দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একজন মহাপরিচালক ও চার পরিচালকসহ মোট ৪৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ২২ জন প্রধান কার্যালয়ের, বিভাগীয় কার্যালয়ের ছয়জন এবং সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে ১৬ জন রয়েছেন।
দুদকের মহাপরিচালক সাঈদ মাহবুব খান, পরিচালক শিরিন পারভীন, জুলফিকার আলী, মো. মাহমুদ হাসান ও মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম।উপপরিচালকদের মধ্যে রয়েছেন- মো. ফারুক আহমেদ, এস এম সাহিদুর রহমান, মো. আলী আকবর, মো. হেলাল উদ্দিন শরীফ, শেখ গোলাম মাওলা, মোশারফ হোসেন, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মোনায়েম খান, মো. জাহাঙ্গীর আলম (ব্যাংক শাখা), নার্গিস সুলতানা, মো. জাহিদ হোসেন, মো. ওয়াজেদ আলী গাজী, মো. ইকবাল হোসেন,মো. মনিরুজ্জামান বায়োজিদ, মাহবুবুল আলম, আহসানুল কবির ও মাহাবুবুল আলম।
করোনা আক্রান্ত সহকারি পরিচালকরা হলেন- সহকারি পরিচালক সাইদুজ্জামান, শারিকা ইসলাম, মো. আজিজুল হক, মো. শফিউল্ল্যাহ (জনসংযোগ), সিলভিয়া ফেরদৌস, মো. শাহজাহান মিরাজ, মো. আল আমিন, মো. কামরুজ্জামান ও মো. নুরুল ইসলাম।
এছাড়া উপ-সহকারি পরিচালক ওয়াহিদ মুঞ্জুর সোহাগ, মোসা. মাহমুদা আক্তার ও সৈয়দ সোহেল, কোর্ট পরিদর্শক মো. আমির হোসেন ও চয়ন কুমার সাহা, কোর্ট সহকারি মো. অলীউজ্জামান শেখ, প্রধান সহকারি মো. আবুল ফয়েজ ও মো. নুর নবী চৌধুরী, মহাপরিচালকের (প্রতিরোধ) ব্যক্তিগত সহকারি রুপল সাহা, মহাপরিচালকের (আইসিটি) ব্যক্তিগত সহকারি ফাতেমা বিনতে খলিল, সাঁটমূদ্রাক্ষরিক কামারুজ্জামান সরকার এবং নিরাপত্তারক্ষী মো. আকবর হোসেন।
এই বিষয়ে দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মোজাম্মেল হক খান জানান, দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধ কাজ করতে গিয়ে করোনা ভাইরাসে প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছেন কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। তারপরও আমাদের কর্মকাণ্ড চলমান আছে। সরকারি বিধি-নিষেধ ও স্বাস্থ্য-বিধি অনুসরণ করে কমিশনের যাবতীয় কর্মকাণ্ড চলমান থাকবে।
করোনা সংক্রামণের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দুদকের মোট দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির এক পরিচালকসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।