শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাবির লাইব্রেরিকে ‘হাসান আজিজুল হক গ্রন্থাগার’ নামকরণের দাবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিকে ‘অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার’ নামকরণের দাবি জানানো হয়েছে।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সিনেট ভবনে হাসান আজিজুল হক স্মরণে আয়োজিত এক শোকসভায় এ দাবি জানান দর্শন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক শামীমা আক্তার।

তিনি বলেন, অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় তথা দেশবাসীর গর্ব। তার সৃষ্টিশীল শিল্পকর্ম এই বিশ্ববিদ্যালয়কে গর্বিত করেছে। মৃত্যুর পর কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর পাশে মরহুমের সমাহিত করার সিদ্ধান্ত নেয়ায় দর্শন বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞ। একই সঙ্গে দর্শন বিভাগের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর নাম ‘অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার’ নামকরণের দাবি জানাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, একজন মানবিক মানুষ কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক। হাসান আজিজুল হকের মতো মানুষরা কখনো মারা যেতে পারে না। তিনি সবার হৃদয়ে রয়েছেন। তার মতো মানুষরা জাতির জন্য অনুপ্রেরণা। কেননা তিনি সর্বদা প্রান্তিক ও মজলুম মানুষের পাশে ছিলেন। মজলুম মানুষের জন্য সর্বদা তার লেখনি জারি ছিল। মহান এই মানুষটির স্মরণে শোকসভার আয়োজন করায় দর্শন বিভাগের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ভিসি।

দর্শন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মহেন্দ্রনাথ অধিকারী বলেন, সংগ্রামী একজন মানুষ ছিলেন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক। সর্বদা তার অপ্রতিরোধ্য কলম জেগে উঠতো অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে। সমাজ পরিবর্তনের অপ্রতিরোধ্য এই কথাসাহিত্যিক আজ আর নেই। তার অনুপস্থিত অনেক কষ্টের। তবে তিনি থাকবেন আমাদের হৃদয়ে এক মহান মানুষ হিসেবে।

কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের পুত্র প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ হাসান বলেন, বাবা অত্যন্ত সময় সচেতন মানুষ ছিলেন। তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি অধ্যাপনা ও সংস্কৃতির চর্চা করতেন। তিনি অত্যন্ত সাধারণ জীবন অতিবাহিত করেছেন। তার জীবনে ইহজাগতিক তেমন কোনো চাওয়া প্রাধান্য পায়নি। তিনি সর্বদা মানুষের সংস্পর্শে থাকতে পছন্দ করতেন। দর্শন বিভাগ ছিল বাবার কাছে পরিবারের মতো। বাবার স্মরণে দর্শন বিভাগের এমন আয়োজনে বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

দর্শন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক শামীমা আক্তারের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন প্রো-ভিসি অধ্যাপক চৌধুরি মো. জাকারিয়া ও অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক সুব্রত মজুমদার, জুলফিকার মতিন, ড. আক্তার আলী প্রমূখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দর্শন বিভাগের শিক্ষক তাসনিম নাজিরা রিদা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

অপরাধীদের বিরুদ্ধে দৃঢ় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি মির্জা ফখরুলের

রাবির লাইব্রেরিকে ‘হাসান আজিজুল হক গ্রন্থাগার’ নামকরণের দাবি

প্রকাশিত সময় : ০৯:৪২:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিকে ‘অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার’ নামকরণের দাবি জানানো হয়েছে।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সিনেট ভবনে হাসান আজিজুল হক স্মরণে আয়োজিত এক শোকসভায় এ দাবি জানান দর্শন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক শামীমা আক্তার।

তিনি বলেন, অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় তথা দেশবাসীর গর্ব। তার সৃষ্টিশীল শিল্পকর্ম এই বিশ্ববিদ্যালয়কে গর্বিত করেছে। মৃত্যুর পর কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর পাশে মরহুমের সমাহিত করার সিদ্ধান্ত নেয়ায় দর্শন বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞ। একই সঙ্গে দর্শন বিভাগের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর নাম ‘অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার’ নামকরণের দাবি জানাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, একজন মানবিক মানুষ কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক। হাসান আজিজুল হকের মতো মানুষরা কখনো মারা যেতে পারে না। তিনি সবার হৃদয়ে রয়েছেন। তার মতো মানুষরা জাতির জন্য অনুপ্রেরণা। কেননা তিনি সর্বদা প্রান্তিক ও মজলুম মানুষের পাশে ছিলেন। মজলুম মানুষের জন্য সর্বদা তার লেখনি জারি ছিল। মহান এই মানুষটির স্মরণে শোকসভার আয়োজন করায় দর্শন বিভাগের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ভিসি।

দর্শন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মহেন্দ্রনাথ অধিকারী বলেন, সংগ্রামী একজন মানুষ ছিলেন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক। সর্বদা তার অপ্রতিরোধ্য কলম জেগে উঠতো অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে। সমাজ পরিবর্তনের অপ্রতিরোধ্য এই কথাসাহিত্যিক আজ আর নেই। তার অনুপস্থিত অনেক কষ্টের। তবে তিনি থাকবেন আমাদের হৃদয়ে এক মহান মানুষ হিসেবে।

কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের পুত্র প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ হাসান বলেন, বাবা অত্যন্ত সময় সচেতন মানুষ ছিলেন। তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি অধ্যাপনা ও সংস্কৃতির চর্চা করতেন। তিনি অত্যন্ত সাধারণ জীবন অতিবাহিত করেছেন। তার জীবনে ইহজাগতিক তেমন কোনো চাওয়া প্রাধান্য পায়নি। তিনি সর্বদা মানুষের সংস্পর্শে থাকতে পছন্দ করতেন। দর্শন বিভাগ ছিল বাবার কাছে পরিবারের মতো। বাবার স্মরণে দর্শন বিভাগের এমন আয়োজনে বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

দর্শন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক শামীমা আক্তারের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন প্রো-ভিসি অধ্যাপক চৌধুরি মো. জাকারিয়া ও অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক সুব্রত মজুমদার, জুলফিকার মতিন, ড. আক্তার আলী প্রমূখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দর্শন বিভাগের শিক্ষক তাসনিম নাজিরা রিদা।