সবশেষ সংবাদ সম্মেলনে তিনি নৌকার লোক নৌকার পক্ষেই আছেন বলেই জানিয়েছিলেন। রবিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে ভোটের কার্যক্রম শুরু হলেও দুপুর দেড়টা পর্যন্ত শামীম ওসমানকে কেন্দ্রে আসতে দেখা যায়নি। তিনি দুপুরের পর ভোট দেবেন বলে সূত্রের বরাতে জানা গেছে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের এবারের কোনো রকম কার্যক্রমে অংশগ্রহণ না নিয়েও শুরু থেকে আলোচনায় ছিলেন শামীম ওসমান। যদিও বিষয়টি নিয়ে তিনি নিজেও বিরক্ত ছিলেন। গেল ১০ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করে তিনি জানিয়েছেন, কেন তাকে বারংবার খবরের শিরোনাম করা হচ্ছে!
এমনকি নির্বাচনে শামীম ওসমানের অবস্থান নিয়েও ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে শামীম ওসমান বলেছিলেন, আমি নৌকার জয় চাই। আওয়ামী লীগের জয় চাই। কে প্রার্থী সেটা আমার কাছে কোনো বিষয় না। ১৬ তারিখ (জানুয়ারি) খেলা হবে। খেলায় আমরাই জিতব।
এবার মোট ১৯২টি কেন্দ্রে রবিবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটের কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এর আগে গেল ৩০ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সাত প্রার্থী হলেন- আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীক নিয়ে সেলিনা হায়াৎ আইভী। এর আগে দুবার নাসিকের মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হাতি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা তৈমূর আলম খন্দকার।
এরপর রয়েছেন যথাক্রমে- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ হাতপাখা, খেলাফত মজলিসের এ বি এম সিরাজুল মামুন দেয়ালঘড়ি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন বটগাছ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস হাতঘড়ি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।
এছাড়া সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন এবং সংরক্ষিত নয়টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩২ জন।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৬ জন এবং নারী ভোটার দুই লাখ ৫৭ হাজার ১১১ জন। ট্রান্সজেন্ডার ভোটার রয়েছেন চারজন।

দৈনিক দেশ নিউজ ডটকম ডেস্ক 
























