আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়। সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়া বর্তমানে কারাগারেরর বাইরে আছেন। তিনি অসুস্থ এবং চলাফেরা করার অবস্থায় নেই।
দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল আসামিপক্ষের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত আগামী ১৩ মার্চ মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক গোলাম শাহরিয়ার বাদী হয়ে ১৩ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা দায়ের করেন। মামলার পরদিনই খালেদা জিয়া ও কোকোকে গ্রেফতার করা হয়।
২০০৮ সালের ১৩ মে খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিম (সিএমএম) আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক মো. জহিরুল হুদা।
আলোচিত এ মামলার ২৪ আসামির মধ্যে এরইমধ্যে ৭ জন মারা গেছেন। তারা হলেন- খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো, সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, বিএনপির সাবেক মহাসচিব আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী এম কে আনোয়ার, সাবেক মন্ত্রী এম শামছুল ইসলাম, মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসি কার্যকর হওয়া জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী, চট্টগ্রাম বন্দরের প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আহমেদ আবুল কাশেম। বর্তমানে এ মামলায় আসামির সংখ্যা ১৭ জন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্যাটকোকে ঢাকার কমলাপুর আইসিডি ও চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ পাইয়ে দিয়ে রাষ্ট্রের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকার ক্ষতি করেছেন।
এছাড়াও গ্যাটকোও ঠিকাদারি কাজ পাইয়ে দেয়ার বিনিময়ে অবৈধভাবে আরাফাত রহমান কোকো ও ইসমাইল হোসেন সায়মন ২ কোটি ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৭৩৬ টাকার আর্থিক সুবিধা নেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।-ডেল্টা টাইমস্

দৈনিক দেশ নিউজ ডটকম ডেস্ক 
























