যখন নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে চলেছেন, ঠিক সেই মুহূর্তে দেশের চিহ্নিত রাজনৈতিক অপশক্তি চিরাচরিতভাবে দেশের প্রচলিত গণতান্ত্রিক রীতি ও সংবিধানের বিপরীতে অবস্থান করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার এক ঘৃণ্য অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের জনগণ “সাদেক আলী-আজিজ মার্কা” নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা ভুলে যায়নি। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কোনও প্রকার আলাপ-আলোচনা ব্যতীত সংবিধান ও গণতান্ত্রিক রীতি-নীতি অনুসরণ না করেই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আজ্ঞাবহ লোক দিয়েই নির্বাচন কমিশন গঠন করেছিল। বাংলাদেশের জনগণ ঘৃণাভরে বিএনপির সেই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বের বাংলার মানুষ ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করে।

২০০৯ সালে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে একটি স্বতন্ত্র ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেন বলে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার আমলেই ২০১২ ও ২০১৭ সালে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংবিধান সম্মতভাবে নির্বাচন কমিশন গঠনের অনন্য নজির স্থাপিত হয়। বিএনপি কখনও সংবিধান, গণতান্ত্রিক রীতি-নীতি ও নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস করে না।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, বিভ্রান্তিকর মন্তব্য ও অপপ্রচারের নীতি পরিহার করে গণতান্ত্রিক রীতি-নীতি এবং সুস্থ রাজনীতির ধারায় ফিরে আসবে বিএনপি।