শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুলনায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর আত্মহত্যা

খুলনায় পারিবারিক কলহের জের ধরে মহুয়া খাতুন (২০) নামে এক শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

বুধবার দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। বাগেরহাট সদর থানা এলাকার শাহাদাত হোসেনের মেয়ে এবং খুলনা নর্দান ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।

তিনি নগরীর খালিশপুরে নানি বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করতেন। খালিশপুর থানার এসআই মো. শওকত আলী জানান, মঙ্গলবার দুপুর ও রাতে কোনো খাবার খায়নি মহুয়া। রাতে ঘরের দরজা দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। বুধবার সকাল থেকে ডাকাডাকি করলেও ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

এসআই মো. শওকত আলী জানান, মহুয়ার মা মারা যাওয়ার কিছুদিন পর বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এরপর নানি বাড়ি খালিশপুর থেকে সে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছিল।

বাবার সঙ্গে মনোমালিন্যে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। তা ছাড়া মৃতের শরীরে কোনো আঘাতে চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে জানান পুলিশের এই এসআই।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

অপরাধীদের বিরুদ্ধে দৃঢ় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি মির্জা ফখরুলের

খুলনায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর আত্মহত্যা

প্রকাশিত সময় : ১১:০৪:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১

খুলনায় পারিবারিক কলহের জের ধরে মহুয়া খাতুন (২০) নামে এক শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

বুধবার দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। বাগেরহাট সদর থানা এলাকার শাহাদাত হোসেনের মেয়ে এবং খুলনা নর্দান ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।

তিনি নগরীর খালিশপুরে নানি বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করতেন। খালিশপুর থানার এসআই মো. শওকত আলী জানান, মঙ্গলবার দুপুর ও রাতে কোনো খাবার খায়নি মহুয়া। রাতে ঘরের দরজা দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। বুধবার সকাল থেকে ডাকাডাকি করলেও ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

এসআই মো. শওকত আলী জানান, মহুয়ার মা মারা যাওয়ার কিছুদিন পর বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এরপর নানি বাড়ি খালিশপুর থেকে সে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছিল।

বাবার সঙ্গে মনোমালিন্যে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। তা ছাড়া মৃতের শরীরে কোনো আঘাতে চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে জানান পুলিশের এই এসআই।