মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শাবিপ্রবি উত্তাল ক্যাম্পাসে কাফনের কাপড় পরে মৌন মিছিল

করোনার বিধিনিষেধ জারি করেও দমানো যাচ্ছে না শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। এবার শাবিপ্রবির ভিসি অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ ও পুলিশি হামলার প্রতিবাদের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে মৌন মিছিল করছেন শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (২২ জানুয়ারি) দুপুর ৩টার দিকে গোলচত্বর থেকে মিছিল বের করা হয়। এদিকে অনশনরত ২৩ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৬ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অনশনরত এক শিক্ষার্থীর মুখে জোর করে জুস খাওয়ানোর চেষ্টা করেন একজন শিক্ষক। তবে শিক্ষার্থীরা খায়নি।

শনিবার সকাল থেকে ১০ম দিনের মতো আন্দোলন চলছে। অনশনের চতুর্থ দিন। শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির আহ্বানে ঢাকায় প্রতিনিধি দল যাওয়ার কথা থাকলেও শেষে প্রত্যাখান করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ঢাকায় অবস্থান করছেন।

পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষের পর শাবিপ্রবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। ওইদিনই জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে হলে অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা। ভিসির পদত্যাগের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

প্রসঙ্গত, ১৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। বেগম সিরাজুননেসা ছাত্রী হলের প্রভোস্টের পদত্যাগসহ চার দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন তারা। আন্দোলনের এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি হামলা হয়। এরপর আন্দোলন ভিসির পদত্যাগের একদফা দাবিতে পরিণত হয়। কর্মসূচি চলছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

শাবিপ্রবি উত্তাল ক্যাম্পাসে কাফনের কাপড় পরে মৌন মিছিল

প্রকাশিত সময় : ০৩:২৬:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২

করোনার বিধিনিষেধ জারি করেও দমানো যাচ্ছে না শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। এবার শাবিপ্রবির ভিসি অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ ও পুলিশি হামলার প্রতিবাদের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে মৌন মিছিল করছেন শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (২২ জানুয়ারি) দুপুর ৩টার দিকে গোলচত্বর থেকে মিছিল বের করা হয়। এদিকে অনশনরত ২৩ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৬ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অনশনরত এক শিক্ষার্থীর মুখে জোর করে জুস খাওয়ানোর চেষ্টা করেন একজন শিক্ষক। তবে শিক্ষার্থীরা খায়নি।

শনিবার সকাল থেকে ১০ম দিনের মতো আন্দোলন চলছে। অনশনের চতুর্থ দিন। শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির আহ্বানে ঢাকায় প্রতিনিধি দল যাওয়ার কথা থাকলেও শেষে প্রত্যাখান করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ঢাকায় অবস্থান করছেন।

পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষের পর শাবিপ্রবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। ওইদিনই জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে হলে অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা। ভিসির পদত্যাগের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

প্রসঙ্গত, ১৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। বেগম সিরাজুননেসা ছাত্রী হলের প্রভোস্টের পদত্যাগসহ চার দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন তারা। আন্দোলনের এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি হামলা হয়। এরপর আন্দোলন ভিসির পদত্যাগের একদফা দাবিতে পরিণত হয়। কর্মসূচি চলছে।