শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লঞ্চে আগুন: ২৭ জনকে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৩২ জনের জানাজা হয়েছে বরগুনা সার্কিট হাউজ ঈদগাহ ময়দানে। এর মধ্যে ২৭ জনকে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে।

শনিবার ১১টায় বরগুনা জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে জানাজায় স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ নানা শ্রেণি-পেশার অসংখ্য মানুষ অংশ নেন।

বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান জানান, ঝালকাঠি জেনারেল হাসপাতাল থেকে মোট ৩৭ জনের মরদেহ বুঝে নেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১০ জনের পরিচয় শনাক্ত করেছেন স্বজনরা। বাকি ২৭ জনকে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, এরই মধ্যে দশজনের মরদেহ স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসক বলেন, বরগুনা সদর হাসপাতালে সংরক্ষণের জন্য অত্যাধুনিক ব্যবস্থা না থাকায় ১১টার পর ৩২ মরদেহের সার্কিট হাউজ মাঠে সম্মিলিত জানাজা হয়। শেষে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী ২টার মধ্যে সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের পোটকাখালী এলাকায় গণদাফন করা হয়েছে।

নিখোঁজ ব্যক্তিদের তথ্য সম্পর্কে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কতজন নিখোঁজ রয়েছেন, এর নির্দিষ্ট তথ্য জেলা প্রশাসনের কাছে নেই। তবে, উপাত্ত সংগ্রহের জন্য সেল গঠন করা হয়েছে। আমরা স্বজনদের আহ্বান জানিয়েছি নিখোঁজের তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে।’

দুই-একদিনের মধ্যে নিখোঁজ ব্যক্তিদের তথ্য জানা যাবে। যদি কেউ ডিএনএ নমুনা নিয়ে আসেন, তাহলে তাকে পরবর্তীতে কবর শনাক্ত করে দেয়া হবে, জানান জেলা প্রশাসক।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ঢাকার সদরঘাট থেকে বরগুনার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া অভিযান-১০ লঞ্চে রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে আগুন লাগে। ওই সময় অনেকে গভীর ঘুমে ছিলেন। অন্যদের চিৎকার চেঁচামেচিতে তাদের ঘুম ভাঙে। কী ঘটেছে তা বুঝে ওঠার আগেই এদের কেউ কেউ দগ্ধ হন এবং মারা যান। অনেকে নদীতে ঝাঁপ দেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

অপরাধীদের বিরুদ্ধে দৃঢ় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি মির্জা ফখরুলের

লঞ্চে আগুন: ২৭ জনকে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন

প্রকাশিত সময় : ০৪:০০:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২১

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৩২ জনের জানাজা হয়েছে বরগুনা সার্কিট হাউজ ঈদগাহ ময়দানে। এর মধ্যে ২৭ জনকে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে।

শনিবার ১১টায় বরগুনা জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে জানাজায় স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ নানা শ্রেণি-পেশার অসংখ্য মানুষ অংশ নেন।

বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান জানান, ঝালকাঠি জেনারেল হাসপাতাল থেকে মোট ৩৭ জনের মরদেহ বুঝে নেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১০ জনের পরিচয় শনাক্ত করেছেন স্বজনরা। বাকি ২৭ জনকে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, এরই মধ্যে দশজনের মরদেহ স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসক বলেন, বরগুনা সদর হাসপাতালে সংরক্ষণের জন্য অত্যাধুনিক ব্যবস্থা না থাকায় ১১টার পর ৩২ মরদেহের সার্কিট হাউজ মাঠে সম্মিলিত জানাজা হয়। শেষে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী ২টার মধ্যে সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের পোটকাখালী এলাকায় গণদাফন করা হয়েছে।

নিখোঁজ ব্যক্তিদের তথ্য সম্পর্কে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কতজন নিখোঁজ রয়েছেন, এর নির্দিষ্ট তথ্য জেলা প্রশাসনের কাছে নেই। তবে, উপাত্ত সংগ্রহের জন্য সেল গঠন করা হয়েছে। আমরা স্বজনদের আহ্বান জানিয়েছি নিখোঁজের তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে।’

দুই-একদিনের মধ্যে নিখোঁজ ব্যক্তিদের তথ্য জানা যাবে। যদি কেউ ডিএনএ নমুনা নিয়ে আসেন, তাহলে তাকে পরবর্তীতে কবর শনাক্ত করে দেয়া হবে, জানান জেলা প্রশাসক।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ঢাকার সদরঘাট থেকে বরগুনার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া অভিযান-১০ লঞ্চে রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে আগুন লাগে। ওই সময় অনেকে গভীর ঘুমে ছিলেন। অন্যদের চিৎকার চেঁচামেচিতে তাদের ঘুম ভাঙে। কী ঘটেছে তা বুঝে ওঠার আগেই এদের কেউ কেউ দগ্ধ হন এবং মারা যান। অনেকে নদীতে ঝাঁপ দেন।