টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ে গভীর পাহাড়ে প্রসবের সময় এক বাচ্চা হাতির মৃত্যু ঘটেছে। বনবিভাগের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হাতির মৃত শাবকটি মাটিতে পুঁতে ফেলার ব্যবস্থা করেছে।
পর্যবেক্ষণ ও হাতির মৃত শাবক মাটিতে পুঁতে ফেলার কাজ সম্পন্ন করে ফেরার পর সন্ধ্যায় টেকনাফের হোয়াইক্যং রইক্ষ্যং বন বিট কর্মকর্তা জহির উদ্দিন মোহাম্মদ মিনার চৌধুরী বলেন, ‘স্থানীয় লোকজন মারফতে খবর পেয়ে আমরা বাচ্চা হাতি মারা যাওয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি।
১ জানুয়ারী টেকনাফের হোয়াইক্যং রেঞ্জের আওতাধীন ঊনছিপ্রাং রইক্ষ্যংয়ের মিজ্জিছড়া গহীন পাহাড়ে হাতি শাবকের মৃত্যুর খবর পেয়ে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের ডিএফও মো. সরওয়ারের নেতৃত্বে বনবিভাগের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃত বাচ্চা হাতিটি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে। এই পর্যবেক্ষণ প্রতিনিধি দলে ছিলেন দারিয়াদিঘীর সহকারী বনসংরক্ষক ও হাতি সুরক্ষা দলের নেতা আনিসুর রহমান, কক্সবাজার সদরের সহকারী বনসংরক্ষক শহিদুল ইসলাম, স্থানীয় বনবিট কর্মকর্তা জহির উদ্দিন মোহাম্মদ মিনার চৌধুরী, বন পাহারা দলের সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
তাদের ভাষ্য মতে, বাচ্চা হাতিটি পুরুষ জাতের। মৃত বাচ্চা হাতিটির দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। আর এখন তো তীব্র শীত পড়ছে। তাই স্পষ্টভাবে কিছু বলা যাচ্ছেনা। সম্ভবতঃ বাচ্চাটি প্রসব হওয়ার সময় কোনও কারণে মারা যায় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মৃত বাচ্চা হাতির শাবকটি মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে’।

কক্সবাজার প্রতিনিধি 

























