নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের সব রকম প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে। প্রার্থীরা ভোট টানতে নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি দেন। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে ভোটের আগে হয়রানিমূলক গ্রেফতার বন্ধের দাবি জানান তৈমূর। বহিরাগতরা যেন নির্বাচনী এলাকায় না থাকতে পারে, সেজন্য নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপও চান তিনি।
প্রচারণার শেষ দিনে ডা. আইভী তার বাড়িতে সাংবাদিকদের বলেন, আমাকে পরাজিত করতে অনেকগুলো পক্ষ এক হয়েছে। তিনি বলেন, ১৮ বছর ধরে নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নে কাজ করে আসছি। ২০০৩ সালে যখন আওয়ামী লীগের পক্ষে নির্বাচন করি, তখন অনেকে দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন। ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের মানুষ অন্যায়-অত্যাচার, খুন-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে থেকে নৌকায় ভোট দেবে।
এর আগে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারসহ সব প্রার্থী দিনভর পথসভা, গণসংযোগ, গণমিছিলসহ নানা কর্মসূচি পালন করেন।
ভোটের দিন নারায়ণগঞ্জে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ছাড়া কেউ চলাচল করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি)।
তিনি বলেছেন, আমাদের তরফ থেকে নির্বাচনী কোনো সহিংসতার আশঙ্কা নেই। নির্বাচনের দিন কোনো বহিরাগতকে নারায়ণগঞ্জে প্রবেশ করতে দেবো না। ভোটের দিন সবাইকে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে চলাচল করতে দেওয়া হবে। এজন্য রোববার (১৬ জানুয়ারি) নগরবাসীকে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে চলাচল করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরশেনের সদর, সিদ্ধিরগঞ্জ ও কদমরসূল অঞ্চলের ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৩৪ জন, নারী ভোটার ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১৯ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ৪ জন। ২৭টি ওয়ার্ডে ১৯২টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। ভোট কক্ষের সংখ্যা এক হাজার ৩৩৩ ও অস্থায়ী ভোটকক্ষের সংখ্যা ৯৫টি। প্রতিটি অঞ্চলে একজন করে প্রিসাইডিং অফিসার থাকবেন। একইসঙ্গে ৩টি ওয়ার্ডে একজন করে মোট ৯ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার থাকবেন।
অন্যদিকে ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোট প্রদানের আহ্বান জানিয়েছে জেলা পুলিশ প্রশাসন। শনিবার (১৫ জানুয়ারি) রাত থেকেই নগরীর নিরাপত্তা জোরদার করতে মাঠে নেমেছে ১৮ প্লাটুন বিজিবি। নির্বাচনী সহিংসতা এড়াতে প্রতিটি ওয়ার্ড ও ভোটকেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের শুরু থেকেই সরকারি দলের মেয়র প্রার্থী নৌকা প্রতীকের ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের মধ্যে চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। রোববারের (১৬ জানুয়ারি) নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন, সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে ৩৪ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১৪৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
সূত: যুগান্তর

দৈনিক দেশ নিউজ ডটকম ডেস্ক 





















