মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নায়িকা শিমু হত্যা: বন্ধুসহ স্বামী নোবেল আটক

চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে তার স্বামী নোবেল ও নোবেলের বন্ধু ফরহাদকে আটক করেছে র‍্যাব। গতকাল সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দিনগত রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় একটি গাড়িও জব্দ করা হয়।

এর আগে সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর বস্তাবন্দি (৩৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে মর্গে রাখা হয়েছে। জানা গেছে, গেল দুদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন শিমু। কেরানীগঞ্জের হযরতপুর ব্রিজের কাছে তার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু সালাম মিয়া বলেন, সকাল ১০টার দিকে কেরানীগঞ্জ থেকে রাইমা ইসলাম শিমু নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

অভিনেত্রী শিমুর বোন ফাতেমা জানান, গত রোববার সকাল ১০টায় বাসা থেকে বের হন শিমু। সন্ধ্যা ৭টায় শিমুর এক বন্ধু শিমুকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানায়। পরে রাত ১১টায় কলাবাগান থানায় যায় জিডি করা হয়। সন্ধ্যায় মিটফোর্ড হাসপাতালে লাশ শনাক্ত করেন শিমুর ভাই শহিদুল ইসলাম খোকন। এরপর শিমুর স্বামী নোবেলকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন শহিদুল ইসলাম খোকন। ওই মামলা নোবেলের বন্ধু ফরহাদকেও আসামি করা হয়েছে।

এদিকে শিমুর লাশ উদ্ধারের পর সাংবাদিকদের বাসায় ডেকে কথা বলেছেন এই নায়িকার দুই সহকর্মী নৃত্যশিল্পী তাহমিনা হাসান বেবি ও চিত্রনায়িকা সাদিয়া মির্জা। শিমুর মৃত্যুর জন্য একজন অভিনেতাকে সন্দেহ করছেন তারা। তাহমিনা হাসান বেবি বলেন, শিল্পী সমিতি কর্তৃক ১৮৪ জন ভোটাধিকার হারানো শিল্পীর মধ্যে ছিলেন তারা। সেখানে শিমুর নামও ছিল। ভোটাধিকার রক্ষার বিভিন্ন আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন তারা। এজন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন হুমকি ধামকি শুনতে হয়েছে। তাই তারা সন্দেহ করছেন, এই দ্বন্দের কারণেই হত্যা করা হতে পারে শিমুকে।

উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘বর্তমান’ সিনেমা দিয়ে রুপালি পর্দায় অভিষেক হয় রাইমা ইসলাম শিমুর। এরপর একে একে অভিনয় করেছেন ৫০টিরও বেশি সিনেমায়। কাজ করেছেন বহু নাটক। অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজক হিসবেও সক্রিয় ছিলেন তিনি। বাংলাদেশের অনেক গুনী পরিচালকের সাথে কাজ করেছেন শিমু। সে তালিকায় আছেন মরহুম চাষী নজরুল ইসলাম, পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, এ জে রানা, শরিফুদ্দিন খান দ্বীপু, এনায়েত করিম, শবনম পারভীন। অভিনয় করেছেন রিয়াজ, অমিত হাসান, বাপ্পারাজ, জাহিদ হাসান, মোশারফ করিম, শাকিব খানসহ অনেক গুণী ও জনপ্রিয় অভিনেতাদের বিপরীতে৷

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

নায়িকা শিমু হত্যা: বন্ধুসহ স্বামী নোবেল আটক

প্রকাশিত সময় : ১১:০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২২

চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে তার স্বামী নোবেল ও নোবেলের বন্ধু ফরহাদকে আটক করেছে র‍্যাব। গতকাল সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দিনগত রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় একটি গাড়িও জব্দ করা হয়।

এর আগে সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর বস্তাবন্দি (৩৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে মর্গে রাখা হয়েছে। জানা গেছে, গেল দুদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন শিমু। কেরানীগঞ্জের হযরতপুর ব্রিজের কাছে তার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু সালাম মিয়া বলেন, সকাল ১০টার দিকে কেরানীগঞ্জ থেকে রাইমা ইসলাম শিমু নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

অভিনেত্রী শিমুর বোন ফাতেমা জানান, গত রোববার সকাল ১০টায় বাসা থেকে বের হন শিমু। সন্ধ্যা ৭টায় শিমুর এক বন্ধু শিমুকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানায়। পরে রাত ১১টায় কলাবাগান থানায় যায় জিডি করা হয়। সন্ধ্যায় মিটফোর্ড হাসপাতালে লাশ শনাক্ত করেন শিমুর ভাই শহিদুল ইসলাম খোকন। এরপর শিমুর স্বামী নোবেলকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন শহিদুল ইসলাম খোকন। ওই মামলা নোবেলের বন্ধু ফরহাদকেও আসামি করা হয়েছে।

এদিকে শিমুর লাশ উদ্ধারের পর সাংবাদিকদের বাসায় ডেকে কথা বলেছেন এই নায়িকার দুই সহকর্মী নৃত্যশিল্পী তাহমিনা হাসান বেবি ও চিত্রনায়িকা সাদিয়া মির্জা। শিমুর মৃত্যুর জন্য একজন অভিনেতাকে সন্দেহ করছেন তারা। তাহমিনা হাসান বেবি বলেন, শিল্পী সমিতি কর্তৃক ১৮৪ জন ভোটাধিকার হারানো শিল্পীর মধ্যে ছিলেন তারা। সেখানে শিমুর নামও ছিল। ভোটাধিকার রক্ষার বিভিন্ন আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন তারা। এজন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন হুমকি ধামকি শুনতে হয়েছে। তাই তারা সন্দেহ করছেন, এই দ্বন্দের কারণেই হত্যা করা হতে পারে শিমুকে।

উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘বর্তমান’ সিনেমা দিয়ে রুপালি পর্দায় অভিষেক হয় রাইমা ইসলাম শিমুর। এরপর একে একে অভিনয় করেছেন ৫০টিরও বেশি সিনেমায়। কাজ করেছেন বহু নাটক। অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজক হিসবেও সক্রিয় ছিলেন তিনি। বাংলাদেশের অনেক গুনী পরিচালকের সাথে কাজ করেছেন শিমু। সে তালিকায় আছেন মরহুম চাষী নজরুল ইসলাম, পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, এ জে রানা, শরিফুদ্দিন খান দ্বীপু, এনায়েত করিম, শবনম পারভীন। অভিনয় করেছেন রিয়াজ, অমিত হাসান, বাপ্পারাজ, জাহিদ হাসান, মোশারফ করিম, শাকিব খানসহ অনেক গুণী ও জনপ্রিয় অভিনেতাদের বিপরীতে৷