মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অপারেশনের পরও অনশন ভাঙেননি শাবিপ্রবির রাতুল

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবিতে অনশনরত শিক্ষার্থী মাহিন শাহরিয়ার রাতুলের শরীরে অপারেশন করা হলেও অনশন ভাঙেননি তিনি।

রাতুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। রবিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকালে অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা তীব্র হলে রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে নগরীর রাগিব রাবেয়া হাসপাতালে তার অপারেশন করা হয়। তার এই চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয়ভার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা বহন করেছেন বলে জানা যায়। অনশনের দ্বিতীয় দিন থেকেই তার অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা শুরু হয় বলে জানা গেছে।

আন্দোলনকারীরা জানান, অনশনরত অবস্থায় দ্বিতীয় দিন তার হঠাৎ ব্যথা শুরু হয়। প্রথমে ব্যথা স্বাভাবিক মনে হওয়ায় ইনজেকশন দিয়ে ভালো হয়। পরের দিন ব্যথা উঠলেও ভালো হয়। তৃতীয় দিন কোনোভাবেই ব্যথা না থামলে হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। এরপর তার অ্যাপেন্ডিসাইটিসের অস্ত্রোপচার করা হয়। তবে অস্ত্রোপচার শেষেও তিনি অনশনে আছেন।

রাগিব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. নুরুল কাইয়ুম মোহাম্মদ মোরসালিন বলেন, রাতুল যখন হাসপাতালে আসেন, আমাদের মনে হয়েছে অ্যাপেন্ডিসাইটিস। তার পেটের ডান দিকে ব্যথা ছিল, জ্বর ছিল। বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আমরা নিশ্চিত হলাম এটা অ্যাপেন্ডিসাইটিস। অ্যাপেন্ডিসাইটিসের লাস্ট স্টেজ ছিল। অপারেশন না করালে ব্লাস্ট হয়ে যেত। ব্লাস্ট হওয়ার আগমুহূর্তে আমরা কেটে বের করেছি। এখন তাকে স্টেপ ডাউন ইউনিটে (এসডিইউ) রাখা হয়েছে। এখন আশঙ্কামুক্ত বলা যায়।

এ দিকে শিক্ষার্থীদের অনশন ১১৭ ঘণ্টা পার হয়েছে। ইতোমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৭ জন। শুরুতে ২৪ জন অনশন শুরু করলেও নতুন করে গণ অনশনে যুক্ত আছেন আরও পাঁচজন।

অপরদিকে আন্দোলনের অংশ হিসেবে রবিবার রাতে উপাচার্যের বাসভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

অপারেশনের পরও অনশন ভাঙেননি শাবিপ্রবির রাতুল

প্রকাশিত সময় : ০৩:১১:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবিতে অনশনরত শিক্ষার্থী মাহিন শাহরিয়ার রাতুলের শরীরে অপারেশন করা হলেও অনশন ভাঙেননি তিনি।

রাতুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। রবিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকালে অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা তীব্র হলে রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে নগরীর রাগিব রাবেয়া হাসপাতালে তার অপারেশন করা হয়। তার এই চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয়ভার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা বহন করেছেন বলে জানা যায়। অনশনের দ্বিতীয় দিন থেকেই তার অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা শুরু হয় বলে জানা গেছে।

আন্দোলনকারীরা জানান, অনশনরত অবস্থায় দ্বিতীয় দিন তার হঠাৎ ব্যথা শুরু হয়। প্রথমে ব্যথা স্বাভাবিক মনে হওয়ায় ইনজেকশন দিয়ে ভালো হয়। পরের দিন ব্যথা উঠলেও ভালো হয়। তৃতীয় দিন কোনোভাবেই ব্যথা না থামলে হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। এরপর তার অ্যাপেন্ডিসাইটিসের অস্ত্রোপচার করা হয়। তবে অস্ত্রোপচার শেষেও তিনি অনশনে আছেন।

রাগিব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. নুরুল কাইয়ুম মোহাম্মদ মোরসালিন বলেন, রাতুল যখন হাসপাতালে আসেন, আমাদের মনে হয়েছে অ্যাপেন্ডিসাইটিস। তার পেটের ডান দিকে ব্যথা ছিল, জ্বর ছিল। বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আমরা নিশ্চিত হলাম এটা অ্যাপেন্ডিসাইটিস। অ্যাপেন্ডিসাইটিসের লাস্ট স্টেজ ছিল। অপারেশন না করালে ব্লাস্ট হয়ে যেত। ব্লাস্ট হওয়ার আগমুহূর্তে আমরা কেটে বের করেছি। এখন তাকে স্টেপ ডাউন ইউনিটে (এসডিইউ) রাখা হয়েছে। এখন আশঙ্কামুক্ত বলা যায়।

এ দিকে শিক্ষার্থীদের অনশন ১১৭ ঘণ্টা পার হয়েছে। ইতোমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৭ জন। শুরুতে ২৪ জন অনশন শুরু করলেও নতুন করে গণ অনশনে যুক্ত আছেন আরও পাঁচজন।

অপরদিকে আন্দোলনের অংশ হিসেবে রবিবার রাতে উপাচার্যের বাসভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।