মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ন্যায্য দাবি মেনে নিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি শাবিপ্রবির সাবেক ১০৫ ছাত্রলীগ নেতার আহ্বান

উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি তিন দফা দাবি জানিয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ১০৫ সাবেক ছাত্রলীগ নেতা।

শনিবার শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের এক জরুরি ভার্চুয়াল সভা শেষে এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

এতে শাবিপ্রবি ছাত্র আন্দোলনে উদ্ভূত সংকটে উদ্বেগ জানিয়ে দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী কাছে তিনটি দাবি তুলে ধরা হয়-

এক. অবিলম্বে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের অনশন ভাঙানো প্রয়োজন। এ জন্য তাদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।

দুই. যে বিশেষ মহল আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের ওপর পুলিশি আক্রমণ পরিচালনার পরিবেশ তৈরি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ। এবং

তিন. ছাত্রছাত্রীদের ওপর কথিত যে পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা করা হয়েছে, তা দ্রুত প্রত্যাহার।

বিবৃতিতে বলা হয়, ভার্চুয়াল সভায় শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র আন্দোলনে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ ও হতাশা ব্যক্ত করা হয়েছে। প্রাণহানির সংশয়ে পড়া বিপন্ন নাজুক পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক ছাত্রনেতারা।

ভার্চুয়াল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের ছাত্র ও শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের (১৯৯১-১৯৯৩) প্রথম সভাপতি মো. ফরিদ আলম। সভাটি পরিচালনা করেন চতুর্থ ব্যাচের ছাত্র ও শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মকদ্দুস-স্বাধীন কমিটির (১৯৯৫-৯৭) সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন আহমেদ।

সভায় শাবিপ্রবি সাবেক ছাত্রলীগের প্রথম ব্যাচ থেকে শুরু করে সর্বশেষ ব্যাচের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। দীর্ঘ চার ঘণ্টার এই সভায় ক্যাম্পাস পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এতে সবাই আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন।

গত ১৩ জানুয়ারি রাত থেকে শুরু প্রভোস্ট বিরোধী আন্দোলনে গত ১৬ জানুয়ারি পুলিশ লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে ৩০ শিক্ষার্থীকে আহত করলে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি উঠে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ এবং শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। তবে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আমরণ অনশনসহ আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষার্থীরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ন্যায্য দাবি মেনে নিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি শাবিপ্রবির সাবেক ১০৫ ছাত্রলীগ নেতার আহ্বান

প্রকাশিত সময় : ০৩:৩১:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২
উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি তিন দফা দাবি জানিয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ১০৫ সাবেক ছাত্রলীগ নেতা।

শনিবার শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের এক জরুরি ভার্চুয়াল সভা শেষে এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

এতে শাবিপ্রবি ছাত্র আন্দোলনে উদ্ভূত সংকটে উদ্বেগ জানিয়ে দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী কাছে তিনটি দাবি তুলে ধরা হয়-

এক. অবিলম্বে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের অনশন ভাঙানো প্রয়োজন। এ জন্য তাদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।

দুই. যে বিশেষ মহল আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের ওপর পুলিশি আক্রমণ পরিচালনার পরিবেশ তৈরি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ। এবং

তিন. ছাত্রছাত্রীদের ওপর কথিত যে পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা করা হয়েছে, তা দ্রুত প্রত্যাহার।

বিবৃতিতে বলা হয়, ভার্চুয়াল সভায় শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র আন্দোলনে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ ও হতাশা ব্যক্ত করা হয়েছে। প্রাণহানির সংশয়ে পড়া বিপন্ন নাজুক পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক ছাত্রনেতারা।

ভার্চুয়াল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের ছাত্র ও শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের (১৯৯১-১৯৯৩) প্রথম সভাপতি মো. ফরিদ আলম। সভাটি পরিচালনা করেন চতুর্থ ব্যাচের ছাত্র ও শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মকদ্দুস-স্বাধীন কমিটির (১৯৯৫-৯৭) সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন আহমেদ।

সভায় শাবিপ্রবি সাবেক ছাত্রলীগের প্রথম ব্যাচ থেকে শুরু করে সর্বশেষ ব্যাচের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। দীর্ঘ চার ঘণ্টার এই সভায় ক্যাম্পাস পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এতে সবাই আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন।

গত ১৩ জানুয়ারি রাত থেকে শুরু প্রভোস্ট বিরোধী আন্দোলনে গত ১৬ জানুয়ারি পুলিশ লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে ৩০ শিক্ষার্থীকে আহত করলে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি উঠে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ এবং শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। তবে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আমরণ অনশনসহ আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষার্থীরা।