সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতে ওমিক্রনে প্রথম মৃত্যু

বিশ্বজুড়ে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের তাণ্ডবে সংক্রমণের নতুন রেকর্ডের খবর দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো। এরই মধ্যে ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে দেশটিতে এই প্রথম ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এনডিটিভি জানায়, দেশটির রাজস্থানের উদয়পুরে এক ব্যক্তি ওমিক্রনে মৃত্যুবরণ করেছেন।

এনডিটিভি জানায়, ৭৩ বছর বয়স্ক ওই ব্যক্তির উদয়পুরে লক্ষী নারায়ন পুরের বাসিন্দা।

গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর ওই ব্যক্তির শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকে তিনি হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। ওই ব্যক্তির ডায়বেটিকস, উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা ছিল।

২১ ডিসেম্বর তার করোনা নেগেটিভ ধরা পড়ে। এরপর তার নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে পাঠানো হয়। তিনি করোনার দুটি টিকাও নিয়েছিলেন। এমনটি তিনি উল্লেখযোগ্য কোথাও ভ্রমণ কিংবা সংশ্লিষ্ট কারো সংস্পর্শেও আসেননি

২৫ ডিসেম্বর জিনোম সিকোয়েন্সিংয়েন ফল পাওয়ার পর তার শরীরে ওমিক্রনের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এর ছয়দিন পর ৩১ ডিসেম্বর স্থানীয় সময় রাত সাড়ে তিনটার দিকে তার মৃত্যু হয়।

এদিকে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বুধবার পর্যন্ত ভারতে ২ হাজার ১৩৫ জনের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি ওমিক্রন রোগী পাওয়া গেছে। মহারাষ্ট্রে ৬৫৩ জনের ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। এরপরই ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ৪৬৪ জন ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা গতকালকের তুলনায় প্রায় ৪ গুণ বেড়েছে।

এদিকে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার জানায়, মঙ্গলবার দৈনিক সংক্রমণ ছিল ৩৭ হাজার ৩৭৯। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় তা ২১ হাজারেরও বেশি বেড়েছে। বুধবার (৫ জানুয়ারি) ভারতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৫৮ হাজার ৯৭ জন।

এদিকে ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন-এর প্রধান চিকিৎসক ক্রিস্টোফার মারে সতর্ক করে দিয়ে জানিয়েছেন, করোনা ভাইয়াসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রভাবে পুরো ভারত জুড়ে যে ভয়াবহ অবস্থা হয়েছিল ওমিক্রনের কারণে একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে

 

মারে আরও জানিয়েছেন, ভারতে ওমিক্রন সংক্রমণ চরম পর্যায়ে পৌঁছবে জানুয়ারির শেষের দিক থেকে ফেব্রুয়ারির শুরুতে। টিকা নেয়ার কারণে মৃদু উপসর্গ থাকবে তবে বিপুল সংখ্যক মানুষ ওমিক্রণে আক্রান্ত হবে বলে আশঙ্কা করেছেন তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ভারতে ওমিক্রনে প্রথম মৃত্যু

প্রকাশিত সময় : ০৮:০৭:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জানুয়ারী ২০২২

বিশ্বজুড়ে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের তাণ্ডবে সংক্রমণের নতুন রেকর্ডের খবর দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো। এরই মধ্যে ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে দেশটিতে এই প্রথম ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এনডিটিভি জানায়, দেশটির রাজস্থানের উদয়পুরে এক ব্যক্তি ওমিক্রনে মৃত্যুবরণ করেছেন।

এনডিটিভি জানায়, ৭৩ বছর বয়স্ক ওই ব্যক্তির উদয়পুরে লক্ষী নারায়ন পুরের বাসিন্দা।

গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর ওই ব্যক্তির শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকে তিনি হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। ওই ব্যক্তির ডায়বেটিকস, উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা ছিল।

২১ ডিসেম্বর তার করোনা নেগেটিভ ধরা পড়ে। এরপর তার নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে পাঠানো হয়। তিনি করোনার দুটি টিকাও নিয়েছিলেন। এমনটি তিনি উল্লেখযোগ্য কোথাও ভ্রমণ কিংবা সংশ্লিষ্ট কারো সংস্পর্শেও আসেননি

২৫ ডিসেম্বর জিনোম সিকোয়েন্সিংয়েন ফল পাওয়ার পর তার শরীরে ওমিক্রনের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এর ছয়দিন পর ৩১ ডিসেম্বর স্থানীয় সময় রাত সাড়ে তিনটার দিকে তার মৃত্যু হয়।

এদিকে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বুধবার পর্যন্ত ভারতে ২ হাজার ১৩৫ জনের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি ওমিক্রন রোগী পাওয়া গেছে। মহারাষ্ট্রে ৬৫৩ জনের ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। এরপরই ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ৪৬৪ জন ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা গতকালকের তুলনায় প্রায় ৪ গুণ বেড়েছে।

এদিকে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার জানায়, মঙ্গলবার দৈনিক সংক্রমণ ছিল ৩৭ হাজার ৩৭৯। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় তা ২১ হাজারেরও বেশি বেড়েছে। বুধবার (৫ জানুয়ারি) ভারতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৫৮ হাজার ৯৭ জন।

এদিকে ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন-এর প্রধান চিকিৎসক ক্রিস্টোফার মারে সতর্ক করে দিয়ে জানিয়েছেন, করোনা ভাইয়াসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রভাবে পুরো ভারত জুড়ে যে ভয়াবহ অবস্থা হয়েছিল ওমিক্রনের কারণে একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে

 

মারে আরও জানিয়েছেন, ভারতে ওমিক্রন সংক্রমণ চরম পর্যায়ে পৌঁছবে জানুয়ারির শেষের দিক থেকে ফেব্রুয়ারির শুরুতে। টিকা নেয়ার কারণে মৃদু উপসর্গ থাকবে তবে বিপুল সংখ্যক মানুষ ওমিক্রণে আক্রান্ত হবে বলে আশঙ্কা করেছেন তিনি।