মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

করোনার বিরতিতে উদ্যোক্তা খুবি শিক্ষার্থী মারজিয়া

করোনার বিরতিতে উদ্যোক্তা খুবি শিক্ষার্থী মারজিয়া

করোনার দীর্ঘবিরতির ফলে একঘেয়েমি জীবন কাটিয়ে উঠতে অনেকই নানামুখী কাজ করছেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ হয়ে উঠছেন উদ্যোক্তা। পড়াশোনার পাশাপাশি স্বল্প পুঁজিতে উপার্জনের মাধ্যমে আত্মচিন্তায় ভিন্ন আঙ্গিকে মানসিকভাবে স্বস্তি মিলে বলে এমন উদ্যোগ অনেকেই নিয়ে থাকেন। করোনাকালে দীর্ঘ বিরতিতে এমন উদ্যোক্তা হিসেবে হাতে খড়ি হয়েছে মারজিয়া সুলতানা’র।

মারজিয়া পড়াশোনা করছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি ডিসিপ্লিনের ২য় বর্ষে। নিজের জমানো টিউশনির মাত্র ১২০০ টাকা দিয়ে নিজ হাতের ডিজাইন করা ড্রেস,নকশি কাঁথা তৈরি থেকে শুরু হয় তার উদ্যোক্তা জীবন। প্রথমে কিছুটা জড়তা কাজ করলেও অনলাইনে নারী উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন গ্রুপ ও পেজ দেখে অনুপ্রাণিত হন তিনি ।

কাজের অগ্রসরতা ও প্রচারণার কথা মাথায় রেখে তিনিও ফেসবুকে একটি পেজ তৈরি করেন নাম। দেন “বৈচিত্র্যের ছোঁয়া”। তার নিজস্ব ডিজাইন করা কাজগুলি তিনি এই পেজে শেয়ার করেন। শৌখিন মানুষদের জন্য রুচিশীল ডিজাইনের নিজস্ব হাতে তৈরি পোশাকাদিতে আছে সত্যিই বৈচিত্রের ছোঁয়ায়। জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথমে বাড়ির কেউই এ কাজে আমাকে মত দেয়নি। কিন্তু আমার কাজের প্রতি আগ্রহ আর অগ্রগতি দেখে সকলেই এখন পাশে আছে, সাপোর্ট দিচ্ছে।

প্রথমে কয়েকটি নকশী কাথার ডিজাইন শো করি। তারপর থেকে যে যেভাবে চায় কাস্টমাইজ করে বানিয়ে দেই। এছাড়া হাতে সেলাই করা বিভিন্ন বয়সের মানুষের ড্রেস আমার সংগ্রহে আছে। যেকোনো ক্রেতা অর্ডার দেওয়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কুরিয়ার এর মাধ্যমে পৌঁছে দিই। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই যা সাড়া পেয়েছি সত্যিই আমি আশাবাদী। তিনি আরও বলেন, নারীর প্রতি সমাজের সংকীর্ণ মানসিকতা কাটিয়ে উঠতে পারলে যেকোনো তাদের পক্ষেও যেকোনো কাজ করে ফেলা সম্ভব।

এ কয়দিনে মোটামুটি সন্তোষজনক আয়ও হয়েছে বলে জানান তিনি । তার এই ক্ষুদ্র পরিসরের শুরু দিয়েই ধীরে ধীরে সফল একজন উদ্যোক্তা হয়ে উঠবেন বলেও স্বপ্ন দেখেন তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু, ঝুলন্ত  লাশ উদ্ধার

করোনার বিরতিতে উদ্যোক্তা খুবি শিক্ষার্থী মারজিয়া

প্রকাশিত সময় : ০৯:০১:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২২

করোনার দীর্ঘবিরতির ফলে একঘেয়েমি জীবন কাটিয়ে উঠতে অনেকই নানামুখী কাজ করছেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ হয়ে উঠছেন উদ্যোক্তা। পড়াশোনার পাশাপাশি স্বল্প পুঁজিতে উপার্জনের মাধ্যমে আত্মচিন্তায় ভিন্ন আঙ্গিকে মানসিকভাবে স্বস্তি মিলে বলে এমন উদ্যোগ অনেকেই নিয়ে থাকেন। করোনাকালে দীর্ঘ বিরতিতে এমন উদ্যোক্তা হিসেবে হাতে খড়ি হয়েছে মারজিয়া সুলতানা’র।

মারজিয়া পড়াশোনা করছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি ডিসিপ্লিনের ২য় বর্ষে। নিজের জমানো টিউশনির মাত্র ১২০০ টাকা দিয়ে নিজ হাতের ডিজাইন করা ড্রেস,নকশি কাঁথা তৈরি থেকে শুরু হয় তার উদ্যোক্তা জীবন। প্রথমে কিছুটা জড়তা কাজ করলেও অনলাইনে নারী উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন গ্রুপ ও পেজ দেখে অনুপ্রাণিত হন তিনি ।

কাজের অগ্রসরতা ও প্রচারণার কথা মাথায় রেখে তিনিও ফেসবুকে একটি পেজ তৈরি করেন নাম। দেন “বৈচিত্র্যের ছোঁয়া”। তার নিজস্ব ডিজাইন করা কাজগুলি তিনি এই পেজে শেয়ার করেন। শৌখিন মানুষদের জন্য রুচিশীল ডিজাইনের নিজস্ব হাতে তৈরি পোশাকাদিতে আছে সত্যিই বৈচিত্রের ছোঁয়ায়। জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথমে বাড়ির কেউই এ কাজে আমাকে মত দেয়নি। কিন্তু আমার কাজের প্রতি আগ্রহ আর অগ্রগতি দেখে সকলেই এখন পাশে আছে, সাপোর্ট দিচ্ছে।

প্রথমে কয়েকটি নকশী কাথার ডিজাইন শো করি। তারপর থেকে যে যেভাবে চায় কাস্টমাইজ করে বানিয়ে দেই। এছাড়া হাতে সেলাই করা বিভিন্ন বয়সের মানুষের ড্রেস আমার সংগ্রহে আছে। যেকোনো ক্রেতা অর্ডার দেওয়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কুরিয়ার এর মাধ্যমে পৌঁছে দিই। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই যা সাড়া পেয়েছি সত্যিই আমি আশাবাদী। তিনি আরও বলেন, নারীর প্রতি সমাজের সংকীর্ণ মানসিকতা কাটিয়ে উঠতে পারলে যেকোনো তাদের পক্ষেও যেকোনো কাজ করে ফেলা সম্ভব।

এ কয়দিনে মোটামুটি সন্তোষজনক আয়ও হয়েছে বলে জানান তিনি । তার এই ক্ষুদ্র পরিসরের শুরু দিয়েই ধীরে ধীরে সফল একজন উদ্যোক্তা হয়ে উঠবেন বলেও স্বপ্ন দেখেন তিনি।